গ্রামীণ ফটোগ্রাফি
টানা এক মাসের মতো এবার গ্রামে থেকেছি। বলতে গেলে, আমার বিবাহ পরবর্তী জীবনে এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় গ্রামে গিয়ে থাকলাম। বর্ষাকালের আসল সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে এবার উপভোগ করেছি। দীর্ঘ একটা মাস কিভাবে যে চোখের পলকে সময় গুলো কেটে গেল, তা যেন বুঝে উঠতেই পারলাম না।
সত্যি বলতে গেলে কি, আমি এমন একটা মুক্ত জীবন চাই, যেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা কম থাকলে অসুবিধা নেই, তবে শহরের মতো যান্ত্রিকতা কিংবা দূষিত পরিবেশ থাকলে, বড্ড আফসোস হবে।
এটা সত্য কাঁচা রাস্তায় কিছুটা যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়েছিল, তবে সময় গুলো দারুণ উপভোগ করেছিলাম। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ আলাদা উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল,তাছাড়া বৃষ্টি ভেজা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি বারবার মুগ্ধ হচ্ছিলাম । প্রতিবারই ঘুম থেকে উঠেই জানালার দিকে যখনই নজর যেত, মিষ্টি সকালের মনোরম দৃশ্য তখনই যেন আমাকে প্রতিনিয়ত সজীব করে তুলতো।
কাঁচা মাটির গন্ধ শুকে, বৃষ্টিভেজা জংলি ফুল দেখে, নিজেকে যেন অন্যভাবে আবিষ্কার করেছিলাম। তাছাড়া মৌসুমী ফলগুলোর ঘ্রাণ ছিল অনেকটাই নাকে লেগে থাকার মতো। বলতে গেলে যতবারই বৃষ্টি হয়েছে, ততবারই যেন প্রকৃতির রূপ বদলেছে বারবার।
এসবের মাঝেও কৃষকের ব্যস্ততা যেন লেগেই ছিল জমিতে। তাদের কাছে মুখ্য বিষয় জমিতে চাষাবাদ করা। আবহাওয়া কেমন যাচ্ছে এটা আসলে তাদের কাছে কোন বিষয় না। এ জীবন গুলো স্বল্পতে তুষ্ট, আলাদা কোন অহমিকা নেই। একেকটা জীবন যেন একেকটা গল্পে ভরা, কত ছুটে বেরিয়েছে মানুষগুলোর পিছনে, শুধুমাত্র গল্পের তাগিদে। তাদের কর্মই যেন গল্পের ভান্ডার।
আজ যখন কংক্রিটের শহরে চার দেয়ালে বন্দী হয়ে পড়ন্ত বেলায় মুঠোফোনটা ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম, তখন গ্রামে থাকাকালীন সময়ের ছবিগুলো দেখছিলাম, তারই ভিত্তিতে দু-চার কথা ভাগ করে নিলাম আপনাদের সঙ্গে।
নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে, আমার মুঠোফোনের সাহায্যে ছবিগুলো তুলেছি। আর সেগুলোই আজ তুলে ধরলাম।
ডিভাইসঃ samsung galaxy A04s
লোকেশনঃ ইসলামপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া,একমাস গ্রামে থেকে আপনি দারুণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন আশা করি।গ্রামের মানুষের মুক্ত জীবন ও সহজসরল জীবন দেখতে খুবই ভালো লাগে।ফটোগ্রাফিগুলি অসাধারণ হয়েছে, সবুজের সমারোহ চারিদিকে শুধু।ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য যে, একটা মাস দারুণ সময় অতিবাহিত করেছি গ্রামে থেকে।
বাহ্! দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে প্রথম দুটি ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। গ্রামে তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা না থাকলেও, প্রকৃতিকে একেবারে কাছ থেকে উপভোগ করা যায়। তাইতো প্রকৃতির টানে বারবার গ্রামে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এজন্যই তো বললাম আধুনিক সুযোগ সুবিধা কম থাকুক, তবে যান্ত্রিক জীবন না হোক। এটা সত্য সময়টা দারুণ কাটিয়েছি।
গ্রামের পরিবেশে আপনি একমাস থাকলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আমি মনে করি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো ভালোভাবে উপভোগ করতে হলে গ্রামের পরিবেশ যথেষ্ট। শহরের কোলাহল আমার কাছে একদম ভালো লাগে না। কিন্তু কি আর করার এখানে তো সবকিছু জীবিকা থাকা খাওয়া। ফটোগ্রাফি গুলো যেমন মনোমুগ্ধকর ছিল তেমনি আপনার বর্ণনা অসাধারণ ছিল। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ ভালো লেগেছে আপনার ব্লগটি পড়ে।
আমার কাছেও আপু, শহুরে জীবন একদম ভালো লাগে না। খুব ইচ্ছা আছে, দ্রুত এখান থেকে চলে যাওয়ার।
এবার অনেক দিন গ্রামে ছিলেন।আর চমৎকার অনুভূতি সঞ্চয় করেছেন।গ্রামীণ পরিবেশ,সবুজ প্রকৃতি কার না ভালো লাগে। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে মুগ্ধ হলাম।খুব শীঘ্রই চলে যাবেন জানলাম।তবে তো খুব সুন্দর পরিবেশেই থাকা হবে।আর আমরা ও চমৎকার চমৎকার গ্রামীণ সৌন্দর্যের আলোকচিত্র আপনার মাধ্যমে দেখতে পাবো।
কী সুন্দর সবুজের সমাহার। ছবিগুলো অসাধারণ। গ্রামের প্রকৃতির শোভাই আলাদা। আর যেভাবে ক্যামেরায় সেই সৌন্দর্য তুলে রেখেছেন, তা অনবদ্য। আমের ছবিগুলো বিশেষ ভাবে উল্লেখ করার মত। গ্রামে যে শুদ্ধ পরিবেশ আজও বেঁচে আছে, তা শহরে আমরা পাই না। হাঁপিয়ে মরি রোজ। তাই এই ছবিগুলোর প্রতি আলাদা রকম ভালোবাসা জন্মায়
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম। এটা সত্য শহুরে জীবন দিন দিন বড্ড বিষাক্ত হয়ে উঠেছে আমাদের এখানটায়।