রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার অভিজ্ঞতা।। পর্ব --5
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরার অভিজ্ঞতা:
রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার এর আগেও আমি চারটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম আজকে আপনাদের মাঝে পঞ্চম পর্ব নিয়ে আসলাম। সেই পর্বগুলোতে জমিদার বাড়ির বাইরের অংশ তথা প্রাঙ্গণ প্রাসঙ্গিক কিছু চিত্র এবং কথা তুলে ধরেছিলাম। আজকে নিয়ে যাব ডিরেক জমিদার বাড়ির ভিতরের অংশে। চলুন তাহলে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
আপনাদের মাঝে গত পর্বে দেখিয়েছিলাম জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গণে বৃক্ষ কাটিং ডিজাইন তথা বৃক্ষ কেটে কেটে নানা রকম ডিজাইন দিয়েছিল এই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিবর্গ। সেগুলো থেকে আপনারা খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই আপনাদের মাঝে পঞ্চম পর্ব নিয়ে আসলাম। আগের পর্বে দেখানো বৃক্ষ কাটিং ডিজাইনগুলো অতিক্রম করে চিকন রাস্তা ধরে একটু সামনের দিকে এগুলে পেয়ে যাবেন রাজবাড়ীর মেইন ফটক।প্রাসাদের বাহির থেকে দেখলেই বুঝতে পারবেন কতটা দৃষ্টি নন্দন। চমৎকার একটি সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। যা অনেকটা জায়গা বিস্তৃত। সেই সাথে প্রাসাদের সামনের কারুকার্য এতটাই নিখুঁত এবং সৌন্দর্যপূর্ণভাবে তৈরি করেছে যা দেখেই 'ভালো, বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রাসাদ নিয়ে আরো বেশ কিছু কথা আপনাদের মাঝে এটি পূর্বের পর্বগুলোতে শেয়ার করেছিলাম। এই প্রাসাদ মূলত রাজারা চলে যাওয়ার পর অনেক কাল যাবত পড়েছিল পরবর্তীতে হাইকোর্ট কর্তৃক সংস্কার করে উদ্বোধন করা হয়। জায়গা দেওয়া হয় এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর। তারই ফলশ্রুতিতে এই প্রাসাদের নামকরণ করা হয় রংপুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কেন্দ্র তথা রংপুর জাদুঘর আবার অনেকেই রংপুর রাজবাড়ী নামেও জেনে থাকেন। এখানে বহুকাল আগের রাজা রানীদের এবং রাজ দরবারের সমস্ত কার্যসম্পন্ন যন্ত্রাংশ সেই সাথে পাঠ্যবস্তু সমস্ত কিছু সংরক্ষিত করা হয়েছে। যা দেখলেই একটু অবাক লাগে তবে সৌন্দর্যপূর্ণ। প্রাচীন সেই সময়ের লেখাগুলো দেখলেই যেন একটু বিস্মিত অনুভব হয়। কিছু কিছু লেখা রয়েছে যা বোঝার মত কোন উপায় নেই। আস্তে আস্তে তা আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো।
প্রাসাদের মেইন ফটকের প্রথম ফ্লোরে যখন আপনারা প্রবেশ করবেন তখন আমার পোস্টে উপরে দেখানো ফটোগ্রাফি গুলির মত দুটি ব্যানার দেখতে পাবেন। প্রথম ফ্লোরে ঢোকেই সামনে আপনারা যে ব্যানারটি দেখতে পাবেন সেটিতে খুবই সুন্দর এবং চিত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করে তারা দেখিয়ে দিয়েছে এই প্রাসাদ নির্মাণ করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়েছিল। সেই সাথে এই প্রাসাদের মধ্যে কোথায় কি রয়েছে কোন ডিজাইন দেওয়া হয়েছে কোথায় এবং এই প্রাসাদ নির্মাণকালে কি পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল সমস্ত ডিটেলস আপনারা এই ব্যানারের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তারপরে বাম দিকে আরও একটি ব্যানার দেখতে পাবেন সেটি হচ্ছে এই প্রাসাদে যে সকল রাজারা তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছিল তাদের একটি নামের লম্বা লিস্ট। এই দুটি ব্যানার থেকেই আপনারা এই প্রাসাদ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
মেইন ফ্লোরের ডানদিকে আরও একটি ব্যানার দেখতে পারবেন। যে ব্যানারের মধ্যে খুবই সুন্দর করে চিত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে এরকম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা রাজপ্রাসাদ গুলি আরো কোথায় কোথায় রয়েছে। সেই সাথে সেই রাজপ্রাসাদ গুলি বা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি কে নির্মাণ করেছিল কোন রাজা সর্বপ্রথম সেখানে রাজ শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং কোন কোন জায়গায় এই প্রাসাদ গুলি কোথাকার মিস্ত্রী দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত কিছু এই ব্যানার তিনটির মধ্যেই আপনারা দেখতে পারবেন। তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আগামী পর্বে প্রাসাদের ভিতরে চলে যাব যেখানে দেখতে পারব আমরা প্রাচীন যুগের বেশ কিছু নিদর্শন। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই আশা ব্যক্ত করছি। আল্লাহ হাফেজ।
........................................................................
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
x promotion
রংপুরের জমিদার বাড়ির আরো একটি পর্ব আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন। এত পূর্বে আমি বেশ কয়েকটা পর্ব লক্ষ্য করেছি এবং অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছিলাম। ঠিক সেভাবে আজকেও অনেক সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এই জমিদার বাড়ি সম্পর্কে। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ভ্রমণ পোস্ট।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এরকম পুরাতন বাড়ি রয়েছে যেগুলো জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। যাই হোক সংস্করণের মাধ্যমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভিন্ন এক সৌন্দর্য বয়ে এনেছে। আপনি দেখছি সেখানে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন। আমাদের সাথে সেই মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।