।।ভ্রমণ পোস্ট।। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে একদিন।।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আজকে। গিয়েছিলাম গত বছর এই শিক্ষা বোর্ডে। মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে। সেটি আমার নয় আমার এলাকার এক ছোট ভাইয়ের। পিকচারগুলো বছরখানেক আগের। গ্যালারিতে কি নিয়ে পোস্ট করব সেই টপিক খুঁজতে যেয়ে এই পিকচার গুলো চোখের সামনে পড়ে গেল তাই ভাবলাম দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের বছর খানেক আগে হওয়া কিছু কথা তুলে ধরব। যদিও বা বর্তমানের অবস্থা আমার জানা নেই।
এলাকার এক ছোট ভাই বলছিল অনেকদিন আগে থেকেই সে নৌবাহিনীতে আবেদন করেছে সেখানে নাকি এসএসসি সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তখন তাকে নিয়ে তার স্কুলে চলে গেলাম খোঁজ করে জানতে পারলাম সার্টিফিকেট এখনো শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠানে পাঠায়নি। কিন্তু সে সময় সার্টিফিকেটটার অনেক প্রয়োজন ছিল। কেননা ছোট ভাইয়ের নৌবাহিনীতে আবেদন করার মাঠ খুব তাড়াতাড়ি চলে এসেছিল। অবশেষে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম শিক্ষা বোর্ডে চলে যাব। তার জন্য স্কুল প্রধানের কাছ থেকে সব বিষয় জেনে নিলাম। আর স্কুল প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে একটি আবেদন লিখে নিলাম সেখানে তার স্বাক্ষর নিয়ে নিলাম। বলা যায় না হুট করে গেলেই প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ছাড়া সার্টিফিকেট দিবে কিনা। সিদ্ধান্ত নিলাম তারপরের দিন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
পরের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই রওনা হলাম দুজনেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশ্যে। শিক্ষা বোর্ডে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় বারোটা বেজে গিয়েছিল। কি আর বলবো নানা রকম দুর্নীতির শিকার হয়ে গেছিলাম। পরে ভিন্ন উপায়ে অবলম্বন করে সেই সকল দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলাম। প্রথমে ই শিক্ষা বোর্ডের পাশে অবস্থানরত একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে কম্পিউটার প্রিন্টের একটি আবেদন পত্র লিখে নিলাম সার্টিফিকেট উঠানোর নিমিত্তে। কি আর বলবো ভাই এই সার্টিফিকেট উঠানোর আবেদন পত্র টা লেখাই কম্পিউটার অপারেটর চেয়েছিল এক হাজার টাকা। বুঝিয়ে শুনিয়ে ৪০০ টাকা দিয়েছিলাম। তারপরে শিক্ষা বোর্ডের ভবনে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে নিচ তলায় সোনালী ব্যাংক শাখা ছিল সেখানে আমাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের অ্যামাউন্ট পে করতে বলে সেটাও সম্পূর্ণ করে ফেললাম আমরা তারপরে চলে গেলাম তৃতীয় তলায় যেখানে আমাদের সার্টিফিকেট প্রদান করবে।
সেখানে গিয়ে পড়ে গেলাম আরেক বিড়ম্বনায়। সবথেকে যে বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লেগেছিল তা হচ্ছে ভবনের পঞ্চম তলা থেকে তৃতীয় তলায় একটি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য নির্বাহী ব্যক্তি আমাদের কাছে ২০০ টাকা চেয়েছিল। আমার কেন জানি সহ্য হচ্ছিল না আর। মুখের উপর সবার সামনেই নানারকম কথা বলে দিলাম তাকে। শেষে তাই বললাম দুর্নীতি বন্ধ করেন নইলে পুলিশে অ্যাপ্লিকেশন করতে বাধ্য হব। হঠাৎ যেন পুরো তৃতীয় তলা থমকে গেল। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য এটাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তারপরেও আমাদের থেকে একশত টাকা আদায় করে নিয়েছিল। যাই হোক সেই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। যা ছিল আগের সময়কার অবস্থা। জানা নেই এখন কি অবস্থায় পতিত হয়েছে শিক্ষা বোর্ড। সর্বক্ষেত্রে যেন দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেই রয়েছে। প্রার্থনা করি এরকম দুর্নীতি যেন আমাদের দেশ থেকে চিরতরে বিদায় নেয়।
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
ডেইলি টাস্ক প্রুফ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/mdetshahidislam/status/1870870709943308656?t=VCGiP9wejyC6EMzkiMj_FA&s=19
সবকিছুই ঠিক ছিল ভাই এতক্ষণ কম বেশি পড়তে পড়তে এসে ২০০ টাকা চাওয়ার বিষয়টা আমার কাছে একটু কেমন কেমন লাগলো। সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগে কারণে-অকারণে এভাবে টাকা ঢালতে হয়। তবে যাই হোক অনেক কিছু দেখার জানার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি।
Hello there! 👋🏼
There's a new travel community that is active now through this link:
https://steemit.com/trending/hive-188972
Suscribe and feel free to share your travel adventures there moreover of tips, food, nature and more.🚌
~ Join the Discord server + Telegram group and have a happy day.👍🏼