অসুস্থতায় জন্মদিন😔❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
পৃথিবীতে নারী জন্মের সার্থকতা মা হওয়ার মধ্য দিয়ে। মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তুু জেনো ভাই।ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।সত্যি তাই সন্তানের মুখের মধুর মা ডাক শুনলে কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়।
আমার মেয়ের জন্মদিন ২৮ তারিখে কিন্তুু মেয়েটা আমার এতোটাই অসুস্থ হয়েছে যে জন্মদিন হবে কি না খুবই টেনশনে ছিলাম।ভালো বাচ্চা সারাদিন খেলা করেছে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে গেছে কিন্তুু হঠাৎ রাত চারটায় উঠে বলছে মা বমি করবো।
বমি করালাম এবং মুখ ধুইয়ে দিয়ে শুইয়ে দিলাম কিন্তু আবারও বমি। বমি কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না তো না।একে একো রাত সারে চারটা থেকে ভোর পর্যন্ত সে ২৫ বার বমি করে ফেল্লো।সকালে এসে নিস্তেজ হয়ে গেলো।বমির ঔষধ খাইয়ে দিলাম কিন্তুু বমির ঔষধ ও বমি করে বের করে দিলো।
এবার ঠিক করলাম আর নয় এবার শিশু ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।রেডি হয়ে মেয়েকে নিয়ে ওর বাবার বাইকে রওনা দিলাম গাইবান্ধা শহরে শিশু ডাক্তারের উদ্দেশ্যে।বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিরিয়াল এসে গেলো এবং ডাক্তার কে দেখালাম এবং বিস্তারিত শুনলো এবং মেয়েকে দেখেই বল্লেন যে ব্লাড কম মনে হচ্ছে।
ব্লাডের সিভিসি টেষ্ট দিলো এবং প্রসব দেখলো এবং দশ মিনিটের মধ্যে ব্লাড টেষ্ট হাতে পেলাম ও ডাক্তার কে দেখালাম। সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় ব্লাড দিতে হবে না তবে ব্লাড কম শরীরে।আগে থেকে ফলিশন একবেলা খায় কিন্তুু এবার দুবেলা খাওয়াতে পরামর্শ দিলেন। বমির জন্য ঔষধ ও এন্টিবায়োটিক দিলেন সেগুলো কিনে নিয়ে মেয়ের জন্মদিনের আগেই কেকের অর্ডার দেয়া ছিলো সেটা নিয়ে চলে আসলাম বাড়িতে।
সত্যি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। ২৫ বার বমি করা মানে কি বুঝতেই পারছেন।
আজ আর বমি করেনি সারারাত কিন্তুু একটু নরাচরা করলেই ভয় পাই আমি মনে হয় এই বুঝি বমি করবে।
পরদিন মানে ২৮ তারিখে জন্মদিনের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে আয়োজন করা হলো।গ্রামের বাচ্চাদের ও নিজেদের সকলকে নিয়ে আয়োজন করলাম জন্মদিনের।
আমার ননদের মেয়ে ঐশীও আমার কাকাতো ননদ তিশা ও পিসতোতো দেবর বাপ্পি মিলে বার্থডে ডেকোরেশন করলো।ফল দিয়ে অর্থী সাজিয়ে দিলো টেবিল ও কেক বসিয়ে দিলো।
সবাই মিলে কেক কাটলো এবং কেক কাটার পর আনন্দ করলো আতসবাজি ফোটানো হলো।সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর একটি সময় পার করলাম সবাই মিলে।মেয়ের প্রথম জন্মদিন ছারা আর কোন জন্মদিনে ওর বাবা থাকতে পারেনি তাই মেয়ের আকাশ সমান অভিমান। এই তো কদিন আগেও সকালে কান্না করতে করতে বলছিলো একবারও আমার বাবা আমার জন্মদিনে থাকতে পারে না।এবার ভগবান মেয়ের মনের আশা পূরণ করেছে।বদিলে হয়েছে আর সেকারনে আট দিনের ছুটিতে এসেছে ও মেয়ের জন্মদিনে থাকতে পারছে।প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন এক্সারসাইজ থাকে আর সেকারণেই আসতে পারে না মেয়ের জন্মদিনে। এবার বেশ ভালো হয়েছে আসতে পেরে।মেয়ের মনের আশা পূরণ হয়েছে।
বাচ্চাদের জন্মদিন মানেই আনন্দের বন্যা।আমার মেয়ে তো অক্টোবর মাস থেকেই দিন গুণতে থাকে কবে ডিসেম্বর মাস পড়বে আর কবে তার জন্মদিন হবে।এবার বেশি আনন্দিত কারণ পিসাতো,কাকাতো ভাইবোনেরা সব এসেছে বাড়িতে।অন্যবারের তুলনায় এবার জন্মদিনে আনন্দ বেশি।মনে আনন্দ অনেক তবে শরীরটা খুবই দূর্বল।আমার মেয়েটা অনেক শক্ত। অল্প অসুস্থতায় সে দূর্বল হয় না।এইতো আজকেও সে এতোটা শাররীক দূর্বলতা নিয়েও কতোটা সুস্থতার মতো চলছে।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সব সময় এভাবেই হাসিখুশিতে ভরপুর রাখুক আমার মেয়েকে।আপনাদের কাছে আমার মেয়ের জন্য আশির্বাদ ও দোয়া কামনা করছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
Help me i am new
আমার মেয়েদেরও কিছুদিন আগে এমন হয়েছিল। হঠাৎ করে বমি সাথে পাতলা পায়খানা এবং গায়ে জ্বর। সাথে সাথে ডাক্তার দেখিয়ে নিলাম এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। তবে আপনার মেয়ের রিপোর্ট তেমন কিছু পাইনি শুনে ভালো লাগলো। আর জন্মদিনে পালন করে নিলেন বেশ সুন্দর সময় কাটালেন। পরিবারের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার মেয়ের ও এরকম হয়েছিল জেনে খারাপ লাগলো কারণ বাচ্চাদের অসুস্থতা খুব কষ্টকর।
জন্মদিনের সকলের সাথে অনেক আনন্দ করেছে আমাদের ছোট্ট মা। আগের দিন এত শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও তার মুখে চোখে এক জন্মদিনের আনন্দ খেলে যাচ্ছে। এইজন্যই শিশুর জন্মদিনের দিন অনেক আনন্দে থাকে। আর প্রিয়জনেরা পাশে থাকলে সেই আনন্দ আরো দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। তবে ভবিষ্যতে খুব সাবধানে রাখো। খাওয়া দাওয়া এবং আবহাওয়া ওলট-পালট হলে শিশুদের শরীর খুব অসুবিধার মধ্যে পড়ে যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সবকিছুর মাঝে জন্মদিন উদযাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। এখন ঠান্ডার সময় এই মুহূর্তে সুস্থতা যেন আমাদের পরিবারের পুছু ছাড়ছে না। অনেক ভালো লাগলো আপু, সবকিছুর মধ্যে থেকে সুন্দর আয়োজন করে আনন্দ করেছেন দেখতে পারলাম। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
এতবার বমি করেছে শুনে তো আমারই গা শিউরে উঠলো আপু। ভাগ্যিস বড় কিছু হয়নি। তবে এতসব কিছু সামলে উঠে মেয়ের জন্মদিনটা পালন করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। যাক এতে করে মেয়েটা অন্তত খুশি হবে। ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
২৫ বার বমি! বমি করলে শরীর এতো দূর্বল হয়ে পরে যা বলার বাইরে! আমার তো একবার বমি করতে করতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে জন্মদিন পালন করতে পেরে আপনার মেয়ের কিছুটা হলেও সুস্থ্যতা বোধ করেছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোও ভালো হবে।
সত্যি আমারও একবার বমি হলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মেয়ে অসুস্থ খবরটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আর অসুস্থতা নিয়েই নিজের জন্মদিন পালন করল। আর সব থেকে হতাশার বিষয় হলো তার বাবা তার পাশে নেই। যায়হোক বাবার দোয়া সবসময় তার সাথে রয়েছে। ধন্যবাদ।