"বিদায় ২০২৪" || শিরোনামে গদ্য কবিতা||~~
স্বরচিত -কবিতা-
সকলকে নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
অনুভূতির কিছু কথা
"বিদায় ২০২৪" কবিতাটি আমি এক গভীর রাতের অনুভূতি থেকে লিখেছি, যখন বছরের শেষ দিনটি নিঃশব্দে বিদায় নিচ্ছে। ২০২৪ সালটি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই বছর আমাকে দিয়েছে অসংখ্য অভিজ্ঞতা—কখনো আনন্দে ভেজা, কখনো কষ্টের ভারে নুয়ে পড়া।
এই বছর আমার জন্য ছিল সংগ্রামের একটি মঞ্চ। আমি লড়েছি, কখনো হেরেছি, আবার উঠে দাঁড়িয়েছি। সৃষ্টিশীলতায় ভরা এই সময়ে আমি নতুন কবিতা, গল্প, আর নানান ধরনের কাজ করেছি। জীবনের এই অধ্যায়ে আমি দেখেছি মানুষের উত্থান-পতন, ভালোবাসা এবং প্রতারণা। এই বছর আমি কিছু অপ্রত্যাশিত কষ্টের মুখোমুখি হয়েছি, আবার কিছু অসাধারণ প্রাপ্তিরও সাক্ষী হয়েছি।
৩১ ডিসেম্বর রাতের নীরব মুহূর্তে, নীলফামারীর আমার প্রিয় কবিতা কুটিরে বসে যখন এই কবিতাটি লিখছিলাম, তখন মনটা ছিল ভীষণ আবেগপ্রবণ। মনে হচ্ছিল, এই বছরটি শুধু একটি সময় নয়, বরং আমার জীবনের এক অধ্যায়, যা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। প্রতিটি সকাল নতুন আশার আলো দেখিয়েছে, আর প্রতিটি রাত স্বপ্নের কারুকাজ করেছে।
এই কবিতাটি লিখতে গিয়ে আমি অনুভব করেছি, প্রতিটি বছর আমাদের জীবনের গল্পের একটি অধ্যায়। পুরোনো বছরের স্মৃতি রেখে আমরা নতুন বছরে পা রাখি, কিন্তু অতীত আমাদের হৃদয়ে থেকে যায় এক উজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে।
আমি ২০২৫-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত, কিন্তু ২০২৪-এর প্রতিটি মুহূর্ত আমার হৃদয়ের কোণে চিরদিন অমলিন থাকবে। এই অনুভূতিগুলোই কবিতার প্রতিটি শব্দে প্রবাহিত হয়েছে।
বিদায় ২০২৪,
তোমার ছায়ায় কাটানো দিনগুলো
আনন্দ আর অশ্রুতে ভেজা
মুহূর্তের গল্প হয়ে থাকবে।
তোমার প্রতিটি ভোর ছিল
নতুন আশার প্রদীপ,
আর প্রতিটি রাত যেন ছিল
স্বপ্নের কারুকাজ।
তুমি এনে দিয়েছিলে সংগ্রামের মঞ্চ,
যেখানে লড়েছি—জয় করেছি,
হেরেছি, আবার উঠে দাঁড়িয়েছি।
তোমার বুকে রয়ে গেলো
হাজারো মানুষের শ্বাস,
নতুন জন্ম, পুরোনো বিদায়,
আর সেই মুহূর্তগুলো যা ভোলার নয়।
তোমার দিনপঞ্জিতে আঁকা কিছু স্মৃতি,
কেউ হারিয়েছে প্রিয়জন,
কেউ পেয়েছে ভালোবাসা,
কেউ নতুন পথে পা বাড়িয়েছে,
আর কেউ ফিরে গেছে নিজের শেকড়ে।
২০২৪, তোমাকে
বিদায় জানাতে এসে বুঝি,
তুমি শুধু সময়ের ধারক নও,
তুমি আমাদের জীবনের এক অধ্যায়।
তোমার পাতা ওল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে
আমরা তৈরি হই নতুন
বছরকে বরণ করার।
বিদায় ২০২৪,
তোমার স্মৃতির ভাঁজে আমরা রেখে যাচ্ছি
আমাদের হাসি, কান্না, আর প্রতিজ্ঞার গল্প।
২০২৫ এর
আলো যখন ঝলমল করবে আকাশে,
তুমি থেকে যাবে আমাদের হৃদয়ের কোণে—
অতীতের এক জ্বলজ্বলে প্রদীপ হয়ে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সময় রাত ১০:৫০
কবিতা কুটির -নীলফামারী।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল। ২০২৪ এর শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপু। ২৪ এ অনেক কিছু পেয়েছি অনেক কিছু হারিয়েছি। সব মিলিয়ে ২৪ এক সংগ্রামের বছর ছিল। দারুন একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
ইতোমধ্যে আমরা ২০২৪ সাল কে বিদায় জানিয়েছি এবং ২০২৫ সাল কে বরণ করে নিয়েছি। এই ২০২৪ সালে আমাদের সকলের জীবনে কম বেশি ভালো-মন্দ দিক ছিল। তবে সমস্ত কিছুকে মাথায় রেখে আমাদের নতুন বছরটাকে সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার চেষ্টা করতে হবে। আপনি ২৪ কে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি গদ্য কবিতা লিখেছেন। যার প্রতিটা লাইনেই রয়েছে আপনার বাস্তব অনুভূতি। বেশি ভালো লাগলো এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
বেশ মেধাবী আপনি আপু। আপনার প্রতিভা দেখে রীতিমত আমি নিজেও মুগ্ধ। আপনি সব সময় দারুন দারুন কবিতা লিখে আমাদের কে উপহার দেন। আজও বিদায় বছর কে নিয়ে দারুন একটি গদ্য কবিতা শেয়ার করেছেন। যা পড়ে আমি নিজেও বেশ মুগ্ধ।
আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপু। নতুন বছর আপনার অনেক ভালো কাটুক সেই কামনা জানাই। ২০২৪ এ কাটানো সেই খারাপ দিনগুলো আমি নিজেও আর মনে করতে চাই না। কবিতা টা দারুণ লিখেছেন আপু। বেশ চমৎকার লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।