বাঙলা সাহিত্য ও বিদেশী শব্দ
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যে বিদেশী শব্দের প্রভাব নিয়ে কথা বলবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাংলা ভাষায় বিদেশী ভাষার আগমন বাংলা সাহিত্য চর্চায় কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে তবে এটি সাহিত্য চর্চার প্রগতিও এগিয়ে নিয়েছে।
বিদেশী ভাষার শব্দগুলো বাংলা ভাষায় মিশ্রিত হয়ে বাংলার আদি শব্দের প্রতি নির্ভরতা কমিয়েছে।অনেক ক্ষেত্রেই মূল বাংলা শব্দ হারিয়ে যেতে বসেছে।উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি ভাষার প্রচুর শব্দ এখন দৈনন্দিন বাংলা কথোপকথনে ব্যবহৃত হচ্ছে যা বাংলার ভাষাগত মৌলিকতা ধরে রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিদেশী ভাষার প্রভাব বাংলা সাহিত্যের রচনাশৈলী ও আঙ্গিকেও পরিবর্তন এনেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি সাহিত্যিক আঙ্গিক ও শৈলীর প্রভাব বাংলা সাহিত্যেও প্রভাব ফেলেছে ফলে শৈলীতে মৌলিকত্বের কিছুটা অভাব লক্ষ্য করা যায়।তবে এই পরিবর্তন কখনও কখনও সাহিত্যকে সমৃদ্ধও করেছে নতুন আঙ্গিক ও ধরণে লেখার সুযোগ দিয়েছে।
কিছু লেখক সরাসরি বিদেশী শব্দ ব্যবহার করে থাকেন যা বাংলা সাহিত্য পাঠে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।পাঠকেরা সেই বিদেশী শব্দের অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হলে পুরো সাহিত্যকর্মের মর্মার্থ বুঝতে অসুবিধা হয়।উদাহরণস্বরূপ, কিছু আধুনিক সাহিত্যকর্মে ইংরেজি শব্দের আধিক্য বাংলা সাহিত্য পাঠে একটি অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশী ভাষার আগমন বাংলায় নতুন ভাবনা, বৈজ্ঞানিক শব্দভাণ্ডার এবং আধুনিক চিন্তার আগমন ঘটিয়েছে।যদিও এতে কিছুটা ভাষাগত অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে,l কিন্তু এর ফলে বাংলা সাহিত্যে নতুন ভাবনার উদ্ভব হয়েছে।বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং দার্শনিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার সুযোগ এসেছে।
বিদেশী ভাষার প্রভাব বাংলাভাষী লেখক ও পাঠকের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।অনেক তরুণ পাঠকরা বেশি বিদেশী শব্দ সমৃদ্ধ সাহিত্যের দিকে ঝুঁকছে ফলে পুরনো বাংলা সাহিত্যের পাঠে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।এদিকে কিছু লেখক বিদেশী প্রভাবকে এড়িয়ে যেতে চাইলেও পাঠকের চাহিদার কারণে তারা এক ধরনের দ্বিধায় পড়েন।
বাংলা ভাষায় বিদেশী ভাষার প্রবেশের ফলে সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে যা সাহিত্য চর্চাতেও প্রভাব ফেলেছে।সাহিত্য এখন শুধু একক ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রণ হয়ে গেছে।যদিও এটি সাহিত্যিক গ্রাহ্যতার দিক থেকে ভালো তবে অনেক ক্ষেত্রেই এতে বাংলা সাহিত্য নিজস্ব রূপ হারাচ্ছে।
বিদেশী ভাষার প্রভাব বাংলা সাহিত্য চর্চায় কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে কিন্তু এটিকে পুরোপুরি ক্ষতিকর বলার সুযোগ নেই।এ পরিবর্তন একদিকে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে ভাষার বিশুদ্ধতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাংলা ভাষায় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে বিদেশী ভাষার আগমন ঘটেছে। চা, আলমারি ইত্যাদি সব শব্দগুলির সঙ্গে আমরা যেভাবে পরিচিত হয়ে গেছি তা থেকে বোঝা যায় এই বিদেশী শব্দগুলি বাংলা শব্দ ভান্ডারে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলা তৎসম শব্দের বাইরেও এই শব্দগুলি আমাদের কাছে বাংলার মতই হয়ে উঠেছে। আপনি ভীষণ সুন্দর করে সম্পূর্ণ বিষয়টি আলোচনা সহকারে তুলে আনলেন।
বাংলা ভাষা বলে আমরা যাকে বলি তা তো শুরু থেকেই মিশ্র। স্বতন্ত্রতা কোনদিনই ছিল না৷
সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে কয়েকটা বিষয় বর্তমানে চলছে তা হল, লিখিত ভাষা যা আগে ব্যবহৃত হত তা আর হচ্ছে না। মানুষ চলিত ভাষাতেই বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন আমরা কিন্তু আমাদের বাবা মায়েদের থেকে অনেক বেশি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করি কথা বলার সময়।
এখন কথা হচ্ছে জোর করে কিছু প্রয়োগ হচ্ছে নাকি! সাহিত্য জগতে এমন অনেকেই আছে শিক্ষার স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে জোর করে ইংরেজি শব্দ বা বাক্য ঢুকিয়ে দেয় যা প্রয়োজনীয় নয়। সেখানে বানান ভুল থাকে, বাক্যগঠন ভুল থাকে। আমরা পাঠক হয়ে দেখি।
আসলে বহতা যে দিকে নিয়ে যাবে সেই দিকেই যেতে হবে৷ এই ট্রেন্ড টাও থাকবে না বেশি দিন৷ পরিবর্তন হবে৷ কেন বলুন তো? Change is the only constant.
একেবারে যথার্থ বলেছেন বৌদি। এটা কিন্তু কমবেশি এখন প্রায় সবার মাঝেই দেখা যায়। যদিও কিছু কিছু মানুষ বাংলায় কথোপকথন করার সময় ভুলভাল ইংরেজি বলে। মাঝেমধ্যে আমার ইচ্ছে করে ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে। যাইহোক বাংলা সাহিত্যে বিদেশী শব্দের প্রভাব নিয়ে দারুণ আলোচনা করেছেন বৌদি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এই বাংলা তে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের মানুষ এসেছে বিভিন্ন প্রয়োজনে। ঐসময় তাদের অনেক ভাষা আমাদের ভাষার সাথে মিশে গিয়েছে বিশেষ করে ইংরেজি ফরাসি পর্তুগিজ আরবি। বিশেষ করে ইদানিং অসংখ্য ইংরেজি শব্দকে আমরা বাংলা ভাষা হিসেবে মনে করি।
বাংলা সাহিত্যের সাথে বিদেশী সাহিত্য একেবারে মিলে মিশে গেছে। হয়তো সময়ের সাথে সাথে সবকিছুতে ভিন্নতা এসেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু পরিবর্তনটা জরুরি ছিল। দিদি আপনার লেখা এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম।