জীবনের প্রতিটা কঠিন মুহূর্তে অনেক কিছু শিখছি
নমস্কার বন্ধুরা,
জীবনের প্রতিটা সময় সব সময় সমান যায় না। আসলেই জীবনের চলার পথে অনেক বাধা আসে। আবার সেই বাধাকে পেরনোর জন্যই অনেকটা ধৈর্য্য নিয়ে আমাদের ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ।এখন আমার জীবনটা মনে হয় ঠিক তেমন ভাবেই চলছে ।
গত ছয় মাসের মধ্যে অনেকগুলো মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি।আর প্রতিটা সময় এবং প্রতিটা পদক্ষেপ থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং এখনো শিখেই চলছি ।আসলে অনেকে বলে আমি নাকি একটু আবেগি জানিনা সেটা কতটা ঠিক না ভুল। নিজেকে নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না তবুও কঠিন সময় কতটা মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় সেটা কিন্তু আমি প্রতি মুহূর্তে আমার মানুষটার কাছ থেকে শিখছি। এই জিনিসটা কিন্তু আমার মধ্যে আগে কখনোই ছিল না।অল্প কিছুতেই ভীষণ নার্ভাস হয়ে যেতাম। হয়তো সেটা এখনো কতটা অর্জন করতে পেরেছি সেটাও আমি জানিনা তবুও চেষ্টা করছি।
আসলে দু মাস আগে মায়ের হার্ট অ্যাটাক হওয়াতে আমি কিন্তু প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলাম। এমনকি আমার অনেকগুলো রাত কেটেছে শুধুমাত্র না ঘুমিয়ে আর এটা ভেবে যে কি করে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের এরকম হতে পারে। এখন এটাই মনে হয় অসুস্থতা যখন তখন যে কোনো মানুষেরই হতে পারে ।এই অবস্থায় যখন আস্তে আস্তে মানসিকভাবে একটু একটু করে শক্ত হচ্ছি। ঠিক তেমন ভাবেই তার এক মাস পরে বাবার চেকআপ হয় ।
দু সপ্তাহ আগে এনজিওগ্রাফি টেস্ট করে ধরা পড়ে যে বাবার তিনটে আর্টারিই ব্লক। আর সেই মুহূর্তে, মুহূর্তটা কি গেছে বোঝাতে পারবো না ।কারণ সেই সময়টা শুধু হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি, তারপর বাড়িতেও পুজো ছিল। সব মিলিয়ে এক প্রকার ঘেটে ছিলাম ।কিন্তু ডাক্তার বলেছে যে ওষুধের দ্বারা যেহেতু সবটা ঠিক আছে তাই এখন স্টেন বসানোর প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে আমাদের চেকআপ হয়েছে। তখন হয়তো পুরোটা আমরা ক্লিয়ার জানতে পারবো ,এর পরবর্তী চিকিৎসা কোন দিকে এগোবে।
আসলে একটা জিনিস আমি বুঝতে পেরেছি জীবনের খারাপ মুহূর্তে ভেঙে পড়লে চলবে না আর সেই সময়টা কিভাবে ওভারকাম করা যায় বা সেই সমস্যা কি করে সমাধান হয় সেটা ভাবাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যিই ,জীবনের কঠিন মূহুর্ত গুলো পার করাটা কষ্টকর তবে ভেঙ্গে পরলে চলবে না।আপনার জন্যে দোয়া রইলো,সব যেনো ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।আন্টি আংকেলের খেয়াল রাখবেন।
ভালো সময়ের পাশাপাশি এমন খারাপ সময়ও আসে দিদিভাই। আমারো বেশ খারাপ সময় ই যাচ্ছে সত্যি বলতে। তবে এটাই জীবনের নিয়ম দিদিভাই। ভগবানের কাছে প্রার্থনা রইলো আপনার পরিবারের জন্য।
আসলে কে কখন অসুস্থ হয়ে যায়, সেটা বলা যায় না। তবে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সেটা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয়। বিশেষ করে মা বাবা অসুস্থ হলে তো ভীষণ কষ্ট লাগে। কিন্তু তাদের সামনে যদি আমরা মন খারাপ করে থাকি,তাহলে উনারা আরও ভেঙ্গে পড়েন। তাই আমাদের মনটাকে শক্ত করে তাদের পাশে দাঁড়াতে হয়। যাইহোক আঙ্কেল আন্টির দিকে খেয়াল রাখবেন বৌদি। আপনার পুরো পরিবারের প্রতি অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
কঠিন মূহুর্ত গুলোতে ধৈর্য ধারন করতে হয় দিদি।আপনার মা অসুস্থ হয়েছিলেন তা জেনেছিলাম।এখন আবার বাবার চেক আপে এই খবর। সত্যিই খুব খারাপ লাগার ই বিষয়। আমার বাবা ও হাসপাতালে ভর্তি দিদি।আমিও কঠিন সময় পার করছি।দোয়া করি পৃথিবীর সকল মা-বাবা সুস্থ হয়ে যাক।আর অনেক বেশি ভালো থাকুক সন্তানদের জন্য, আমিন।😔
দিদি ভাই আপনার বাবার ব্যাপারটা জেনে ভীষণ ব্যথিত হলাম। আপনার মানসিক অবস্থা একটু হলেও বুঝতে পারছি, আশা করি দ্রুত আপনার বাবা সুস্থ হয়ে উঠবেন, এমনটাই আশীর্বাদ করছি।
দিদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকের ব্লগটি শেয়ার করেছেন। আমিও আগে সাধারণ কোন বিষয় নিয়ে খুবই নার্ভাস হয়ে যেতাম, খুব টেনশন ফিল করতাম। কিন্তু যখন বাড়ি ছেড়ে শহরে এসেছি, বিভিন্ন মানুষকে দেখেছি, তখন শিখেছি কিভাবে কঠিন সময়ের মোকাবেলা করতে হয়, কিভাবে বিপদে-আপদে ধৈর্য ধারণ করতে হয়। আসলে কঠিন সময় গুলোতে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, ধৈর্য সহকারে চিন্তা করতে হবে, চেষ্টা করতে হবে। তাহলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা একটি রাস্তা বের করে দিবেন। আপনার ব্লগটি পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কঠিন সময় গুলোতে আগে নার্ভাস ফিল করলেও, এখন অনেকটা ধৈর্য সহকারে সবকিছু মোকাবেলা করতে শিখেছেন। ধন্যবাদ দিদি।
যখন আমরা বারবার জীবনের কঠিন মুহূর্ত গুলোর সম্মুখীন হই তখন খুবই খারাপ লাগে। প্রথমে আপনার মা অসুস্থ হয়েছে এরপর বাবা অসুস্থ হয়েছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো দিদি। জীবনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে নিজেকে কঠিন হতে হবে দিদি।