স্বরচিত কবিতা|| অসুস্থতায় নীরবতা ||~~😭
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
আজ আবার ও স্বরচিত $puss কয়েনকে ঘিরে একটি গদ্য কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি আমার আজকের কবিতাটিও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। $puss নিয়ে একটি চমৎকার এবং শিক্ষণীয় কবিতা হতে পারে বিনিময় মূল্য, বৃদ্ধি, এবং সমাজের আর্থিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে। এটি তুলে ধরতে পারে কীভাবে এই অর্থনৈতিক মাধ্যমটি মানুষের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো পূরণের দিকে এগিয়ে নিতে পারে।
এই কবিতার মূলভাব হলো—অসুস্থতা কেবল শারীরিক দুর্বলতা এবং অক্ষমতার সময় নয়, বরং এটি এক ধরণের নীরব অভিজ্ঞতা, যেখানে ব্যক্তি নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পেতে শুরু করে। শারীরিক অসুস্থতা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে স্থবির করে দেয়, ব্যস্ততা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, কিন্তু সেই নীরব সময়ে এক ধরণের আত্ম-অনুসন্ধান শুরু হয়।
কবিতাটি বোঝাতে চায় যে, অসুস্থতার কারণে কমিউনিটির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে না পারলেও, এই সময়টি একটি নিজস্ব ভ্রমণের পথ খুলে দেয়, যেখানে মানুষ তার মনের গভীরে ডুব দিয়ে নিজের শক্তি ও সৃষ্টিশীলতার নতুন মাত্রা খুঁজে পায়। নীরবতার মধ্য দিয়ে চিন্তা ও প্রশ্নগুলো জেগে থাকে, এবং এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আরও গভীর, সৃষ্টিশীল এবং শক্তিশালী উত্তর নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি করে দেয়।
অসুস্থতার এই সময়টি যেন একটি অপেক্ষার সময়, যেখানে থেমে থাকা হাতে আবারও কলম ধরা হবে, নীরবতা ভেঙে নতুন আলোর সন্ধান পাওয়া যাবে। এটি একটি নীরব প্রতিজ্ঞা, যে সৃষ্টির পথ আবারও খুলবে এবং নতুন প্রশ্ন, নতুন উত্তর, নতুন সৃষ্টির জন্ম হবে।
সুতরাং, কবিতার মূল সুর হলো—অসুস্থতা কেবল একটি শারীরিক সীমাবদ্ধতা নয়, এটি আত্মবিশ্লেষণের এবং সৃষ্টিশীলতার গভীরে নতুন আলো খোঁজার এক উপলব্ধির মুহূর্ত।
অসুস্থতার দিনগুলো যেন এক অবরুদ্ধ সময়,
যেখানে প্রতিদিনের ব্যস্ততা,
কমিউনিটির সেই চেনা আওয়াজগুলো
আজ অনেক দূরের মনে হয়।
শরীর ক্লান্ত, মাথার ভেতরে একটানা
চুপচাপ প্রশ্নগুলো ভাসতে থাকে—
কেমন আছো? কেমন চলছে?
নতুন কিছু করছো না কেন?
কিন্তু আমি আজকের এই নিস্তব্ধতার মাঝে
নিজেকে খুঁজছি। আমার প্রশ্নগুলো আজ
এতদিনের জড়তায় মিশে আছে,
সময় যেন থেমে গেছে।
আমি চাইতাম আরও জানতে, আরও বলতে,
কিন্তু আজ আমি নীরব।
আমার হাত থেমে আছে,
কাগজে কলমের চলা থেমে আছে,
তবুও ভিতরে একটুকরো আলো জ্বলছে।
এই অসুস্থতায় আমি শিখছি,
কিভাবে নীরবতাও একটি ভাষা হতে পারে।
কিভাবে নিজের সাথে কথা বলা যায়,
কিভাবে থেমে যাওয়া শব্দগুলো
আবার একদিন ফিরে আসবে।
আমার ভেতরের কবি হয়তো
ক্ষণিকের জন্য স্থির,
কিন্তু এই নীরবতার মধ্যে সে তৈরি হচ্ছে
নতুন কিছু বলার জন্য।
আমার এই নীরব প্রার্থনা, আমার সৃষ্টির জগৎ,
আবার প্রশ্ন করবে, উত্তর খুঁজবে,
নতুন আলো নিয়ে ফিরবে।
আমি আবার ফিরে আসব,
নতুন আশার আলো নিয়ে।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসুস্থতা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায় সময়ে অসময়ে। এই যেমন আপনি না চাইতেও কমিউনিটি থেকে দূরে আছেন। ব্যাপার টা বেশ অনাকাঙ্খিত। অসুস্থতা আমাদের স্থবির করে দেয় শান্ত করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিক্ষাও দিয়ে থাকে। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা আপু। খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
একদম ঠিক বলেছেন।। অসুস্থতা আমাদের কে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। অনেক মানুষকে চিনিয়ে দিয়ে যায়। পরিবেশ এবং পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিয়ে যায়।