বাংলাদেশ ভারতের প্রেমময় সম্পর্ক অটুট থাক আজীবন🇧🇩🇮🇳
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্কের ভিত্তি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা এবং মানবিকতার ।
প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের মধ্যে যে অটুট বন্ধন, তা ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে গভীরভাবে প্রোথিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় জাতির অকৃতিম অবদান আমাদের জাতির ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। তবে, এ সম্পর্কের মূল স্তম্ভ শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক নয়, বরং মানুষের হৃদয়ের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা। প্রতিবেশী দুটি দেশের জনগণের মধ্যে এই সম্পর্ক শুধুমাত্র সংকটমুক্ত নয়, বরং একে অপরের প্রতি সম্মান এবং সহমর্মিতায় পূর্ণ।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে। তবে, এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই সম্পর্কের ভিত্তি একে অপরের জাতিগত মর্যাদা ও স্বাতন্ত্র্যের প্রতি সম্মান। দুই দেশের প্রতিটি জনগণের জন্য নিজেদের জাতীয় পতাকা এক গভীর গৌরবের বিষয়। একটি দেশের জাতীয় পতাকা শুধু তার ভূখণ্ডের প্রতীক নয়, এটি একটি জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতার প্রতিনিধিত্ব করে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আমাদের জাতীয় পরিচয়ের সর্বোচ্চ প্রতীক। এই পতাকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আমাদের সংগ্রামের চেতনা এবং আমাদের স্বাধীনতার অটুট শপথের প্রতিনিধিত্ব করে। তেমনি ভারতের জাতীয় পতাকা তার মুক্তি সংগ্রাম, ঐক্য এবং একতা প্রকাশ করে। দুটি দেশের জনগণ যদি নিজেদের পতাকাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে, তবে তা কেবল দেশের প্রতি সম্মান জানানো নয়, বরং প্রতিবেশী দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার প্রতীক।
আমাদের সবার উচিত, প্রতিটি পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার মান রক্ষা করা। এই পতাকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। যখনই আমরা আমাদের পতাকাকে দেখি, আমাদের মনে হোক এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞা—আমরা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের ঐতিহ্য, এবং আমাদের সম্পর্কের মূল্য ভুলে যাব না। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানানো আমাদের চেতনা, আমাদের সংস্কৃতি এবং আমাদের দায়িত্বের অংশ। আমাদের উচিত, এই পতাকাকে তোলার সময় যথাযথ আচরণ এবং নিয়ম অনুসরণ করা, যাতে এটি তার সত্যিকারের মর্যাদা পায়।
বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক যতই মজবুত হোক, এই সম্পর্কের অটুট থাকা এবং জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারি। আমাদের জাতীয় পতাকা এবং প্রতিবেশী দেশের পতাকা প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং সুখী প্রতিবেশী সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হতে পারি।
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জাতীয় পতাকা মানেই একটি দেশের একটি সকল স্তরের মানুষের একটি প্রতীক।আর জাতীয় পতাকা অসম্মান করা মানেই একটি দেশের সর্বস্তরের মানুষের সাথে অসম্মান করা। ইতিহাসের পাতায় ভারত আমাদের একটি প্রতিবেশী দেশ।আর আমরা এই প্রতিবেশী দেশের সাথে সর্বদা সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।
যে কোন দেশের জাতীয় পতাকাকে আমাদের সম্মান জানানো উচিত। এবং আমি নিজেও তা করি। দুই বাংলার এই মেলবন্ধন যেন চির অটুট থাকে এটাই প্রত্যাশা।
অসাধারণ একটি পোষ্টের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশ সৌভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্কের কথা তুলে আনলে। ভারত এবং বাংলাদেশ বহু দিনের পুরনো বন্ধু। তাই আমাদের উচিত সর্বতোভাবে এই সম্পর্ককে তুলে আনা এবং আমাদের বন্ধুত্বকে অটুট করে তোলা।
দুই দেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা যেন পুনরায় সৃষ্টি হয়। এবং ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটুক এটাই প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে রয়েছে। আর এই সম্পর্ক যেন অটুট থাকে সারা জীবন ধরে এই দোয়া করি। ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে বাংলাদেশ আর ভারত এটাই যেন আমাদের কাম্য।
দুই দেশের মধ্যে যে প্রেমময় সম্পর্ক ছিল তা যেন অটুট থাকে। কোন কারনে আমরা নিজেরাই যেন নিজেদেরকে আঘাত না করি। এই শুভকামনা সব সময়।