Childhood memory: দোলনা খেলার শৈশবের স্মৃতি

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশবে স্মৃতি নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করতে চাই। শৈশবে আমার অনেক চমৎকার চমৎকার স্মৃতি রয়েছে। আর সে সকল স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শৈশবে বন্ধুদের সাথে দোলনায় দোল খেলার আনন্দঘন মুহূর্ত। আর সেই মুহূর্তকে সামনে রেখে আমি আজকে আপনাদের মাঝে শৈশবের দোলনা খেলার চমৎকার স্মৃতি নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী আজকের এই পোস্ট আপনাদের সকলের বেশ ভালো লাগবে। সকলে উপভোগ করতে থাকুন।

children-5030677_1280.webp

আজও মনে পড়ে শৈশবে স্মৃতিগুলো। বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পরেই বন্ধুদের সাথে দোলনা খেলার মুহূর্ত মনে পড়ে যাই। শৈশবে আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা দোলনা খেলতে অনেক বেশি পছন্দ করেন এবং এখনো দোলনায় দোল খেতে আপনাদের অনেক বেশি ভালো লাগে।

ঠিক আপনাদের মত আমারও শৈশবের এবং এখনো দোলনায় দোল খেলতে খুব বেশি ভালো লাগে। একটি রশি গাছের ডালে বেঁধে দোল খেলার নামই হলো দোলনা খেলা। আর এই দোলনা খেলতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতো এবং আমি আমার ছোট ছোট বন্ধুদের সাথে দোলনায় দোল খেলতাম এবং দোলনায় আমার শৈশবের বেশ ভালো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।

আমার এখনো বেশ ভালো মনে আছে। আমাদের বাড়ির আঙিনায় বড় বড় গাছপালা ছিল। সেই গাছের ডালে আমরা কোনরকম কষ্ট করে কিংবা মই ব্যবহার করতাম এবং সেই গাছের ডালে মোটা রশি ব্যবহার করতাম। রশি ব্যবহার করার পর নিচের দিকে একটি মোটা পেয়ারার ডাল ব্যবহার করতাম এবং ডাল ব্যবহার করে সেটার উপরে বসে আমরা কৃত্রিমভাবে চমৎকার দোলনা তৈরি করতাম।

দোলনা তৈরির কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে যেত তখন পেছন থেকে আমাদেরকে একজন ধাক্কা মারতো এবং আমরা তখন দোলনায় দোল তাম। তবে এই খেলার একটি চমৎকার চক্র রয়েছে,আর তা হলো একজনকে দশবার কিংবা ২০ বার অথবা ৫০ বার দোল দেওয়ার পর সেই ব্যক্তি দোলনা থেকে নেমে আসবে এবং পরবর্তীতে যে ব্যক্তি ধাক্কা দিয়েছিল সেই ব্যক্তি দোলনায় দোল খেলবে। এভাবে আমরা পর্যায়ক্রমে দোলনায় দোল খেলতাম এবং বন্ধুদের সাথে খুব ভালো একটি মুহূর্ত উপভোগ করতাম

child-7344169_1280.jpg

দোলনা তৈরি করা ছাড়াও আমরা দোলনার আনন্দ উপভোগ করতাম। বিশেষ করে খেজুরের গাছের ডালে অথবা সুপারি গাছের ডাল ধরে আমরা দোলনা বানিয়ে ঝুল খেলতাম। অনেক ভালো লাগতো সুপারি অথবা খেজুরের ডাল ধরে দোলনা বানিয়ে খেলতে।

যখন পুকুরে গোসল করতে যেতাম তখন দোলনায় দোল খেলাটা সবথেকে ভালো হতো। একটি খেজুরের ডাল বাকা করতাম এবং সেই ডাল ধরে পুকুরের যখন পানির অনেক কাছে চলে যেতাম তখন হাত ছেড়ে যেতাম এবং পুকুরের পানিতে লাফ দিতাম। এভাবে খেজুরের ডাল এবং সুপারির ডাল ধরে দোল খেলতে অনেক বেশি ভালো লাগবে।

children-1639420_1280.webp

শৈশবের স্মৃতি সব সময় অনেক বেশি মধুময় হয়ে থাকে। শৈশবে যে সকল স্মৃতিগুলো হারিয়ে এসেছি সেই সকল স্মৃতিগুলো কখনোই আর আমরা ফিরে পাবো না। তবে সেই সকল স্মৃতিগুলোর মজা আমাদেরকে সব সময় আনন্দ দেয়।

শৈশবে দোলনায় বন্ধুদের সাথে দোল খেলতাম। আমরা একটি গাছে এখনো মনে আছে বেশ কয়েকটি দোলনা বাদদান এবং আমরা পর্যায়ক্রমে দোল খেলতাম। দোল খেলতে খেলতে কখনো আমাদের বন্ধুরা মজা করে দোল না ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দোল দিত এবং তখন আমাদের মাথা ঘুরে যেত। এমনকি মাথা ঘোরানো অবস্থায় আবার তখন আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হতো এবং আমরা তখন মাটিতে পড়ে যেতাম এবং আমাদেরকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করা হতো।

দোলনায় দোল খেলতে খেলতে কখন সন্ধ্যা হয়ে যেত বিষয়টি সত্যিই বুঝতে পারতাম না। আসলে শৈশবে স্মৃতি সব সময় আনন্দময় হয়ে থাকে। আর আমিও শৈশবে দোলনায় দোল খেলার মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম প্রায়। যাইহোক অবশেষে দোলনায় শৈশবে দোল খেলার চমৎকার মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। আমি আশাবাদী আমার মত শৈশবের আপনাদের আরো অনেক বেশি স্মৃতি রয়েছে। স্মৃতিগুলো বেশ আনন্দদায়ক হয়ে থাকে, তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে আপনি আপনার শৈশবের স্মৃতি আমাদের মাঝে ভাগ করতে ভুলবেন না। আজকের পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।




VOTE @bangla.witness as witness



witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power


|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



ezgif.com-video-to-gif (6).gif

আমি


আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।

উষ্ণ শুভেচ্ছা


20221105_225033.jpg

@steem-for-future

Sort:  
 4 days ago 

আমার ৩০/১২/২০২৪ এর টাক্স


Screenshot_20241230_103427_Chrome.jpgScreenshot_20241230_103134_Chrome.jpgScreenshot_20241230_103058_X.jpgScreenshot_20241230_102739_SuperWalk.jpg
 4 days ago 

সেই দোলনায় দোল খাওয়ার বিজড়িত দিনের কথা মনে পরলে আবার ফিরে যেতে মন চায়। কতই না সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো যেটা এখন খুবই মিস করি। গাছের সাথে দড়ি বেঁধে এভাবে দোল খাওয়ার বিষয়টি হয়তো এখন দেখাই যায় না। স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন ভাই।