নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৬৪ তম পর্ব
আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৬৪ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৬৪ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম (গোল্লা)
- আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
- চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
- বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে
শিবানীর দুই মামা, গোল্লার কথামতো নজর আলী কৃপণের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিল। সেখানে গোল্লার হয়ে কথা বলেছে। গোল্লা তার মামা নজর আলীর কাছ থেকে মায়ের অংশ নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। শিবানীর দুই মামা বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত থেকে গোল্লার পক্ষে কথা বলেছে। বিষয়টা শিবানির বাবা হারাধনের কাছে বেশ দুঃখজনক। তারা দুইজন এসে হারাধনের বাড়িতে যেমন সমস্যা সৃষ্টি করেছে ঠিক তেমনি নজর আলীর বাড়িতেও সমস্যা সৃষ্টি করেছে। দুই কৃপণ বন্ধুর পরিবারে শিবানীর দুই মামা যেন সমস্যা সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে এবং দুই কৃপণকে হয়রানি দিচ্ছে। বেশ কিছু বিষয় হারাধন দত্ত্ব লক্ষ্য করছে। তার দুই কুটুম একদিকে যেমন তাদের পরিবারে সমস্যার অন্যতম কারণ, নতুন করে গোল্লার সাথে হাত মিলিয়ে যেন আরো সমস্যা তৈরি করে বেড়াচ্ছে।
গোল্লার কার্যক্রমে নজর আলী কৃপণ একপ্রকার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার স্ত্রী গোল্লার পক্ষ নিয়েছে। কুলাঙ্গার দুই ছেলে আছে তারাও গোল্লার পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এদিকে জামাই লিগাল কথা বলতে গিয়েও যেন গোল্লার পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। তাই নজর আলী কৃপণের মেজ বেটা ছাড়া কেউ থাকলো না পক্ষ নিয়ে কথা বলার। বহর খুব ভালোভাবেই দুলাভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে, তার বাবা ফুফুকে ত্যাজ্যবন করেছিল। তাই তার ফুফু কোন ভাগ পাবে না। বিষয়টা বহরের দুলাভাই এর কাছে বোকামি ছাড়া কিছুই না।
এদিকে মিলন বেশি চিটারি করেছিল ফরহাদের সাথে। তার দোকান থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে এসেছিল মুকুল মজনুর কথায়। কথা ছিল সেই টাকা দিয়ে পিকনিক করবে। কিন্তু মিলন সবার কাছে চিটারি শুরু করে দিয়েছে টাকাটা মেরে দেওয়ার জন্য। আজকে মজনু মুকুল মিলন কে পেয়েছে। তারা দুইজন জোর করে মিলনের কাছে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মিলন চালাকি করে বলে দেয় সেই টাকা রেখেছে শিবানীর কাছে। তারা দুইজন শিবানীর কাছে আসতে চায়। কিন্তু মিলন বিভিন্ন কৌশল ও বাহানায় শিবানীর কাছে যেতে চাই না। এক পর্যায়ে দেখা যায় ফরহাদের কাছে বলে বসলো, মুকুল মজনু তার কাছ থেকে টাকা জোর করে কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ মিলন ফরহাদের মনে ভুল ঢুকিয়ে দিল। এতে যেন ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
নজর আলী কৃপণের বড় কুলাঙ্গার ছেলের বিয়ের কথা চলছে। এর মাঝখানে গোল্লা কেন ঝামেলা সৃষ্টি করলো। গোল্লা মামাতো বড় ভাইয়ের সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে। তার মামা নজর আলী কৃপণ তাকে নিয়ে যেন ব্যতিব্যস্ত থাকে, সেই সুযোগে ফজর নহররা যেন বিয়ে করে ফেলে। আর এই বিয়েতে নজর আলী কৃপণ যেন বেশি মাথা ঘামাতে না পারে। কারণ জমি নিয়েই ঝামেলায় পড়ে থাকতে হবে ভাগ্নের সাথে। এরিফাকে তারা বিয়ে করে ফেলবে। গোল্লার বুদ্ধিটা এতক্ষণে তারা দুই ভাই বুঝতে পারল।
এদিকে নহরকে এত ভালোবাসার পরেও রেশমা কেন দূরে দূরে থাকে। সে কেন নহরকে বিয়ে না করে মিলনের কথায় ইঞ্জিনিয়ার কে বিয়ে করবে। চুমকি এই বিষয়টা মন থেকে মেনে নিতে না পেরে ছোট দেওরের দুঃখ বুঝাই কথা বলতে এসেছে রেশমার সাথে। কিন্তু রেশমার কথা একটাই সে তার বাবার অপমান সইবে না। নজর আলী কৃপণ তার বাবাকে অপমান করেছে। তবে এখানে চুমকি যুক্তি তুলে ধরে। নহরের ভালোবাসায় তো কোন ভুল নেই। বিষয়টা রেশমা বুঝতে পারে। এতে আশা করা যায় চুমকির মাধ্যমেই রেশমা আবারো ফিরে আসবে নহরের জীবনে।
এই নাটকে আমরা খুব সুন্দর একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি। নজর আলী কৃপণের ইচ্ছে রয়েছে ব্যাটাদের বিয়ে দিবে না। কিন্তু দুইটা ছেলে দীর্ঘদিন প্রেম করেছে। তাদের বিয়ে দেওয়া বাদ সে জমি জায়গার লোভে বড় ছেলেকে একটা শর্ত দিয়েছে। সেই জায়গায় আজ গোল্লা নিজের মায়ের অংশ দাবি করে নজর আলী কৃপণের মানসিকতা ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। গোল্লার চিন্তা মামার সাথে জমি জায়গা নিয়ে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করে রাখবে আর এরই ফাকে মামাতো ভাই দুইটা বিয়ে করে ফেলবে। যেন নজর আলী কৃপণ জমি জায়গার ঝামেলার মধ্যে থেকে ছেলেদের বিয়ের বিষয়টা খুব সহজেই এড়িয়ে চলতে পারে। আরো একটু বিষয় লক্ষ্য করেছি মিলনের সু কৌশলী বুদ্ধি। সে নতুন করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্যাচ সৃষ্টি করে বেড়ানো এবং নিজের কুমতলব প্রতিষ্ঠা করে বেড়ায়। তাই অভিনয়টা দেখে আমরা একটা বিষয় বেশি অনুভব করতে পারি যে। বাংলাদেশের সেরা ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে এই নাটকের অভিনয়গুলো বেশ দুর্দান্ত। প্রত্যেক নাট্যকার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দর্শকের মন আকর্ষণ করে অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন। যাদের কথা বলার ভঙ্গি এবং অভিনয় উভয়ই দর্শককে আনন্দ দান করতে সক্ষম হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই পর্বের অভিনয়টা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকের ৬৪ তম পর্বে পদার্পণ করলেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই নাটকটি আমাদের রিভিউ করে আসছেন। হাড় কিপটে নাটকটি এক সময় অনেক জনপ্রিয় নাটক ছিল। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য দেখে খুশি হলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
30-12-24
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমার কাছে মনে হয় এটা বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটা নাটক। এই নাটকটা যে আমি কতবার দেখেছি সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
হাড় কিপটে নাটকটা আমার কাছে বরাবরই অনেক অনেক ভালো লাগে। নাটকের মধ্যে অন্যরকম সৌন্দর্য খুঁজে পাই আমি। বেশ মন মাতানো আর হাস্যকর কথাবার্তায় ভরপুর নাটকটা। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
X-promotion
মোশারফ করিম অভিনীত নাটকগুলো এমনিতেই অসাধারণ হয়। তার অভিনীত প্রত্যেকটি নাটক দারুন। অভিনয়ের দিক দিয়ে মোশারফ করিম দশের দশ। যাই হোক মোশারফ করিম অভিনীত হার কিপটা নাটকের কয়েকটি ক্লিপ আমি দেখেছি। সম্পূর্ণ নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়ার সুযোগ হলো। খুব সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নাটকটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আশা করব এভাবে পাশে থাকবেন।
দেখতে দেখতে আপনি হাড় কিপটা নাটকের ৬৪ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। হারকিপটে নাটকটি আমার অনেক পছন্দের। এ নাটকে যারা অভিনয় করেছে তারা খুব সুন্দর ভাবে তাদের অভিনয়ে উপস্থাপন করেছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
হাড় কিপটে নাটকের 64 তম পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। এই পর্বের পুরো কাহিনীটা অনেক সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে রিভিউটা পড়তে অসম্ভব ভালো লেগেছে। এই নাটকের অনেক গুলো পর্বের আখেরি আমার পড়া হয়েছে। আশা করি একে একে সবগুলো পর্বের আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
দেখতে দেখতে হাড় কিপটে নাটকের অনেকগুলো পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই নাটকের পর্বগুলোর রিভিউ পড়তে। যদিও প্রতিটা পর্বের রিভিউ পড়া হয়নি, কিন্তু বেশ কয়েকটা পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো এই নাটকের আজকের পর্বের রিভিউ টা পড়তে।