এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি । প্রত্যাশা করি সব সময় ভালো থাকেন সবাই। আজ ১৫ ই বৈশাখ, গ্রীষ্মকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২৮শেএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।।
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। সারাদেশেই মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমবে।কিন্তু এখনকার বৃষ্টি মানেই ঝড়-শিলা-বৃষ্টি। যা কৃষকের জন্য ক্ষতিকর।কারণ কৃষক এখন বোর/ইরি ধান ক্ষেত থেকে ঘরে তুলতে ব্যস্ত। এই সময় শিলা-বৃষ্টি হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে কৃষকের।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে, আজ আমি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামি উপস্থাপন করবো। আমরা সবাই জানি, অরিগ্যামি হল কাগজকে নানা ভাবে ভাঁজে ফেলে একটি সুন্দর অবয়ব তৈরি করা।কাগজ না কেটে দৃশ্যমান করা। তাই অরিগ্যামি হল কাগজের ভাঁজের খেলা। তাই যে কোন কিছুর অরিগ্যামি করার পদ্ধতি বর্ণনা করা বেশ কঠিন।কাগজের ভাঁজ দেখেই বুঝে নিতে হয়। আর অরিগ্যামি তৈরিতে ভাঁজ একটি বড় বিষয়। ভাঁজ হের ফের হলে সম্পূর্ণ কাজটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে ভাঁজ করতে হয়। তবেই সুন্দর একটি অরিগ্যামি তৈরি হবে। আজ আমি এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামি তৈরিতে রঙ্গিন কাগজ সহ আরও কিছু উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি। অনেক কথা হলো বন্ধুরা, আসুন ধাপে ধাপে দেখে নেই, ,কিভাবে তৈরি হলো আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো স্লিপারের অরিগ্যামিটি। আশাকরি, আজকের জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামিটি ভালো লাগবে আপনাদের।
উপকরণ
১। রঙ্গিন কাগজ
২।কাঁচ
৩।গাম
৪।সাইন পেন
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে ১০ সেঃ মিঃX৫সেঃমিঃ সাইজের দু'টুকরো রঙ্গিন কাগজ নিয়েছি এক জোড়া স্লিপার বানানোর জন্য।
ধাপ-২
কাগজটি মাঝ বরাবর আড়াআড়ি ভাবে ভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার ভাজ করা এক অংশকে আবার মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি। ছবির মত করে ।
ধাপ-৪
এবার অপর অংশটির প্রান্ত পূর্বে ভাঁজ করা অংশের দাগ সমান ভাঁজ করে নিয়েছি। ছবির মতো করে।
ধাপ-৫
এবার পূর্বের ভাঁজ করার অংশের প্রান্তকে ১ সেঃমিঃ করে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার ভাঁজ কাগজটিকে উল্টিয়ে নিয়েছি। কাগজটিকে সমান তিন ভাঁজে ভাঁজ করে নিয়েছি। এবং ছবির মতো করে একটি অংশকে অন্য অংশের ভাঁজে ঢুকিয়ে দিয়েছি। এবং উল্টিয়ে নিয়ে ভাঁজ করা কাগজ হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ফাঁক করে দিয়েছি। ফলে একটি স্লিপার তৈরি হয়ে গেছে।
ধাপ-৭
স্লিপারটিকে আকর্ষনীয় ও সুন্দর করার জন্য স্লিপারের কোনাগুলো ছোট করা ভাঁজ করে দিয়েছি। এবং সাইন পেন দিয়ে ডিজাইন এঁকে দিয়েছি। এবং গাম দিয়ে একটি গ্লাস বসিয়ে দিয়েছি। একইভাবে আরেকটি তৈরি করে নিয়েছি। ব্যাস তৈরি এক জোড়া স্লিপার।
উপস্থাপন
আশাকরি, আজকের রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানানো এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আজ আমার অরিগ্যামি পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণী | অরিগ্যামি |
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আসলেই তাই আপু, বৃষ্টি হলে এক দিক দিয়ে সাধারণ মানুষের যেমন স্বস্তি অন্যদিকে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হবে। যাই হোক আপনার তৈরি করা স্লিপারের অরিগ্যামি টা বেশ সুন্দর হয়েছে। তৈরির প্রত্যেকটা ধাপ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি অরিগামি শেয়ার করার জন্য।
এখন বৃষ্টি মানেই কৃষিকের ক্ষতি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যাইহোক একটা জিনিস ভেবে অনেক ভালো লাগছে আপনার চিন্তাধারা এবং আমার অনেকটা সেম। কারণ হচ্ছে আপনি যেমন বললেন যে এই গরমে কৃষকের কি একটা ক্ষতিকর অবস্থা এটা শুধুমাত্র একটা কৃষক ই জানে, আসলে আমারও সেই একই প্রশ্ন। আমরা বাসা বাড়িতে থেকেই এমন অস্থির হয়ে যায় গরমে আল্লাহ জানে যে কি ক্ষতিকর অবস্থা 😑 । যাইহোক আপনার অরিগুমিটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে রঙ্গিন কাগজের জন্য অনেক সুন্দর লাগছে।
ঠিক তাই। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর একটি অরিগ্যামির পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোষ্টের বিবরণ গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে রঙ্গিন কাগজটি চমৎকারভাবে ভাঁজ করে নেওয়াটা খুবই সুন্দর হয়েছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি চেস্টা করেছি সহজ ও সাবলীল্ভাবে উপস্থাপনের জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক সুন্দর অরিগামি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই অসাধারণ অরিগামী দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তবে ঠিক বলেছেন বর্তমান প্রচন্ড গরমের কারণে কৃষকদের অনেক কষ্ট হয়। শুধু কৃষক বলে ভুল হবে সর্ব শ্রেণীর মানুষ যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য বাইরে প্রবেশ করছেন হিমশিম খাচ্ছেন কর্মস্থলে প্রচন্ড গরমের জন্য। তবে যাই হোক নতুন একটি আইডিয়া শিখলাম আপনার এই পোস্ট দেখে।
ঠিক বলেছেন কাজের জন্য যারাই বাহিরে যাচ্ছেন গরমে তাদের অবস্থা বেশ খারাপ। বৃষ্টি না হলে এই গরম থেকে পরিত্রান নাই। ধন্যবাদ আপু মতামতের জন্য।
https://twitter.com/selina_akh/status/1784633422406926694
কাগজের ভাজে অনেক সুন্দর স্লিপার তৈরি করেছেন দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কাগজের ভাজে আঠা লাগিয়ে কিভাবে এমন সুন্দর চমৎকার স্লিপার তৈরি করা যায় সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অরিগ্যামি ভাঁজ করে তৈরি করা হয়। তাই বেশ সাবধান হতে হয় যে কোন কিছুর অরিগ্যামি বানাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রিয় @selina75 আপু
আপনার অরিগ্যামি সৃজনশীলতা ও কারুকাজের প্রতি আমার অগাধ প্রশংসা রইল । আপনার বর্ণনা ও ধাপে ধাপে উপস্থাপনের মাধ্যমে অরিগ্যামির প্রতি আপনার নিষ্ঠা ও দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে। এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামি তৈরির প্রক্রিয়াটি শুধু আপনার শিল্পীসত্ত্বাকেই তুলে ধরেনি, বরং এটি আমাদের জন্যও অনুপ্রেরণা ও শেখার এক অনন্য উৎস হয়ে উঠেছে। আপনার কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ ও সূক্ষ্মতা সত্যিই অনুকরণীয়।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
অরিগ্যামি তৈরি করতে কাগজের ভাজ টাই আসল বিষয়। আপনি চমৎকার সুন্দর করে কাগজের ভাজে দক্ষতার সাথে সুন্দর করে এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামি বানিয়েছেন এবং বানানো পদ্ধতি ধাপে ধাপে চমৎকার করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি অরিগ্যামি তৈরিতে ভাঁজই আসল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার সৃজনশীলতার প্রশংসা না করলেই নয়। আপনার হাতের কাজের দক্ষতা এর আগেও অনেকবার দেখেছি। আজ আবারও রঙিন কাগজের এক জোড়া স্লিপারের অরিগ্যামি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে একজোড়া স্লিপার তৈরি করেছেন, এবং তার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেহেতু আমি এ ধরনের কাজ করতে পছন্দ করি,তাই চেস্টা করি সময় নিয়ে সুন্দর করে বানাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।