শীত নিয়ে আসে বিয়ের মরশুম ❤️
নমস্কার বন্ধুরা,
শীতকাল পড়ার সাথে সাথেই কিন্তু বিয়ে বাড়ির ধুম লেগে যায় 😎। বাঙালিদের মধ্যে বেশিরভাগই মানুষ আছে যারা গরমে খুব একটা বিয়ে করতে চায় না ।মনোরম পরিবেশ সবাই পছন্দ করে। বিয়ে করে না বললেও ভুল হবে,ওই প্যাচপ্যাচ এ গরমে ঠিকঠাক মেকআপ করলে সেই মেকআপ বসার জন্য একটা সুন্দর আবহাওয়ার দরকার হয় ।সব মিলেমিশে শীতকাল বিয়ে বাড়ির জন্য এক্কেবারে উপযুক্ত।বেশ সেজে গুজে যাওয়া যায়🤪। তাই বলে গরম কালে বিয়ে হয় না সেটা একেবারেই নয় তবুও আমার মনে হয় গরমকালের থেকে শীতকালে সবচেয়ে বেশি বিয়ে হয় ।তেমনভাবে দুদিন আগে অর্থাৎ ১৫ ই ডিসেম্বর একটা বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন ছিল।
শীতকালে বিয়ের নিমন্ত্রণ পরবে না সেটা কিন্তু একেবারেই ভাবা যায় না ।কারণ কারোর না কারোর বিয়ে প্রতি বছর লেগেই থাকে। তেমনভাবেই আমাদের খুব পরিচিত একজনের বিয়ের নিমন্তন্ন ছিল ১৫ই ডিসেম্বর। যে জায়গাটাতে নিমন্তন্ন ছিল সেটা ছিল বেলগাছিয়া রাজবাড়ী ।
রাজবাড়ী মানেই কিন্তু এক দারুণ একটা ব্যাপার ।আরএই রাজবাড়ী আমার একেবারে বাড়ির সামনে বলা যেতে পারে। কিন্তু কালের নিয়মে যে রাজবাড়ী একেবারে হারিয়ে গিয়েছিল সেই রাজবাড়িটিকেই খুব সুন্দর ভাবে রেনোভেট করে নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে ।আর এখন সেই বাড়িটিকে বিয়ে বাড়ি বা কোনো অনুষ্ঠান পারপাসে ভাড়া দেওয়া হয় ।
রাজবাড়ি নিয়ে অনেক বড় গল্প আছে তবুও আমি ছোট করে বলছি এই রাজবাড়ীটি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কিনেছিলেন। এই বেলগাছিয়া ভিলাটি অকল্যান্ড নামক একজন ইতালিয়র অধীনে ছিল ।আর এই বাড়িটি একদম ইউরোপীয় স্টাইলে গড়ে তুলেছিলেন ।এখানেই দ্বারকানাথ ঠাকুর জাঁকজমক ও ঘটা করে বড় বড় পার্টি ব্যবস্থা করতেন। এরকম একটা রাজবাড়ীএখন নতুনভাবে সংস্কার করার ফলে খুব সুন্দর একটা মাত্রা পেয়েছে। আর সেখানেই ছিল আমাদের বিয়ের নেমন্তন্ন ।
যেহেতু বাড়ির কাছেই ছিল তাই পাঁচ সাত মিনিটেই বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। গিয়ে এত সুন্দর একটা জায়গা দেখতে পেয়ে আমার কিন্তু চারদিকটা বেশ ভালোই লাগছিল ।বেশ একটা ঐতিহ্য যেন প্রতিটা দেওয়ালে ছড়িয়ে রয়েছে। সবার প্রথমে স্টার্টার কাউন্টারে ঢুকে গেলাম ।তারপর ১০-১৫ মিনিট ছবি তুলে মেন কোর্সে ঢুকে পড়লাম। মটন কষার সাথে পোলাও উফ অসাধারণ কম্বিনেশন দারুন একটা খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 4.784761949077882 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
দিদি একদম ঠিক বলেছেন শীতকাল আসলেই বিয়ের ধুম পড়ে যায়। গরমকালে বিয়ে হলেও শীতের সময়ে একটু বেশিই হয়। শীতের ঠান্ডায় খাওয়া দাওয়া করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সাজুগুজু করতেও খুব ভালো লাগে। আপনাদের মতো আমিও ১৬ ই ডিসেম্বর গ্ৰামের বাড়িতে বিয়েত দাওয়াত পেয়ে চলে এসেছি। সবাই চায় বিয়ের মতো অনুষ্ঠান যেনো একটি মনোরম পরিবেশে হয় আর তারজন্য শীতকাল একদম পারফেক্ট। আপনারা রাজবাড়ীতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছেন এটাতো এলাহি ব্যাপার। সত্যিই কালের বিবর্তনে রাজবাড়ী গুলো হারিয়ে গেলেও তা আবার নতুন করে সংস্কারের মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোয় সজ্জিত করা হচ্ছে এটা খুব ভালো একটা দিক। দিদি আপনাকে দেখতে বেশ কিউট লাগছে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
এটা কিন্তু সত্যিই দিদি আমাদের এখানেও শীতকালেই বেশী বিয়ে হতে দেখা যায়। শীতকালে বিয়ে হলে খাওয়া-দাওয়া ও সাজগোজের ব্যাপারটা ভালো হয় বেশী।আর তাই সবাই শীতকালটাকে ই বিয়ে করার জন্য পারফেক্ট সময় মনে করে।আপনাকে কিন্তু দারুন লাগছে দিদি।সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের এই বেলগাছিয়া ভিলাতে এক সময় খুব জাঁকজমক আর খাওয়া দাওয়া লেগেই থাকতো। কত বড় বড় মানুষ এবং ইংরেজ রাজ পুরুষরা এখানে এসেছেন অভ্যাগত হয়ে। সেইখানে বিয়ে বাড়ির নেমন্তন্ন রক্ষা করতে গেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বেলগাছিয়া রাজবাড়ির ভেতরটা আপনার ছবির মাধ্যমে দেখা হয়ে গেল। আর বিয়ে বাড়ি মানেই একরাশ মজা। অনেক আনন্দ করেছেন সকলে মিলে।
শীতকালে আসলেই বিয়ের ধুম পড়ে যায়। আমি গত শুক্রবার এবং শনিবারেও বিয়ের দাওয়াত খেলাম। আসলে শীতকালটা হচ্ছে বিয়ের জন্য একদম পারফেক্ট সিজন। যাইহোক রাজবাড়ীটা নতুনভাবে সংস্কার করার ফলে দেখতে জাস্ট অসাধারণ লাগছে। এতো সুন্দর জায়গায় বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে, দেখে খুব ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন বৌদি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।