SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 26]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 787.004 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ২৫
Copyright Free Image Source : PixaBay
হারু সেই থেকে আর ভূপতিবাবুর কাছছাড়া হলো না । সর্বক্ষণ তাঁর সাথে সাথেই ঘুরতে লাগলো । পুজোর সময় আর মাত্র কিছুক্ষণ পরেই । তাই তদারকির কাজ এখন তুঙ্গে । একদিকে ভূপতিবাবু, আরেকদিকে করালীবাবু, দুই জমিদার এখন পুজোর আয়োজনের তদারকির কাজে খুবই ব্যস্ত । পুজো একবার শুরু হয়ে গেলে তো আর সময় পাবেন না । আর কালীপুজো হলো শক্তিসাধনা, একবার পুজোয় সামান্য ত্রুটি হলেই অমঙ্গল হওয়ার আশঙ্কা ।
কিন্তু, ভূপতিবাবু যে জিনিসটা লক্ষ্য করেননি, হারু কিন্তু সেই ব্যাপারটা খুব বা ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছে । সে নীচুস্বরে ভূপতিবাবুকে বললো, "বাবু, আমি তো এয়েচি অনেক্ষণ হলো, কিন্তু সারা পুজোর জায়গা চষে বেড়িয়েও কোত্থাও তো বটুকবাবুর দেখা পেলুম না । এত বড় পুজোর আয়োজন ! অথচ, বটুকবাবুই নেই । তিনি হলেন করালীবাবুর খাস লোক, তিনি ভিন্ন আজকের পুজোর আয়োজন শেষ হয়ে গেলো, আশ্চায্যি লাগচে, নয় বাবু ?"
কথাটা শুনে সত্যিই কিন্তু আশ্চর্য লাগলো ভূপতিবাবুর । সত্যিই তো, বটুকেশ্বরকে তো আসার পরে একটিবারের জন্যও কোথাও দেখতে পাননি তিনি। এত বড় পুজোতে সে নেই ? এ কেমন কথা ? এমনকি করালীবাবুও একটিবারের জন্য বটুকের নাম উচ্চারণ করেননি । অনতিদূরে করালীবাবু চাকরদের কলাপাতা গুলো কেটে ধুয়ে প্রস্তুত করে রাখতে বলছেন । অন্নভোজের সময় কলাপাতা লাগবে । হাজারে হাজারে কলাপাতা কেটে একটা জায়গায় ডাই করে রাখা রয়েছে ।
ভূপতিবাবু সেদিকে এগিয়ে গেলেন । কাছাকাছি গিয়ে মৃদু একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, "ইয়ে করালী, ভাই তোমায় একটা কথা জিজ্ঞেস করতুম, বটুক কোথায় ? তাকে যে আজ একটিবারের জন্যও দেখতে পেলুম না ? সে কি আজ পুজোতে থাকবে না ?"
করালীবাবু প্রথমটা একটু থতমত খেলেন, তারপরে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, "না দাদা, বটুকের সান্নিপাতিকের জ্বর । কাল দুপুর থেকেই । কোবরেজ মশাই ওষুধ দিয়েছেন । সেরে উঠতে তা প্রায় ৬-৭ দিন তো লেগে যাবেই ।"
ভূপতিবাবু প্রত্যুত্তরে বললেন, "ও আচ্ছা ! তাই বোলো, আমিও সেটাই ভাবছিলুম যে বটুকের নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে । তা না হলে আজকের এমন একটা দিনে তাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না কেন !"
এর কিছুক্ষণ পরেই পুজো শুরু হয়ে গেলো । মন্দিরের দাওয়ায় ফরাস পেতে পুণ্যলোভাতুর জমিদারবাড়ির মেয়ের দল বসে গেলো জোড়হস্তে । সেবায়েতরা মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রধান পুরোহিতের সাথে, পুজো শুরু হলো । ঠাকুরমশাই বিশুদ্ধ সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণে পুজো শুরু করলেন । জমিদারবাবুরা ও গ্রামের বিশিষ্ঠ মানুষেরা মন্দিরের চাতালে আর তাঁদের পেছনে গাঁয়ের মানুষ । সবাই চুপ করে বসে পুজোয় অংশগ্রহণ করলেন ।
আর ওদিকে ভূপতিবাবুর প্রাসাদে কমলাদেবী রাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন । গরদের শাড়ি পরে গায়ে একটা চাদর চাপালেন । আজকে সন্ধ্যে থেকেই থেকে থেকে ঝোড়ো বাতাস বইছে আর সেই সাথে মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছে । বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা বাইরেটা ।
[চলবে]
হারু তো দারুণ একটি বিষয় খেয়াল করেছে। করালীবাবুর খাস লোক হিসেবে তো বটুকবাবু অবশ্যই সেখানে থাকতো। কিন্তু বটুকবাবু যে মিশনে গিয়েছে, সেটা তো আর তাদের জানা নেই। তারা সবাই মিলে কমলাদেবীকে মারার যে মিশনে নেমেছে, সেটা তো খুব শীঘ্রই করে ফেলতে পারবে মনে হচ্ছে। কমলাদেবীর জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চলছে এখন পর্যন্ত, ভয়ংকর কিছুর নিষ্ঠুর প্রস্তুতি, ধীরে ধীরে হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু দাদা। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
এদিকে বেশ বড় করে দেবী কালীর পুজো হচ্ছে অন্যদিকে কমলাদেবীর কপালে শনি আসছে মনে হচ্ছে। ক্রমশঃউত্তেজনা বৃদ্ধি পাছে দাদা।পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ দাদা।
সে প্রাসাদ হয়তো এক নির্মমতার স্বাক্ষী থাকবে আজ, যা আর কেও জানবেনা কোনোদিন।কে জানে হয়তো জানা জানি হতেও পারে!সবটাই লেখকের উপর।দারুণ লিখছেন দাদা।
বটুক গিয়েছে শ্মশানে, এটা আর বুঝতে বাকি নেই। কমলাদেবীর কপালে, সত্যিই খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।
অপেক্ষায় থাকলাম ভাই, পরের পর্বের জন্য।
That's a vampire! Don't play with her.
The friend cover is quite unique.
হারু তো ভূপ্রতি বাবুর মনে সন্দেহের বীজ বুনে দিলো। এ অবস্থায় যদি কমলাদেবীর কিছু হয় তাহলে বীজ থেকে সন্দেহ আরো বড় হতে সময় লাগবে না। দেখার অপেক্ষা শুধু।