সকল কে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।

---

বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে চীন থেকে প্রাপ্ত "Market Expansion Award" : এক অনন্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। অনন্য এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলে আমারও ভীষণ ভালো লাগবে।

চীনে পৌঁছানোর দ্বিতীয় দিনে আমরা বিশাল বড় একটা কনফারেন্স রুমে যাই। কারণ সেখানে ছিল বিশাল আয়োজন। এখানে আমরা প্রায় ৩৮ টি দেশের লোক একসাথে হয়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতার সত্যিই ভিন্ন রকম। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য কতগুলো যোগ্যতা লাগে। এবং সেই যোগ্যতাগুলো অর্জন করে এই পর্যন্ত আসতে হয়। আপনারা অনেকেই জানেন মার্কেটিং সম্পর্কে আমার ছোট ছোট ধারণা আছে। এবং মার্কেটিং এর উপরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া এবং চীন থেকে ইতিমধ্যে সম্মাননা স্মারক পেয়েছি স্বীকৃতি হিসেবে। চীন থেকে যে সার্টিফিকেটটি পেয়েছি আজ মূলত সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি অনুভূতি সহ।

প্রত্যাশা রাখছি এই অর্জন আমাদের সকলের

চীন থেকে প্রাপ্ত "Market Expansion Award" : এক অনন্য অভিজ্ঞতা

---

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোনো স্বীকৃতি পাওয়া যেকোনো ব্যক্তির জন্যই গর্বের এবং আনন্দের একটি মুহূর্ত। "Market Expansion Award" প্রাপ্তি আমার জন্য শুধু একটি অ্যাওয়ার্ড নয়, বরং এটি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, যা আমার কাজ এবং প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করেছে। এই সম্মাননা প্রাপ্তির প্রতিটি মুহূর্ত, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রাপ্তির অনুভূতি

চীন থেকে এই সম্মাননা প্রাপ্তি আমার জীবনে একটি বিশেষ মাইলফলক। এশিয়ার এই বৃহত্তম দেশ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া আমার জন্য একদিকে গর্বের, অন্যদিকে সম্মানের। এটির মাধ্যমে আমার কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণিত হয়েছে। এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পুরো দেশের জন্যও একটি গৌরবের বিষয়। অ্যাওয়ার্ডটি হাতে পাওয়ার মুহূর্তটি ছিল অত্যন্ত আবেগময় এবং আনন্দঘন। বিভিন্ন দেশের এবং সংস্কৃতির মানুষের সাথে দেখা হওয়া, তাদের অভিজ্ঞতা শোনা, এবং নিজের কাজের স্বীকৃতি পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অনন্য।

কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের স্বীকৃতি

এই অ্যাওয়ার্ডটি আমার কঠোর পরিশ্রম এবং নিবেদনের প্রতিফলন। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি নতুন কিছু করতে, বাজার সম্প্রসারণে নতুন ধারণা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করতে। এই প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগের ফলস্বরূপ আমি এই বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছি। আমার কাজের প্রতিটি ধাপেই ছিল চ্যালেঞ্জ এবং তা অতিক্রম করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে এই সম্মাননা প্রমাণ করেছে যে কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল সবসময় মিষ্টি হয়।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। এখানে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়। এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি যে সঠিক দিকনির্দেশনা, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী ধারণা একজনকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমি শিখেছি বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে, যা আমার ভবিষ্যতের কাজকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

এই সম্মাননা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য। আমি ভবিষ্যতে আমার কাজের গুণগত মান আরও উন্নত করতে চাই এবং নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, এই সম্মাননা আমার জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। আমি নতুন প্রযুক্তি এবং বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরও বৃহত্তর পরিসরে কাজ করতে চাই। এছাড়াও, আমি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই, যেখানে তারা আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারে এবং তাদের উদ্যোগে সফল হতে পারে।

সমাজের প্রতি অবদান

এই স্বীকৃতি শুধু আমার জন্য নয়, বরং আমার সমাজ এবং দেশের জন্যও একটি গর্বের বিষয়। আমি এই সম্মাননাকে কাজে লাগিয়ে সমাজের জন্য আরও ভালো কিছু করতে চাই। বিশেষ করে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা ভাগাভাগি করতে চাই। আমার লক্ষ্য হলো, নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করা।

শেষ কথা

চীন থেকে "Market Expansion Award" প্রাপ্তি আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। এটি আমার কাজের মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির প্রমাণ। এই সম্মাননা আমার জন্য অনুপ্রেরণা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা। আমি আশাবাদী, আমার এই সাফল্য আমাকে আরও বড় কিছু করতে এবং সমাজের জন্য অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে। এই সম্মাননা আমাকে ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী এবং উদ্যোগী হতে সাহায্য করবে, এবং আমি সবসময় আমার কাজের মাধ্যমে দেশ এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।

আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।

---

---

বিষয়: লাইফ স্টাইল
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......