রেসিপি পোস্ট ||| কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া ||| original recipe @saymaakter.
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই এই শীতের সময়টা সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিনগুলো কাটাচ্ছেন।আমি আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে।বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই কারণে অকারনে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।আর এই অসুস্থতার প্রধান কারণ হলো আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার থেকে ভিটামিন পাচ্ছিনা। আমরা যে খাবারগুলো খাচ্ছি সব খাবারে রয়েছে কেমিক্যাল বিভিন্ন রকমের মেডিসিন।কারণ যেটাই উৎপাদন করা হয় ভালো ফলনের জন্য বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হচ্ছে।মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল না করে কিভাবে সবজির ভালো ফলন হবে ও সবজি তরতাজা দেখা যাবে। অল্প দিনের ভেতরে সবজি বাজারজাত করা যাবে। আর বাঁচতে হলে খেতে হবেই আর এজন্যই আমাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা ও অসুখ বিসুখ প্রত্যেকেরই হচ্ছে। শুধু মাছ-মাংস খেলে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। এমন অনেক সবজি আছে যেগুলো প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও বিভিন্ন রকমের ভিটামিন পাওয়া যায় সেগুলোর দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
বিশেষ করে নারীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতিটা থেকেই যায়।তাইতো আমরা শুধু মাছ মাংসের প্রতি ডিপেন্ডেবল না হয়ে এ ধরনের সবজি থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইরন পেতে পারি। আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি "কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া" নিয়ে।কলার মোচা দিয়ে নানান রকমের রেসিপি তৈরি করা যায়।আমি "কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া" রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি চলুন দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।কলার মোচা।
২।ডাল।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন।
৬।আদা।
৭।চালের গুঁড়ো।
৮।হলুদের গুঁড়ো।
৯।জিরাগুঁড়ো।
১০।লবণ।
১১।সয়াবিন তেল।
প্রথমে কলার মোচার খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এবার মোচা গুলো কে বেছে নিয়েছি।
এভাবে এক এক করে মোচা গুলো সব বেছে নিয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এবার কেটে নেওয়া মোচা গুলোকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিয়েছি মোচগুলোকে।
এবার কিছু ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি।
ভিজিয়ে নেওয়া ডাল গুলো পরিষ্কার করে শিল্পাটায় সুন্দর করে মিহি করে বেটে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ শিল্পাটায় বেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নেওয়া মোচা গুলো শিল্পাটায় বেটে নিয়েছি।
এবার সকল উপকরণ একত্রে দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি।
সকল উপকরণ মেখে নেওয়ার পর একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে পাকুড়া গুলো ভেঁজে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া"। এবার এই "কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া" রেসিপি পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে যেকোনো ধরনের ইউনিক রেসিপি তৈরি করলে খেতে এবং দেখতে বেশ ভালো লাগে। সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জি খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদ ছিল।
https://x.com/mst_akter31610/status/1869054110273855597?t=Q2scQ0nrl1LHHg_G0zKqTw&s=19
কলার মোচা দিয়ে এত সুন্দর রেসিপি করা যায় বিষয়টা আমার কাছে ভাবতে অবাক লাগছে। আমি যে কোন রকমের পাকোড়া বা রেসিপি তৈরি করেছি কিন্তু কলার মোচা দিয়ে কোনদিন এভাবে তৈরি করা হয়নি। দেখে মনে হল অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু ছিল।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যেন ইউনিক একটা রেসিপি হয়েছে আপু। আমি এমনিতে ডালের বড়া জাতীয় রেসিপি গুলো খুব পছন্দ করি। তবে এমন রেসিপি কখনো খাই নাই। অনেক অনেক ভালো লাগলো সুন্দরভাবে রেসিপি তৈরি করে দেখাতে দেখে।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো।
নারীদের এমনতেই অনেক কিছুর ঘাটতি ফেখা যায় শরীরে। আর মাছ-মাংস এর বাইরে বিভিন্ন ফল এবং রঙিন সবজি থেকেও অনেক জরুরী উপাদান গুলো পাওয়া যায়। কলার মোচার বড়া আমারো ভীষণ পছন্দের একটি খাবার৷ আমিও মাঝে মাঝে করি। আগে কাটা-বাছার ঝামেলার জন্য করা হতো না। তবে এখন করি। আপনার শারিরীক সুস্থতা কামনা করি আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
কলার মোচা ভাজি খেতে খুবই মজা লাগে। কিন্তু কখনো কলার মোচা দিয়ে পাকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আজকেই প্রথম আপনার মাধ্যমে নতুন একটি পাকোড়া রেসিপি দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমিও এটি বাসায় তৈরি করে একবার খাওয়ার চেষ্টা করবো। নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু ছিল।
আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কলার মোচা। বেশ ভালো লাগে ভাজি ভর্তা করে খেতে। চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। যেহেতু আপনি ঝাল ঝাল পাকোড়া করেছেন খেতে অনেক ভালো লাগবে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করলেন ধাপ গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
আমার রেসিপিটি আপনার অনেক পছন্দের। শুনে অনেক ভালো লাগলো।
কলার মোচার ভাজি খেতে দারুণ লাগে। কিন্তু এভাবে পাকোড়া কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার পাকোড়া দেখেই লোভ লেগে গিয়েছে। একদিন বাসায় অবশ্যই তৈরি করার চেষ্টা করবো। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখে অনেক মজা লাগবে।
কলার মোচার মুচমুচে মজাদার ঝাল পাকোড়া দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।