শনি পূজো❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
শনি পূজা।অনেক দিনের ইচ্ছে ও মানত ছিলো মূর্তি দিয়ে শনিপূজা করবো।প্রতি বছর পূজা হয় তবে মূর্তি দিয়ে নয়।নিরাকার ভাবে হয়।শনিবারে শনি পূজো করতে হয়।নিরাকার ভাবে শনি পূজোর জন্য মাসে শুধু শনিবার হলেই হয় তবে মূর্তি দিয়ে পূজে করলে অবশ্যই অমাবস্যায় করতে হয় পূজো।সেজন্য আমিও অমাবস্যায় করলাম শনিপূজো।
শনিপূজা আমরা বাইরে করি এবং প্রসাদ ঘরে তুলি না।শনি মন্দির থাকলে মন্দিরে পূজা করা যায় তবে বাড়ির ঘরে শনিপূজা করা যায় না।আমাদের বাড়িতে দূর্গা মন্দির ও লোকনাথ মন্দির আছে কিন্তুু শনি মন্দির নাই আর সেজন্য শনি পূজা বাইরে করতে হয়েছে।
সকালে উঠে শুরু হয়েছে পূজার আয়োজন আর শেষ হয়েছে পূজো শেষের মধ্য দিয়ে। পূজো শেষ হয়েছে সন্ধ্যা সাতটায়।পূজোর ভোগের জন্য পায়েস লুচি,সুজি,ফলমূল, মক্ষীত।মূর্তি দিয়ে এই প্রথম শনি পূজো করলাম বাড়িতে।
বার বেলায় এই পূজো বসাতে হয় তাই চারটার পর পূজো শুরু করা হয়েছে। শনি দেবতা বাইরে একটি আসন পেতে বসানোর পর তার চারপাশে নীলও চালের গুড়ি মিশিয়ে আলপনা দিয়েছি।
পুরোহিত পূজোর সব কিছু ঠিক করে নিলেন। এরপর শুরু হলো পূজো।পুরা পূজো শুরু থেকে একটি প্রজাপতি উড়াউড়ি করছিলো। এরপর পূজোর মাঝে সে প্রসাদের ফলে বসে পড়লো ও মনের আনন্দে কমলার রস খেতে থাকলো।
প্রজাপতি কে শুভ আর পূজার প্রসাদ খাওয়াটা আমার কাছে আরো বড়ো শুভ মনে হলো।
পূজা শেষে হতে না হতেই পূজোর প্রসাদ খাওয়ার জন্য সবাই আসতে থাকলো।পূজো শেষ প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে জন্য দিয়ে যাওয়া হলো মন্দিরে আর গিয়ে পুকুরে নামতে না নামতেই দুটো সাপ খেলা করছিলো।বিষাক্ত নয় তবুও ভয়ংকর। সাপতো সাপে হয় বিষাক্ত হোক বা না হোক সাপ দেখলে ভয় তো লাগবেই।
সাপ দুটোকে তারিয়ে দিয়ে বিসর্জন দেয়া হলো প্রতিমা।
প্রতিমা বিসর্জনের পর সবাইকে প্রসাদ খেতে দেয়া হলো।এতোটাই ব্যাস্ত ছিলাম যে প্রসাদ খাওয়ার ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।প্রসাদ খাওয়ানোর জন্য আমি একশো পিস হাফ ওয়ান টাইম প্লেট নিয়ে এসেছিলাম সব গুলোই শেষ হয়ে গেছে।
মূর্তি শনি পূজোয় অবশ্যই যজ্ঞ করতে হয় এবং সেই যজ্ঞে অবশ্যই শোল মাছ লাগে।পুরহিত পূজোর শেষ প্রান্তে এসে যজ্ঞ করলো এবং শোল মাছ আহুতি দিলেন।শোল মাছ নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম আর সেজন্য দুটো শোলমাছ কিনেছিলাম যে যদি মরে যায় তাহলে একটা মরবে আর একটি অবশ্যই থাকবে।মাঝিকে বলছিলাম পূজোর জন্য শোলমাছ চাই সকালে উঠেই দেখি শোলমাছ পাঠিয়ে দিয়েছেন যত্ন করে রেখে দিয়েছি জলে হাড়িতে করে।যে ভয় করছিলাম সেটাই হলক টকটি মাছে মরে গেলো আর রইলো একটি শেষ অবদি সেই মাছটি বেঁচে ছিলো জন্য রক্ষা।
পূজোর দিনে খুুব ব্যাস্তময় সময় পার করা হলেও একটুও খারাপ লাগে না।উপোস থেকে বোঝাই যায় না যে উপোস ছিলাম।মনটা খুব ফ্রস লাগে।বাজে কোন চিন্তা মাথায় আসে না।সারাদিন পূজোর কাজেই মনটা বসে থাকে।
মূর্তি দিয়ে শনিপূজো শেষ হলো এখন দুটো পূজো দিতে যাবো শনি মন্দিরে সময় করে।
সারাদিন বেশ পূজোর কাজের ব্যাস্ততায় কাটলো বেশ ভালো কাটলো দিনটি।
পূজোর জন্য ঘুম থেকে ওঠার পর আর শোয়া হয়নি।এদিকে বিছানা আমায় ডাকছে। বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়ে শুয়ে গেলাম।সারাদিন পর বিছানায় শুয়ে মনে হলো স্বর্গ হাতে পেলাম।পরম শান্তিতে শুয়ে কখন ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি।ঘুম থেকে জাগার পর আবিস্কার করলাম সকাল হয়েছে।
আজকের মতে এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
কয়েক দিন ধরেই জানি না কেন শনি দেবতার কথা মনে হচ্ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল যদি একবার দর্শন পেতাম। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তাঁকে দেখতে পেলাম। তাঁর পূজোও দেখলাম৷ মঙ্গল হোক সকলের।
মন দিয়ে ডাকলে সত্যি কোন না কোন ভাবে দর্শন দিয়ে থাকেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।