নিজেকে ট্রিট দেওয়া
আমরা সব থেকে কম সময় দেই হয়ত নিজেকে। আপনাদের কথা জানিনা,তবে সারাদিন টিউশন করে,বাড়ির কাজ কর্ম করার পর নিজের সাথে কথা বলার, একটু নিরিবিলিতে থাকার সময় কই।
যাই হোক বেশ কিছুদিন থেকেই মন চাচ্ছিল একটু বাইরে খাওয়াদাওয়া করার। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার চেষ্টা করতেছি,তাই বাইরের খাবার দাবার বিশেষ করে জাংকফুড খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন যখন খাওয়াদাওয়া করতাম বাইরে তখন এত কিন্তু মন টানত না।কিন্তু যেই খাওয়া বাদ দিয়েছি তখনই খাওয়ার লোভ জেগেছে। এজন্যই বলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের টান বেশি। যাই হোক আমি নিজেকে আটকে রাখছিলাম এই বলে যে,কোন উপলক্ষ ছাড়া একা একা রেস্টুরেন্টে খাওয়া মোটেই ঠিক হবে না।
কিন্তু আজ আমার স্বেচ্ছা সেবকের কাজের বিল পেলাম।এবার আর মন কে বোঝানো গেল না। তাই সন্ধ্যায় হাজির হলাম বনফুলে। হালকা হালকা ঠান্ডা পড়েছে,তাই সন্ধ্যায় গ্রিল বেশ ভাল জমবে,আর আমাদের এলাকায় বনফুলের গ্রিলটাই সব থেকে ভাল। তাই বনফুলেই গেলাম।
কথায় আছে আপনি যদি রেস্টুরেন্ট এ একা একা বিনা দ্বিধায় খেতে পারেন তাইলে আপনি অনেকটা মহামানব লেভেলে পৌছে গেছেন।আপনাদের কি হয় জানিনা, কিন্তু আমার চরম অস্বস্তি হয় একা একা খেতে। যাই হোক সব অস্বস্তি দূর করে অর্ডার করার পর একটু জমিয়ে বসলাম।
কিছুক্ষনের মাঝেই গ্রিলড চিকেন চলে আসল,সাথে নান।দেখতে বেশ জুসি মনে হচ্ছিল।খাওয়া শুরু করলাম।কিন্তু মুখে দেওয়ার পর বেশ হতাশ হলাম।মশলা একদম ভেতরে প্রবেশ করে নি আর চিকেনটাও বেশ ড্রাই হয়ে গেছে।তাই মজা পেলাম না খেয়ে। মনে মনে বললাম আমিও আসলাম আর আজকেই খারাপ হওয়া লাগে। যাই হোক কোনমতে সবটা শেষ করে বের হয়ে আসলাম,আর মনে মনে বললাম ভাল মনে ট্রিট দেয়নি,তাই শান্তিমত খাওয়া হল না। হাহাহাহাহা।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এটা খুব ভালো ডিসিশন। কিন্তু নিজেই আবার নিজেকে ট্রিট দিলেন সেটা দেখো ভালো লাগলো ভাই। মাঝে মাঝে নিজেকে যত্ন করা উচিত। আপনি নিজে বেশ সাজিয়ে খেতে বসেছেন দেখে ভালো লাগছে। তবে খাবার গুলো দেখে আমার নিজেরই লোভ লাগছে।
চলে আসুন একদিন দাদা, একসাথে খাওয়াদাওয়া করা যাবে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সেটা আমিও ভাবলাম যে এতো সখ করে খেতে গেছো জমিয়ে খাবে বলে আর আজকেই এমন হতে হলো।নিজেকে নিজে ট্রিট দেওয়াটা কিন্তুু অনেক কঠিন একটা বিষয়।একা একা রেষ্টুরেন্টে বসে খেতে লজ্জা লাগার কথা হাহা।সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো পোস্ট টি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমার কপাল টাই এমন মামি,যেদিন শখ করে যেটা খাই সেটাই এমন হয়। ধন্যবাদ মামি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।