স্বরচিত কবিতা ||"পানি লাগবে কারো পানি" 😔
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ হঠাৎ করে আসা,কিছু কালো রাত্রি পেরিয়ে ঠোঁটে মুখে বিষণ্ণতার প্রলেপ মেখে, আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
আমার লেখা "পানি লাগবে কারো পানি" কবিতাটিতে মীর মুগ্ধ নামের এক তরুণের ত্যাগ ও সহানুভূতির গল্প তুলে ধরা হয়েছি । মুগ্ধ, যিনি শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, সহপাঠীদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পানি ও বিস্কুট সরবরাহ করতেন। তার হৃদয়ে ছিল সহানুভূতি ও মহানুভূতি।
কবিতার মূল ভাব হল মানবতার সেবা এবং সহানুভূতির মহত্ত্ব। মুগ্ধের "পানি লাগবে কারো পানি" প্রশ্নটি তৃষ্ণার্তদের জন্য যেমন ছিল শান্তির প্রতীক, তেমনই তার ত্যাগের মাধ্যমে এই বাক্যটি চিরকালীন প্রতিধ্বনি হয়ে রইল। তাঁর জীবন ও মৃত্যু আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সহানুভূতি, ভালোবাসা ও ত্যাগের শক্তি কতটা মূল্যবান।
মীর মুগ্ধের এই ত্যাগ শিক্ষার্থী আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে রইলো, যা ভবিষ্যতে আমাদের সবার মধ্যে মানবতার সেবার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
""পানি লাগবে কারো পানি""
মীর মুগ্ধ নামের সেই ছেলেটি,
একদিনও ভাবেনি যে তার
জীবন এমন রূপ নেবে কখনো,
তাঁর হৃদয়ের গভীরে ছিলো শুধুই
সহানুভূতি আর মহানুভূতি
সহপাঠীদের তৃষ্ণা মেটানোর ইচ্ছা।
শিক্ষার্থী আন্দোলনের তপ্ত রোদে,
তপ্ত স্লোগানে, তপ্ত বিপ্লবে,
তাঁর হাতগুলো বয়ে আনছিলো
একটু খানি শান্তির প্রতীক—
পানি আর বিস্কুট সেই অসীম
সহানুভূতির প্রতীক।
তাঁর মুখে একটাই প্রশ্ন,
"পানি লাগবে কারো পানি" ?
একটা অমৃতের মতো শব্দ,
যা মুছে দেয় দুঃখ, বেদনা, তৃষ্ণা।
কিন্তু এই সহানুভূতির পথেই,
মুগ্ধকে থামিয়ে দিলো বুলেটের নিষ্ঠুরতা,
যে বুলেট কেড়ে নিলো তার প্রাণ,
তবু তার সেই শেষ শব্দ,
"পানি লাগবে কারো পানি ?"
থেকে গেলো এক চিরন্তন প্রতিধ্বনি হয়ে।
মৃত্যুর কিছুক্ষণের আগেও,
তাঁর মুখে ছিলো মানবতার আহ্বান,
তাঁর চোখে ছিলো সহানুভূতির আলো,
তাঁর প্রাণে ছিলো অপরিসীম সাহস।
মীর মুগ্ধের এই ত্যাগ,
শিক্ষার্থী আন্দোলনের উজ্জ্বল
নক্ষত্র হয়ে রইলো,
তার সেই শেষ বাক্য,
"পানি লাগবে কারো পানি ?"
একটি অমর গান হয়ে বেজে চললো।
তাঁর এই ত্যাগের কাহিনী,
আমাদের মনে করিয়ে দেয়,
সহানুভূতি, ভালোবাসা, আর ত্যাগের শক্তি,
যা একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে,
কিন্তু হৃদয়ে থেকে যাবে চিরকাল।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
২৯ জুলাই ২০২৪
সময় রাত ১২:৩০
কবিতা কুটির-নীলফামারী।
মুগ্ধের এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আমাদের সবাইকে মনে করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের বীরত্ব কেবল যুদ্ধে নয়, বরং মানবতার সেবায়ও পাওয়া যায়। মুগ্ধের মতো মানুষদের জন্যই পৃথিবীটা এখনও কিছুটা উজ্জ্বল।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর ভাবে মুগ্ধর শহীদের আত্ম জীবনী তুলে ধরেছেন আপু।তার কথাটি যেনো এখনও কানে বেজে উঠে।আপনি গুছিয়ে প্রতিটা লাইন উপস্থাপন করেছেন।কবিতা টি পড়ে চোখে পানি চলে আসলো আপু।
বাহ আপু আপনি বেশ চমৎকার একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।মীর মুগ্ধেকে নিয়ে লেখা কবিতাটি সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মীর মুগ্ধের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি আমি কয়েকদিন আগে দেখে আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। মানুষের মাঝে পানি এবং বিস্কুট বিতরণ করতে গিয়ে নিজের জীবনটাই চলে গেল। শহীদ মীর মুগ্ধেরনিয়ে এত সুন্দর একটি কবিতা লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
মীর মুগ্ধর জীবনের এই পরিনতির কথা ভেবে সত্যিই খারাপ লাগে আপু। আসলে যে ছেলেটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছিল সে শেষ হয়ে গেল। ভাবতেই কষ্ট লাগে আপু। আপনার লেখা কবিতা দারুন হয়েছে।
বাহ আপনি তো খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।মীর মুগ্ধের শিক্ষার্থী জীবন নিয়ে চমৎকার কবিতা লিখলেন। তবে আপনার কবিতাগুলো এমনিতে অসাধারণ হয়। সত্য কথা নিয়ে কবিতা লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। এই কবিতাটি যতই পড়তেছি ততই ভালো লাগতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্ আপনি তো অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপু। মীর মুগ্ধকে নিয়ে লেখা কবিতাটি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার কবিতাগুলা এমনিতেই অসাধারণ হয়। ওই তার প্রতিটি লাইন খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।
আপু আপনার লেখা কবিতাটি অনেক দারুন ছিল। আপনাকে স্বাদুবাদ জানাই।