জেনারেল রাইটিং ||| বন্যায় ভাসমান মানুষের সুখ-দুঃখ।
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিনগুলো অতিক্রম করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
তবে নিজের ভালো থাকা কিন্তু প্রকৃত ভালো থাকা না। একটি সমাজে বসবাস করতে গেলে আশেপাশে মানুষের সকলের অবস্থান বুঝে ভালো থাকাই হচ্ছে প্রকৃত ভালো থাকা।সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন বলেই আমরা এই সুন্দর ভূবনটা দেখতে পাচ্ছি। আর মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।এটা আমরা সবাই মানি। কিন্তু মানুষ হয়ে যদি মনুষত্ব না থাকে তাহলে সেই মানুষ হওয়ার চেয়ে অন্য কিছু হওয়া ভালো।বর্তমানে এই সময়টা প্রত্যেকটি জায়গায় কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি। এই অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সেই বৃষ্টির পানিতে মাঠ ঘাট ভরে যাচ্ছে এবং বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। আর বন্যা মানে ভয়াবহ অবস্থা।যা আমরা বিগত বছরে সিলেটের মানুষের করুন অবস্থা দেখেছিলাম এবং খুব খারাপ লাগছিল।
সত্যি মানুষগুলো কত অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছিল। তাদের নেই কোন থাকার জায়গা নেই কোন বাসস্থান নেই খাবার। গরিব অসহায় মানুষগুলো যাদের ছিল সামান্য একটি সম্বল ঘর। আর অনেক কষ্টের জমানো কিছু টাকা দিয়ে একটি গরু অথবা ছাগল হাঁস মুরগি অর্থ উপার্জনের জন্য। তাদের কষ্ট দূর করার জন্য নিজেদের বাসায় গবাদি পশু হাঁস মুরগি পালন করছিল। এই ভয়াবহ বন্যা তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়।যা সত্যি নিজের চোখে দেখলে অনেক কষ্ট লাগে মনে। আজ আমরা হয়তো ঘরে বসে অনেক কিছু খাচ্ছি অনেক আরাম আয়েশ করছি কিন্তু সেই গরীব অসহায় লোকরা যারা বন্যায় প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে পানির উপরে কেটে যাচ্ছে যাদের রাত। পোকামাকড় সাপ কামড়ের ভয়ে হয়তো বা টেবিলের উপরে টেবিল দিয়ে তাদের আদরের সন্তানটিকে বুকে নিয়ে বসে আছে সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
এই ঘটনা গুলো আসলেই মনকাড়ে।হয়তো বৃত্তবান কিছু লোকজন তাদেরকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করে থাকে এবং সেই সাহায্য দিয়ে তারা ক্ষণিকের জন্য ভালো থাকে। কিন্তু আসলে কি সেই সাহায্য দিয়ে আগের মতো করে তারা চলতে পারে। আমার মনে হয় না তারা স্বাভাবিকভাবে আগের সেই অবস্থানে পৌছতে পারে। কিন্তু ওই যে কথাই বলে নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।আসলে পানি দিনে দিনে এত বেড়ে যাচ্ছে যা দেখে নিজের মনের ভেতরে অনেকটা ভয় ঢুকলো। কারণ যেখানে দেখলাম ফসলের আবাদি জমিতে ফসল কি সুন্দর দেখতে লাগছে কিন্তু দুদিন পরে সেই জমিগুলোতে আর কোন ফসল দেখা যাচ্ছে না চারদিকটা শুধু পানি আর পানি। যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম পরের দুদিন পরে সেই রাস্তাটি ও পানিতে ডুবে আছে। দেখে অনেকটা কষ্ট লাগলো। আমি হয়তো বা চলাচলের জন্য একটু কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আশেপাশের মানুষগুলো যেগুলো থাকছে তারা কিভাবে দিনরাত পার করছে। নদীর আশেপাশের মানুষগুলোর জীবন অনেক কষ্টদায়ক।
ছোট ছোট বাচ্চাগুলো কি সুন্দর খেলছে তাদের চোখে মুখে শুধু ভবিষ্যতের সোনালী দিন। এই বাচ্চাদের জীবনেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। কখন কোন পরিস্থিতিতে এই বাচ্চাদের জীবনে বয়ে নিয়ে আসতে পারে চরম দুর্ঘটনা। আসলে যে ব্যাপারগুলো নিজের মন থেকে অনুভব করা যায় তখন তাদের সেই কষ্টটাও বোঝা যায়।ভয়ংকর বন্যা মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে মানুষকে করতে অসহায়।এই বন্যায় কেউ হারিয়েছে তাদের প্রিয়জন। কেউবা সুন্দর একটি সুখের নীড়।তাই আমরা আমাদের দিক থেকে যতটুকু পারি সুন্দর মন মানসিকতা নিয়ে তাদের পাশে হাতে হাত রেখে তাদের হাতটি ধরি।
আজকের মত এখানে শেষ করছি আবার কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব সে পর্যন্ত শুভ বিদায়।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
🇧🇩খোদা হাফেজ🇧🇩
বৃষ্টি বন্যা আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য উপভোগ্য হলেও নদীর তীরবর্তী স্থানে যাদের বসবাস তারা খুবই ভোগান্তির শিকার হয় এবং তাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে। কষ্টে অনাহারে দিন কাটে তাদের। তাই দিন শেষে আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানোর তাদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হচ্ছে। আর বন্যার এই ভয়াবহতা দেখে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। অনেক মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে দূরে। কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভালো থাকা সত্যিই অনেক কঠিন। আমরা সবাই প্রার্থনা করি তারা যেন সবাই ভালো থাকে।
জি আপু আমাদের প্রার্থনা করা ছাড়া আর তো কোন উপায় নেই।
আসলে বন্যা সবসময় আমাদের সকলকে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকে৷ সবাই যেভাবে এই বন্যায় কষ্ট পেতে থাকি তা তো একেবারেই বলার মত না৷ আর যারা ওই উপকূলীয় অঞ্চলে থাকে তাদের ঘরবাড়িও একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় এবং তাদের দুঃখ কষ্টের কোনো শেষ থাকে না৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
আপনার মন্তব্যের সাথে আমি একমত ভাই।