প্রতিযোগিতা-৬৫ঃতালের স্বাদে ভাপা পিঠা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ২৬শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
শীত মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠাপুলির উৎসব। সেই উৎসবে সামিল হয়ে প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ এবার আয়োজন করেছে, ঐতিহ্যবাহী পিঠে পুলির রেসিপি প্রতিযোগিতা। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করি। তারেই ধারাবাহিকতায় আজকের উপস্থাপিত রেসিপিটির মাধ্যমে বরাবরের মত এবারো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি। শীতের পিঠা মানেই ভাপা পিঠা। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমার এবারের আয়োজন "তালের স্বাদে ভাপা পিঠার রেসিপি"। বাঙালির রসনা বিলাসে শীতে নানা রকম পিঠা পুলির আয়োজন থাকে প্রতিটি ঘরে ঘরে। তবে আমার কাছে শীত মানেই ভাপা পিঠা। অন্যান্য সময়েও অনেক পিঠা তৈরি করা হয় কিন্তু ভাপা পিঠা শীত ছাড়া একদম মানায় না! শীতের কুয়াশা ঘেরা সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম ভাপা পিঠার তুলনা নেই একদম। ভাপা পিঠা বিভিন্ন ভাবে এখন অনেকেই তৈরি করছেন। আমিও আজ তালের স্বাদে ভাপা পিঠার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। শুধু এতটুকু বলতে বলতে পারি খেতে কিন্তু অসাধারণ হয়েছিল। তালের রস আর খেজুরের গুড়ের মিতালি স্বাদে অতুলনীয় ছিল। বন্ধুরা, একদিন রেসিপিটি ট্রাই করে দেখতে পারেন। শুধু এতটুকু বলতে পারি, বাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নিবেন এই পিঠা দিয়ে।
আশাকরি,প্রতিযোগিতা-৬৫ সবার অংশগ্রহণে নতুন নতুন রেসিপিতে জমজমাট হয়ে উঠবে।এবং অনেক রেসিপি শিখতে পারবো এই আয়োজন থেকে। তাই অংশগ্রহণকারি সবাইকে আমার পক্ষ্য থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুরা, অনেক কথা হলো। আর কথা নয়, আসুন দেখে নেই প্রতিযোগিতা-৬৫ এর জন্য আমার আজকের তালের স্বাদে ভাপা পিঠার রেসিপিটি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
চাউলের গুঁড়ো | ৩কাপ |
---|---|
নারিকেল | প্রয়োজন অনুযায়ী |
খেজুরের গুড় | প্রয়োজন অনুযায়ী |
লবণ | স্বাদ মতো |
তালের পাল্প | ৪টেঃ চামচ |
লিকুইড দুধ | ৪ টেঃচামচ |
ফানেল | ১টি |
পিঠা বানানোর জন্য বাটি | ১টি |
পাতলা কাপড় | ২টি |
তালের স্বাদে ভাপা পিঠা তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ - ১
প্রথমে সকল উপকরণ গুছিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ২
প্রথমে পরিমাণ মতো চালের গুড়া একটি পাত্রে নিয়ে নিয়েছি। এবং তাতে পরিমাণ মতো লবন দিয়ে মেখে নিয়েছি।
ধাপ - ৩
এরপর লবন মাখানো চালের গুড়ায় পরিমাণ মতো তালের পাল্প ও লিকুইড দুধ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি। এমন ভাবে মেখে নিয়েছি যাতে হাতের চাপে দলা হয়। এবার মাখানো চালের গুড়া ঢাকনা দিয়ে আধা ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ - ৪
এবার একটি চালনীর সাহায্যে মাখানো চালের গুড়া চেলে নিয়েছি পিঠা বানানোর জন্য।
ধাপ - ৫
এবার পিঠা বানানোর বাটিতে কিছুটা চেলে নেয়া চালের গুড়া ছড়িয়ে দিয়েছি।চালের গুড়ার উপর কোড়ানো নারিকেল দিয়ে দিয়েছি,নারিকেল এর উপর কুচি করা খেজুরের গুড় দিয়ে আবারও চালের গুড়া দিয়ে দিয়েছি। এবং সব শেষে চালের গুড়ার উপর আবারও কোড়ানো নারিকেল ও লম্বা করে কেটে নেয়া নাড়িকেল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ - ৬
এবার পিঠা ভাপে দেয়ার জন্য প্রেশার কুকারে পরিমান মতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি পেশার কুকারের বাল্ব না দিয়ে।
ধাপ - ৭
এবার প্রেশার কুকারের ছিদ্রের উপর ফানেলটি বসিয়ে দিয়েছি। যখন ফানেলর মধ্য দিয়ে ভাপ বের হয়ে আসবে তখন বানানো পিঠা কাপড়ে জড়িয়ে ফানেল এর মধ্যে বসিয়ে দিয়েছি। এবং একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।পিঠা যখন পানির ভাপে সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন নামিয়ে নিয়েছি। একইভাবে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এবার একটি প্লেটে পিঠা সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।
আশাকরি, প্রতিযোগিতা-৬৫ এর জন্য বানানো আমার "তালের স্বাদে ভাপা পিঠা"র রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সবসময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে এবারো সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণি | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1861468466714419264
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এটা কিন্তু দারুন একটা দিক।
ভাপা পিঠা অনেক খেয়েছি, তবে আপনি তালের স্বাদে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো।
পিঠটা খেতে দারুন ছিল, বোঝাই যাচ্ছে।
তালের স্বাদে ভাপা পিঠা দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।রেসিপির পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে দেখে তাই শিখে নিলাম।
ভাপা পিঠা অনেক হয়েছে কিন্তু এভাবে মজা করে কেউ কখনো ভাপা পিঠা তৈরি করে খাওয়ায়নি।নতুন ফ্লেভারে ভাপা পিঠা তৈরি করা দেখলাম।দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ইউনিক ভাপা পিটা রেসিপি নিয়ে এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু প্রথমে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি আজ তালের স্বাদে ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন।আপনার তৈরি করা পিঠাটি আশাকরি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে দারুন মজার এই ভাপা পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।