কাশফুলের ফটোগ্রাফি || প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য ১০%
আজ - শুক্রবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আমরা জানি যে ভাদ্র ও আশ্বিন মাস শরৎকাল। আর এই সময়ে দুইটা প্রধান দৃশ্য গ্রামবাংলায় লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত আকাশের নানান রঙের মেঘের খেলা। আর দ্বিতীয়ত মাটির বুকে কাশবনে ফুটে থাকা কাশফুল। আজকে আমি শরৎকালের এই সুন্দর ফুলের দৃশ্য আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই। তাই সেই চিন্তাধারা মাথায় রেখে ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আজ। চলুন আর দেরি না করে ফটোগুলো দেখে আসা যাক।
আমার বাংলা ব্লগবাসীর জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা |
---|
কাশফুলের ফটোগ্রাফি
আমাদের পুকুর পাড়ে এত সুন্দর কাশফুল ফুটেছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছিল না। কারণ বেশ কিছুদিন ধরে পুকুরে যাওয়া হয়না বিভিন্ন কারণে। কিছুদিন আগে পুকুরপাড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু হাতে মোবাইল ছিল না। আপনারা অনেকেই জানেন আমার মোবাইলের সমস্যার কারণে তেমন মোবাইল ধরা হচ্ছে না।
প্রথম দিন এত সুন্দর কাশফুল গুলো দেখে যাওয়ার পরে ইচ্ছে হয়েছিল কাশফুলের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করবো এবং তা আপনাদের মাঝে পোস্ট করব। কয়েকটা দিন ইচ্ছে থাকার পরেও মিস হয়ে গিয়েছিল। যাহোক সবশেষ একদিন ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যেই পুকুরপাড়ে গেলাম।
অবশ্য এখন বর্ষাকাল শেষে পুকুরের চারপাশে ঘন বন জঙ্গলে ঘেরা, যার ফলে কাশফুলের নিকটে যেতে খুবই সমস্যা বোধ করেছিলাম। সমস্ত বন জঙ্গল ভেদ করে ফুলগুলোর পাশে উপস্থিত হলাম ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যে।
কাশফুলের ফটোগ্রাফি করার সময় আকাশের দিকে লক্ষ্য করছিলাম কিন্তু শরৎকালের আকাশের যে মেঘাচ্ছন্ন সুন্দর সুন্দর দৃশ্য লক্ষ্য করা যায় তেমন কোন মনোমুগ্ধকর মেঘের দৃশ্য আকাশে ছিল না।
কোন একদিন আকাশে সাদা সাদা সুন্দর মেঘ থাকা অবস্থায় আবারো কাশফুলের ফটোগ্রাফি করবো, সেই মন স্থির করেছি। কারণ এই ফটোগ্রাফি গুলো করার সময় কাশফুলকে পেয়েছি, আকাশের সাদা মেঘগুলোকে পায় নাই। তাই মনের মধ্যে একটি অনুভূতি এখনো জাগ্রত রয়েছে। আপনাদের মাঝে কাশফুলের সাথে আকাশের সাদা মেঘের সুন্দর দৃশ্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরব। যেখানে ফটোর মধ্যে আকাশের সাদা মেঘ ও কাশফুলের অসাধারণ দৃশ্য থাকবে।
যখন কাশফুল গুলোর ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন ঝিরিঝিরি হাওয়া বই ছিল তাই ফুলগুলো এপাশ থেকে ওপাশ দুলতে লাগলো। অবশ্য ফটোগ্রাফির সময় একটু বিরক্ত হয়েছিলাম কারণ কাশফুলের পাতাগুলো গায়ে ঠেকলে যেন গা চুলকানো শুরু হয়। এরপরেও সমস্ত কিছু ভেদ করে চেষ্টা করেছিলাম এতগুলো ফটোগ্রাফি করার জন্য।
আশা করি আমার এই কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের নিকট দৃষ্টি নন্দিত হয়েছে এবং ভালো লেগেছে। তাই আমি আপনাদের বলব আপনারাও আমাদের মাঝে এভাবে কাশফুলের সুন্দর ফটোগ্রাফির উপস্থাপন করুন যা দেখলে মন মুগ্ধ হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ শরতের আকাশের সাদা সাদা মেঘ থাকা অবস্থায় ফটোগ্রাফি করলে কিন্তু বেশি খুশি হব।
আরো একটি কথা না বললেই নয়। কাশফুলের ফটোগ্রাফি করার পর সেখান থেকে অতীত স্মৃতি কে কেন্দ্র করে আপনাদের জন্য একটি কবিতা রচনা করেছি, যা খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ।আমিও ভাবছি কাশফুলের কিছু ফটোগ্রাফি করব ।শরৎকালের সুন্দরময় দৃশ্য সত্যিই অনেক ভালো লাগার বিষয়। আপনি খুব সুন্দর করে কাশফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন সত্যিই অনেক ভালো ছিল।
শরতের সবচেয়ে বড় সুন্দর্য দুইটা এক আকাশের সাদা সাদা মেঘগুলো আর কাশবনের কাশফুল গুলো।
কাশফুলের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ আমাদের এদিকে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে একটা নদীতে যেতে হয় ৷ সেখানে অনেক কাশ ফুল ফোটে ৷ আপনার পুকুর পাড়ের কাশ ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে ৷ধন্যবাদ আপনাকে ঘন বন জঙ্গল পেরিয়ে কষ্ট করে এতো সুন্দর কাশ ফুলের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ৷
আমিও কাশ ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রেমিকার সাথে রাজশাহী পদ্মা পাড়ের চরে ঘোরাঘুরি করছিলাম।
আপনার পুকুরপাড়ের কাশফুল গুলো সত্যিই বেশ চমৎকার ।আর আপনি ঠিকই বলেছেন শরতের আকাশে সাদা সাদা মেঘগুলো সত্যি অনেক চমৎকার হয়ে থাকে। যদিও আপনি মেঘগুলোর সাথে কাশফুলের ছবি তুলতে পারেননি তারপরেও আপনি আরেকদিন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যেদিন আকাশে সাদা সাদা মেঘ থাকে সেদিন আপনি কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। তাহলেই হয়তো আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে ।ধন্যবাদ আপনাকে। আর আপনার লেখা কবিতাটির অপেক্ষায় রইলাম।
এই সময়টাতে কাশবন থেকে ফটোগ্রাফি করতে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনি কবিতা লিখতেও খুব ভালো লাগে আমার কাছে। আর অনেক মানুষ আছে শহরের বন্দী জীবন থেকে কিছুটা সময়ের জন্য স্বস্তি পেতে কাশবনে নিজেকে ছুটে যায়।
ভাদ্র আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল নদীর পানি কমতে থাকে কাশবনে ফুটে থাকে রাশি রাশি ফুল বাতাসে দোলা মেলে কাশফুল উড়তে থাকে ছোট ছোট সাদা পোকার মত।। পদ্মা নদীর পাশে বাড়ি হওয়ায় এই দৃশ্য ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে এই সময়টাতে।। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন কাশফুলের খুবই ভালো লেগেছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই সময় অবশ্য বন জঙ্গলের মাঝে এত সুন্দর কাশফুল দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আমি অবশ্য কবিতাটি লিখেছি পদ্মা পাড়ের কাশবনকে কেন্দ্র করে
ভাইয়া আপনার পুকুর পাড়ের কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। সাদা মেঘ থাকা অবস্থায় ফটোগ্রাফি করলে মনে হয় আরো অনেক সুন্দর হতো।আর ঘন জঙ্গল পেরিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার পুকুর পাড়ে এত সুন্দর দৃশ্য দেখতে এখন খুবই ভালো লাগে এখানে বসে থেকে কবিতা লিখতে।
আমাদের এখানে তেমন কাশফুল ফুটতে দেখি না। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভাল লাগল। কাশফুল জানান দিল যে দুর্গাপূজা আসছে। ভাল থাকবেন।
আমি আবারো আপনাদের মাঝে এমন কাশফুলের দৃশ্য তুলে ধরবো খুব শীঘ্রই।
আসলেই শরৎকালের নীল আকাশ এবং কাশফুলের মনোরম সৌন্দর্য প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বয়ে আনে ।আর প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য যেন সারা বছর অমলিন থাকে ।মানুষ সেটাই চাই কিন্তু তাতে সম্ভব নয়। তবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকৃত সৌন্দর্যকে নিজের কাছেই ধরে রাখা যাবে।
নীল আকাশের পাশাপাশি সাদা সাদা মেঘগুলো ভেসে আসে যা আকাশ দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আর কাশফুল থেকে ছবি উঠাতে আরও বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এই সময় হচ্ছে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখার সময়। কাশফুলের বাগানটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। গ্রামে প্রায় এ কাশফুলের বাগান দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের এইদিকেও খুব সুন্দর সুন্দর কাশফুল ফুটেছে। দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি ছিল অসম্ভব সুন্দর।
শরৎকালে কাশফুলের সৌন্দর্য খুঁজে পেতে অনেকেই শহর ছেড়ে কিছুটা সময়ের জন্য কাশফুলের বনে যেয়ে থাকে।
শহরের যান্ত্রিকতার মাঝে থাকতে থাকতে প্রকৃতির থেকে কতটা দূরে চলে এসেছি আজ বুঝতে পারছি।কতদিন পর আজ কাশফুল দেখলাম।অথচ আগে এই কাশবনে বন্ধুরা মিলে লুকোচুরি খেলতাম।ধন্যবাদ ভাই সেই শৈশব মনে পড়ে গেল।
অবশ্য কাশফুল আমার খুবই পছন্দ। শুধু শৈশব কেন বর্তমান সময় কাশফুলের নিকট থেকে শৈশব ফিরে পাই কাশফুলের মাঝে।
আমরা ভাই শহরের যান্ত্রিকতার মাঝে এগুলা হারিয়ে ফেলেছি।
আমি এখনো কাশফুলের নিকটে বসে আছি।মাছের খাবার দিলাম। চাইলে জেনারেল ডিসকাশনে আসতে পারেন। দেখিয়ে দেবো ফটো
এই শরৎকালে কাশফুলটা ফোটে। তবে প্রায় দুই বছর হয়ে গেল কাশফুলের মুখ চোখে দেখতে পাই না। অনেকদিন পর দেখে বেশ ভালো লাগছে। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ফটো গুলো।
আমি অবশ্য এখনো কাশফুলের নিকটেই বসে আছি। কারণ প্রকৃতির মাঝেই আমার বসবাস।