ক্রোধের পরিমাণ ও খাবারের লবণ এর সেতু

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে আমি আসলে একটি উক্তি নিয়েই কথা বলতে এসেছি। এই উক্তিটি কার আমার সেটা খুব ক্লিয়ার ভাবে মনে নেই। কিন্তু এই উক্তিটি আমি বেশ অনেক বছর আগে কোনো একটা বইয়ে পড়েছিলাম। এবং আজকে যখন আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি তখন হঠাৎ করেই সেই উক্তিটি আমার মনে পরলো। তাই ভাবলাম যে, সেটা নিয়েই আমার মতামত ব্যক্ত করা যাক।

আচ্ছা প্রথমেই আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই এবং সেটা হচ্ছে আপনাদের কাছে কি মনে হয় যে, ক্রোধের পরিমাণ এবং খাবারের লবন এর মধ্যে একটি মিল রয়েছে। এবং সেই মিলটা কি হতে পারে বলুন তো?

আমি যদি আমার মতো করে আমার মতামত ব্যক্ত করতে চাই। তাহলে আমি বলবো যে, আমাদের জীবনের সব কিছুর প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তেমনটাই আমাদের জীবনের প্রতিটি ব্যাপারই আমাদের জীবনের অংশ। অর্থাৎ হাসি,কান্না, রাগ,ভালোবাসা সবটা নিয়েই কিন্তু আমাদের জীবন। ঠিক তেমনটাই আমাদের জীবনে শান্ত থাকার প্রয়োজন যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনটাই ক্রোধের ও দরকার রয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই যেমন অতিরিক্ত ভালো না। ঠিক তেমনটাই আপনি যদি অতিরিক্ত শান্ত হন। তাহলে দেখবেন যে আপনাকে মানুষ পাত্তাই দিতে চাচ্ছে না। আবার আপনি যদি অতিরিক্ত ক্রোধে ফেটে পরার মতোন মানুষ হন। তাহলেও দেখবেন আপনাকে মানুষ সবসময় এড়িয়ে চলছে। অর্থাৎ ক্রোধ এমন একটা জিনিস। যেটা মানুষের মধ্যে খুব বরাবর পরিমাণে থাকা দরকার।

ঠিক তেমনটাই খাবারের লবণ। অর্থাৎ লবণ এমন একটা খাবারের ইনগ্রেডিয়েন্ট যেটা না হলে আমরা খাবার খেতেই পারি না। অর্থাৎ বেশি হলে যেমন খেতে পারি না। ঠিক তেমনভাবে কম হলেও আমরা খাবার আর খেতে পারি না। তাই আমার কাছে মনে হয় ক্রোধ আর খাবারের লবণ এর মধ্যে অনেকটা মিল রয়েছে। অর্থাৎ দুটোই পরিমাণ মতো থাকতে হয়। আর যে এই মিলটা নিজের মধ্যে রাখতে পারে। সে আসলে অনেক বেশি ভাগ্যবান। কারণ যে নিজের ক্রোধটাকে পরিমাণের মধ্যে রাখতে পারে। সে জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারে এটাই বুঝলাম।

কারণ আমি নিজের জীবন থেকে দেখেছি যে অনেক জায়গায় আমি যদি রাগ না দেখিয়ে সেই জায়গাটি একটু ভালোভাবে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করতাম। তাহলে আজকে আমি আরো অনেক ভালো স্থানে থাকতে পারতাম। শুধুমাত্র আমার নিজের ক্রোধের কারণে অনেক সময় অনেক কাজ আমি নষ্ট করেছি। যেটা একেবারেই উচিত ছিলো না। তাই আমাদের ক্রোধকে অবশ্যই নিজের মুঠোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ একেবারেই পরিমাণের মধ্যে। কারণ অতিরিক্ত ক্রোধ সবসময় ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই বাধ্য করে।