ক্লে দিয়ে লাল ও সবুজ রঙের টমেটো তৈরী ||~~
বন্ধুরা সকলকে ইংরেজি নববর্ষের অনাবিল শুভেচ্ছা । আশা করি সকলে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা, কিছুদিন ধরে আমি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ ছিলাম। অসুস্থতা শুধু শরীরকেই নয়, মনকেও অনেকটা ক্লান্ত করে দেয়। কাজ করতে চাইলেও, বা আপনাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাইলেও, সেই শক্তি পাইনি। এ যেন এক ধীরগতির সময়, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত অনেক দীর্ঘ আর অনেক নিস্তেজ মনে হয়।
তবুও, এই সময়ে আমি উপলব্ধি করেছি—শরীরের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি। আমরা অনেক সময় ব্যস্ত জীবনে নিজেদের উপেক্ষা করি, অথচ শরীর যখন থেমে যায়, তখন জীবনও যেন থেমে যায়। আমি এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। এই সময়ের অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে ধৈর্য ধরতে, নিজের প্রতি একটু বেশি যত্নবান হতে।
আপনাদের সকলের সহযোগিতা আর শুভেচ্ছার জন্য কৃতজ্ঞ। আশা করছি, খুব দ্রুত আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আপনাদের সঙ্গে আগের মতোই যুক্ত থাকতে পারব।
লাল এবং সবুজ রঙের ক্লে দিয়ে কাঁচা পাকা টমেটো তৈরির এই অভিজ্ঞতাটি যেন এক অন্যরকম আনন্দের জন্ম দিল। টমেটোগুলো দেখতে ঠিক প্রকৃতির মতোই হয়ে উঠেছে—যেন হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পেয়েছে। সেগুলোর মসৃণ গঠন, রঙের গভীরতা, আর প্রাকৃতিক ছোঁয়া দেখে মনে হচ্ছে প্রকৃতির এক টুকরো এনে রেখেছি নিজের হাতে।
এমন সৃষ্টির ভেতর দিয়ে নিজের সৃজনশীলতার যে প্রকাশ, তা যেন এক অন্তর্নিহিত সুখের অনুভূতি দেয়। মনে হচ্ছে, এই টমেটো শুধু হাত দিয়ে নয়, হৃদয়ের শিল্পীসত্তা দিয়ে তৈরি করেছি। প্রত্যেকটি টুকরোতে সময়, মনোযোগ আর ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছি, যা তৈরির প্রতিটি মুহূর্তকে ভীষণ রঙিন করে তুলেছে।
এই ছোট্ট সৃষ্টির মধ্যেই যেন প্রকৃতির সৌন্দর্য আর নিজের সৃজনশীলতার মেলবন্ধন ঘটেছে। সত্যিই, এমন কাজ করে তৃপ্তি পাওয়া যায়—মনে হয়, জীবন যেন নতুন করে বেঁচে উঠেছে।
☆꧁ DIY প্রোজেক্ট-꧂
প্রয়োজনীয় উপকরন
- ক্লে
প্রথমে লাল ও সবুজ রঙের ক্লে নিলাম।
!
এবার লাল রঙের ক্লে দিয়ে গোল গোল টমেটো সেভ করে নিলাম ।
এবার সবুজ রঙের ক্লে দিয়ে টমেটো সেভ বানিয়ে নিলাম।
এবার সবুজ রঙের ক্লে দিয়ে এভাবে লম্বা করে বানিয়ে, সেট করে নিলাম ।
এভাবে লাল এবং সবুজ রঙের ক্লে দিয়ে কাঁচা পাকা টমেটো তৈরী করে নিলাম।
- তৈরি হয়ে গেল খুবই চমৎকার লাল ও সবুজ রঙের টমেটো ।
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: ডাই প্রজেক্ট
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমি একটা বিষয় সবসময় বিশ্বাস করি। সেটা হচ্ছে একজনার প্রতিভা আর একজনার জ্ঞানকে সমৃদ্ধশালী করে তোলে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ক্লে দিয়ে টমেটো তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার এই পোস্ট দেখাদেখি আমাদের মত আরও অন্যান্য ইউজাররা চেষ্টা করবে এমন কিছু অথবা আরো নতুন কিছু তৈরি করে দেখাতে। আর এভাবেই বিকশিত হবে নিজের জ্ঞান ও ক্রিয়েটিভিটি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ক্লে দিয়ে লাল ও সবুজ রঙের টমেটো তৈরী অসাধারণ হয়েছে। দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুবই সুন্দরভাবে এই ডাই পোস্ট তৈরি করেছেন।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে ক্লে দিয়ে লাল ও সবুজ রঙের টমেটো তৈরী করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি পোস্ট দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপু। আসলে নিজের দক্ষতার মাধ্যমে যেকোনো জিনিস তৈরি করলে এমনিতেই দেখতে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে প্রত্যেকটি স্টেপ উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম একটা সবজি হলো এই টমেটো। আসলে ঠিক তেমনি আপনি দারুন দারুন দুটি টমেটো তৈরি করেছেন ক্লে দিয়ে। এছাড়াও এই টমেটো তৈরির প্রত্যেকটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ক্লে দিয়ে লাল ও সবুজ রঙের টমেটো তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপু আপনার হাতের কাজ সত্যিই অসাধারণ। দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
টমেটো হচ্ছে শীতকালের অন্যতম একটি সবজি। আপনি দারুণ ভাবে ক্লে দিয়ে টমেটো তৈরি করছেন আপু।আপনার তৈরি করা টমেটো দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পোস্ট টি উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপু আনার বানানো ক্লে গুলো কিন্তু একেবারে সত্যি কারের টমেটোর মতোই হয়েছে। আপনি বেশ সুন্দর করে টমেটো বানানোর ধাপ গুলো তুলে ধরেছেন। এমন দারুন একটি পোস্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু অসুস্থতা শুধু মনকে নয় শরীরকেও ক্লান্ত করে দেয়।আপনি সুস্থ হয়ে উঠছেন জেনে ভালো লাগলো।আপনি ক্লে দিয়ে চমৎকার দুটো কাঁচা,পাকা টমেটো বানিয়েছেন। দারুণ বানিয়েছেন আপু টমেটো দুটো।ধাপে ধাপে ক্লে দিয়ে টমেটো বানানো পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর টমেটো বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।