।।ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে একদিন, লালবাগ, রংপুর।।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
সময়টা এইতো কিছুদিন আগের। ভার্সিটি ক্যাম্পাসে হয়েছিল বিতর্ক প্রতিযোগিতা যা আপনাদের মাঝে আরো বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। তবে আজকে সে বিষয়ে কোনো কথা নয় । বলব সেই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমার টিমকে ডিপার্টমেন্ট থেকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল। এটা কোন পুরস্কার নয় তবে এটা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা দিয়েছিলেন আমাদের খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। তো আমার টিমে ছিল প্রধান বিতার্কিত আমি সহ তিনজন। আমি এবং আমার সাথে ছিল আর দুজন মেয়ে। আর আমাদের পিছনে ছিল আরো দুজন যাদেরকে মূলত টিম সহযোগী বলা হয়। মানে টোটালি পাঁচ জনের টিম।
আমাদের পাঁচ জনের জন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে দুপুরের খাওয়ার জন্য টাকা বরাদ্দ হয় কিন্তু তার মাঝে আরো বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব কে আমরা এড করে নিয়েছিলাম কারণ তারাও ছিল আমাদের সাথে। সব মিলিয়ে আমাদের সাথে প্রায় ছয় থেকে সাত জনের মত হয়েছিল। ডিপার্টমেন্ট থেকে পাওয়া গিফটের টাকাটি নিয়ে আমরা চলে গেলাম ক্যাম্পাসের বাহিরে কিছু খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। প্রথমেই চিন্তা করলাম কাচ্চি ডাইনে যাব। পরে ভেবে দেখলাম ক্যাম্পাস থেকে কাচ্চি ডাইনি যেতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক চিন্তা করলাম এখানেই কোন একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে খেয়ে নিব। সবার থেকে পরামর্শ নিয়ে ক্যাম্পাসের বাহিরেই একটি বিরিয়ানি হাউজ ছিল ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ। সবাইকে নিয়ে চলে গেলাম ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে।
জিজ্ঞাসা করে নিলাম প্রতি প্লেট বিরিয়ানি তারা কত করে বিক্রি করছে। জানতে পারলাম প্রতি পেলেট বিরিয়ানি তারা ১২০ টাকা করে বিক্রি করছে। হাফ প্লেট করে। আমরা মানুষ ছিলাম সাত জন। সব জেনেশুনে বিরিয়ানি অর্ডার দিয়ে দিলাম এরই মাঝে আমরা আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। যেমন আমি সেট করে দিয়েছিলাম কখন কাকে কিভাবে পয়েন্ট তুলতে হবে। কখন বিরোধীদলীয় বক্তাদের ব্রেনলি অ্যাটাক করতে হবে। আরো অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। এরই মাঝে আমাদের অর্ডার করা বিরিয়ানি চলে আসে আমাদের টেবিলে। খুদাও লাগছিল অনেক। আসলে সময়টা এমন যাচ্ছে দিনের মাত্র এক বেলা করে খাওয়া হচ্ছে তাতেই ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাচ্ছে এর মাঝে হয়তোবা নাস্তা খাই এর বেশি কিছু না। মানে আমার খাওয়া দাওয়া কোন রুটিন নেই।
এই বিরিয়ানি হাউজের বিরিয়ানি গুলো আসলেই মজাদার ছিল। যদিও বা প্রায়শই বিরিয়ানি খাওয়া হয় তবে এগুলো যেন একটু আলাদা লাগছিল। তাছাড়াও আরো অন্যান্য খাবারগুলো খাওয়া হয়। বলতে পারেন যেটুকুই খাই ভালো কিছু খাওয়ার চেষ্টা করি ইদানিং সময়ে। আগে যদিও বা অনেক টাকা সেভ করতাম। কিন্তু এখন আর ওগুলো বিষয় ভাবি না। প্রত্যেকেই বিরিয়ানি গুলোর অনেক প্রশংসা করছিল। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেই দিনের মতো যে যার মত করে বাসা চলে গিয়েছিলাম। সময়টা মোটামুটি ভালই ছিল। বন্ধুরা আজকের মত এ পর্যন্তই।
টা টা...........
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X promotion
ডেইলি টাস্ক প্রুফ।
বেশ ভালোলাগার মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার এই অনুভূতি দেখে বেশ ভালো লেগেছে। যেখানে আপনারা বেশ অনেকজন একসাথে চলেছেন খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আপনাদের চলাচল শুভ হোক।