কবিতা -- নতুন ফসলের ঘ্রাণে "নবান্ন উৎসব"|~~
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
কবিতাটির মূলভাব
নবান্ন উৎসব, বাংলার গ্রামাঞ্চলের এক অপরূপ আয়োজনে ভরে ওঠে প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি পথ। ধান কাটার পর কৃষকরা যখন নতুন ফসল ঘরে তুলে, তখন আনন্দে মুখরিত হয় চারপাশ। সোনালী ধানগাছের সগর্ব দৃশ্য দেখে মনে হয়, প্রকৃতি নিজে গর্বিত হয়ে আমাদের উপহার দিয়েছে তার সেরা রত্ন। ঘর ভর্তি ধান, মিষ্টি পিঠে, তাজা সবজি, আর মনের কোণে এক অনাবিল সুখের অনুভূতি।
নবান্নে ধান মাড়াইয়ের সময়, পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। গ্রাম বাংলার মানুষগুলি একত্রিত হয়ে হর্ষধ্বনি ও আনন্দে মেতে ওঠে। তারা নাচে, গায়, এবং একে অপরকে নবান্নের মিষ্টি খাবার তুলে দেয়। ছোট-বড় সবাই মিলে মিলিত হয়, একে অপরের আনন্দে শামিল হয়। গ্রামের অন্নপ্রাশন, বাচ্চাদের শীতলাভ, নতুন ফসলের অর্ঘ্য হিসেবে ধান দিয়ে ছোট ছোট মাটির থালায় পিঠে সাজানো হয়।
এই সময়টি শুধুমাত্র কৃষকের জন্য নয়, গোটা সমাজের জন্য এক বিশেষ উপলক্ষ। মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, তাদের শ্রম ও ভালোবাসার এক শাশ্বত সাক্ষী এই নবান্ন উৎসব। তা শুধু এক কৃষিকাজের উৎসব নয়, বরং আমাদের সবার মাঝে এক নতুন আশা, এক নতুন উত্সাহের সঞ্চার করে।
শস্য শস্যে স্নাত এই মাটি,
এলো নবান্ন, খুশির সাথে।
গমের ক্ষেত, ধানের ফুলে,
মধুর সুবাস, মন ভরিয়ে চলে।
বৃষ্টি ভেজা আকাশে,
রৌদ্র হেসে ওঠে, নতুন আশায়।
কৃষকের ঘরে হাসির ঝলক,
আনন্দে মুখর, এক নব জাগরণ।
নবান্নের আলো, স্বর্ণিম রঙ,
ভাত-ডাল-পিঠে পূর্ণ সুখের দঙ্গ।
তিন ফসলের সাফল্য ধরা,
মাঠের মাঝে পায়ে পায়ে, নাচো অগণিতা।
অঙ্কিত হয় আশা, নতুন যুগের গান,
ধন্য পৃথিবী, ধন্য দান।
নবান্ন উৎসবে গাই সুখের বাণী,
জীবনের পথে, আলো-আঁধার সাথী।
তাহলে চল, সবার সাথে,
নবান্নে উল্লাসে , মেতে উঠি সমৃদ্ধির পথে।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নবান্ন উৎসবকে ঘিরে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপু। আপনি সবসময় অনেক সুন্দর কবিতা লেখেন। আপনার কবিতাগুলো পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।ঠিক বলেছেন আপু নবান্ন শুধু কৃষকের উৎসব নাই, এটি আমাদের মধ্যে নতুন আশা নতুন উৎসাহের সৃষ্টি করে। সুন্দর কবিতাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।