বৃক্ষমেলায় গাছ কেনার অনুভূতি❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
বেশ ঠান্ডা পড়েছে। মেয়ের স্কুল নয়টায়।ঘুম থেকে উঠতে হয় সারে সাতটায়।এরপর মেয়েকে ব্রাশ করানো, খাওয়ানো,রেডি করানো।যদিও বা ড্রেস সে নিজে পড়তেই ভালোবাসে তবে খাইয়ে দিতে হয় কারণ এক ঘন্টা লাগে সে নিজে হাতে খেলে।
আজ রাতে পাশের বাড়ির এক বাচ্চার জন্মদিন ছিলো ও নিমন্ত্রণ ছিলো।মা মেয়ে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসেছি এগারোটায়।মেয়েকে প্রতিদিন ঘুম দেই দশটায়। তারাতাড়ি ঘুম দিলে সে ঘুম থেকে ওঠে তারাতাড়ি। দেরি করে শুইলে উঠতেও দেরি হয়।জন্মদিন বাড়ি থেকে এসে ঘুমাতে ঘুমাতে সারে এগারটা বেজে গেছে। আমি আবার রাত দুটার আগে ঘুমাই না।
সকালে মেয়ে ঘুম থেকে উঠতে চাইলো না।ঘুম ঘুম মলিন মুখটা দেখে আর জোর করে তুল্লান না।শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম গতকাল রাতে ফোন এসেছে কুরিয়ার থেকে তাহলে গাইবান্ধা গিয়ে নিয়ে আসি জিনিস গুলো।অন্যদিন গেলে মেয়ের স্কুল নষ্ট হবে।আজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে তাই দিনটা কাজে লাগাই।
নয়টায় ঘুম থেকে উঠে খেয়ে স্নান সেরে সারে দশটা রওনা হলাম গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে।কুরিয়ারের কাজ সেরে আরো কিছু কাজ ছিলো সেগুলো সব সেরে চলে গেলাম অটোতে উঠবো বাড়ি আসার জন্য। আমাদের এলাকার পরিচিত সব অটো এখানে থাকে।যাত্রী হয়নি একটিও।ব্যাগ রেখে বলছিলাম দেরি হবে কি আপনার।আটোওলা বললেন আজ গাছ নেবেন না।আমি বললাম হ্যাঁ দেখি ভালো গাছ পাই কি না।গাইবান্ধা গেলেই ফুলের গাছ কিনি আর সেজন্য বলেছে।
ওনি বললেন মেলা হচ্ছে গাছের। তাকিয়ে দেখি সত্যি তো খেয়াল করিনি। আমি ব্যাগ অটোতে রেখে বৃক্ষ মেলায় গেলাম।আজকেই শেষ দিন মেলার সুন্দর সুন্দর সব গাছ এসেছে মেলায়।
খুব সুন্দর সুন্দর হরেক রকমের গোলাপ গাছ এসেছে। ফুলে ফুলে গাছ ভর্তি। লাল,হলুদ, গোলাপি,সাদা,লাল নানান কালারের গোলাপ।দামও বেচ চড়া।মেলা বলে কথা।বাইরে যে গাছ ৮০ টাকা সেই গাছ ২৫০ টাকা চাচ্ছে তবে অনেক আকর্ষণীয় গাছ গুলো।বেশ তরতাজা গোলাপ গাছ গুলো।
অনেক গাছ দেখলাম সুন্দর সুন্দর তবে ফটোগ্রাফি করা হয়নি। খুব সুন্দর সুন্দর পাতাবাহারের গাছ লক্ষ্য করলাম।এই কচুগাছের মতো গাছ গুলোর নাম আছে তবে আমি জানি না।এই কচু গাছের মতো পাতাবাহারের গাছ গুলো আমাদের বাড়িতে অনেক ছিলো।আমার ভাই লাগিয়ে ছিলো। অনাদর অবহেলায় বেড়ে ওঠা গাছ গুলোর এতো দাম জানতাম না।বেশ ভালো লাগলো গাছ গুলো।তবে কিনলাম না।আজকে গাছ কেনার কোন প্লান ছিলো না আর দামটাও বেশি মনে হচ্ছে তাই নেওয়া হয়নি।
আমরা জানি বট বৃক্ষ মানে বিশাল বড়ো প্রকান্ড ডালপালা।অনেক এলাকা জুড়ে থাকবে ছারা।তবে বটগাছের বনসাই অনেক জনপ্রিয়। ছাদে বা বারান্দায় বনসাই গাছ লাগিয়ে থাকে বৃক্ষপ্রেমিরা।তাই তো এই বনসাই বৃক্ষের চাহিদা অনেক।এখানে বেশ কয়েকটি বনসাই বটবৃক্ষ লক্ষ করলাম। ফটোগ্রাফি করলাম একটার তবে সুন্দর গাছটির ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
এখন আর সব গাছ দেখা বাদ দিয়ে আমার কাঙ্খিত গাছ চৈ গাছ কেনার ইচ্ছে পোষন করলাম এবং খুব সুন্দর সুন্দর কিছু চুই গাছ দেখলাম।অনেকদিন থেকে এই গাছ খুজছিলাম। চুই ঝাল আমার খুব পছন্দের। চুই ঝাল দিয়ে মাংস রান্না করে খেতে অসাধারণ লাগে।আমাদের এলাকায় সচরাচর কিনতে পাওয়া যায় না এই চুই তাই অনেকদিন থেকে খুঁজছিলাম চুই গাছ আজকে পেয়ে আর না কিনে থাকতে পারলাম না। খুব সুন্দর সব গুলো চুই গাছ।এখান থেকে একটি চুই গাছ কিনে নিলাম।
চুই গাছ কেনার সময় মেয়ে দেখতে পেলো ড্রাগন ফলের গাছ বায়না ধরলো ড্রগন গাছ কিনবে।আমরা জানি ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও আয়রন সমৃদ্ধ তাই এই ফল গেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।যদিওবা এই গাছ চাষ সম্পর্কে ধারণা নেই বা কাউকে লাগাতে দেখিনি তাই নিয়ে নিলাম একটি গাছ। গাছটি বেশ সুন্দর লাগলো। মেলা থেকে বের হওয়ার সময় একটি পুদিনা গাছ নিয়েছি।
গাছ কেনার প্লান করে মেলায় না ঢুকলেও নিজের পছন্দের গাছ তিনটি কিনেছি।আরো অনেক গাছ পছন্দ হয়েছিল কিন্তুু বড়ো একটি খরচের ব্যাগ ছিলো তাই আর গাছ নিতে মন চাইলো না।খুব পছন্দ হয়েছিল একটি মাল্টাসহ মাল্টা গাছ।বিশাল বড়ো বড়ো মাল্টা ছিলো গাছ ভর্তি।
আর বেশি গাছ দেখা হয়নি কারণ ততক্ষণে অটোওলার অটোতে লোক হয়ে গেছে। আমাকে ডাকতে লোক পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাই আর দেরি না করে তারাতাড়ি চলে গেলাম অটোতে এবং বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।বাড়িতে এসে গাছ গুলো লাগিয়েছি উঠানে।জল দিতে হবে বিকেলে তবেই তরতাজা হয়ে উঠবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
বৃক্ষ মেলা থেকে গাছ কেনার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার এই অনুভূতির মধ্য দিয়ে অনেক কিছু দেখার অজানার সুযোগ হল। আমি মনে করি প্রত্যেক বছর কম বেশি গাছ কেনা এবং লাগানো প্রয়োজন। যেকোনো গাছ হোক না কেন সেগুলো পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রতি বছর গাছ লাগানে প্রয়োজন।
গাছ কিনবেন না ভেবেও বেশ কিছু গাছ আপনি কিন্তু কিনেই ফেলেছেন। ড্রাগন গাছ লাগানোর ইচ্ছে আমারও রয়েছে কিন্তু কোথায় পাবো বা তার পরিচর্যা কি তা না জানার ফলে কেনা হয়ে উঠছে না। বৃক্ষ মেলা আমাদের এদিকে খুব একটা হয় না তাই বৃক্ষ মেলায় গেলে ঠিক কেমন অনুভূতি হয় এসে শুধু আপনাদের পোস্ট করেই জানি। নিজস্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই। ভালো লাগলো আমিও যদি এমন বৃক্ষ মেলায় যেতে পারতাম বড় খুশি হতাম।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বৃক্ষ মেলায় গিয়ে পছন্দের তিনটি গাছ কিনে ফেললেন আপু। গাছ দেখলেই ইচ্ছে করে কিনে বাড়ি ভর্তি করি। তবে লাগানো যথেষ্ট জায়গা না থাকলে গাছসহ নিজের অনেক কষ্ট। তবে চুই গাছ আজকে প্রথম শুনলাম কিন্তু এর আগে মাংস দিয়ে রান্না করতে দেখেছি। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
গাছ লাগানোর জায়গা অনেক আছে আপু।মাংস দিয়ে রান্না করলে দারুণ লাগে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বৃক্ষ মেলায় যেতে ভালোই লাগে। নতুন নতুন গাছ-গাছালি সম্পর্কে জানা যায়। এবং নিজেদের পছন্দের গাছ কেনা যায়। আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং পছন্দ মত কিছু গাছ কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও ভালো লেগেছে। একটি চুই গাছ কিনেছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
একদমই ঠিক বলেছেন নতুন নতুন গাছগাছালি সম্পর্কে জানা যায়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু, আমিও বৃক্ষ প্রেমিক। নার্সারিতে বা, বৃক্ষ মেলায় গেলে কোন গাছ রেখে কোন গাছ কিনবো এই নিয়ে বেশ চিন্তার মধ্যে থাকি। আপনার বৃক্ষ মেলায় গাছ কেনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। বেশ কয়েকটি গাছ ক্রয় করেছেন শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমারও একই অবস্থা বৃক্ষ মেলায় গেলে বা নার্সারিতে গেলে মনে হয় সব গাছ কিনে নিয়ে যাই বাড়িতে।
সত্যি বলতে আমি গাছপ্রেমী মানুষ। গাছ আমার অনেক পছন্দ আমি নিজেও সময় সুযোগ পেলে নানা ধরনের গাছ সংগ্রহ করে থাকি। আপনি বৃক্ষ মেলা থেকে গাছ সংগ্রহ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। মেলায় নানা ধরনের গাছ পাওয়া যায় এবং তা স্বল্পমূল্যেই বিক্রয় করা হয়। আমি অনেকবার চুই ঝাল গাছ তৈরি করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তা বাঁচাতে পারিনি।
আপনি গাছ প্রেমিক জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মনটা চাই গাছের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায় শুকরিয়া আপু।
বৃক্ষমেলায় গেলে জানা ও অজানা অনেক গাছের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়।তেমনি বেশ পরিচিত গাছের ছবি দেখতে পেলাম।আমি কখনো ড্রাগন ফল খায়নি তবে আপনি এই গাছ কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
ড্রাগন ফল আমার মেয়ের পছন্দের তাই গাছ কিনে লাগিয়েছি।ড্রাগন ফল সুস্বাদু নয় তবে পুষ্টিকর।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বৃক্ষ মেলায় গিয়ে পছন্দের তিনটি গাছ কিনেছেন। মেলায় গেলে আমারও এরকম হয়। প্রথমে মনে হয় কিছুই কিনবো না পরে অনেক কিছু কিনা হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার গাছ কেনার অনুভূতিমূলক পোস্ট। শুভকামনা আপনার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।