টিনটিন এর সাথে কাটানো কিছু মুহুর্ত।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি কিছু টিনটিন এর সাথে কাটানো কিছু মুহুর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।


আজ প্রথমে আমার কিছু মনের কথা দিয়েই শুরু করছি।আজ থেকে ঠিক ১১ মাস আগে আমার এই আমার বাংলা ব্লগে আসা। এখানে আসাটা আমার খুব অদ্ভুতভাবে বলতে পারেন।সেকথা পরে একদিন বলবো । সত্যি কথা বলতে যখন আমি এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কথা জানতে পেরেছিলাম শুধু জানতাম এখানে নিজের মতন করে সুন্দর করে লেখালেখি করা যায় । ব্যাস এইটুকু শুনে আমি ভীষণ আগ্রহী হয়ে গেছিলাম এই প্ল্যাটফর্ম এ আসার জন্য। আস্তে আস্তে শুরু হল এখানে কাজ করা,কাজ করার সাথে সাথে প্রত্যেক জেনারেল মেম্বারদের সাথে কথা বলা শুরু হলো ডিসকর্ড এর মাধ্যমে।তারপর এডমিন মডারেটর দিদি এবং দাদাদের চিনতে শুরু করলাম ।তারপরেই আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদাকে চিনলাম,যাকে আমার বাংলা ব্লগের প্রাণ বলা যায়।সত্যি কথা বলতে তার অনেকটা পরে @blacks কে চিনেছিলাম। যাইহোক ও কথা আজকে থাক। আমার মনে আছে আমি আসার একমাস পরেই দাদা আর দিদিভাইয়ের অ্যানিভার্সারি ছিল ।তারপরে দিদি ভাইয়ের জন্মদিন ছিল ।আস্তে আস্তে পুরো পরিবারকে চিনলাম।

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.56.45 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.52.35 PM (1).jpeg


সত্যি বলতে আমি প্রথম দিন থেকেই এই পরিবারকে খুব ভালবাসতাম ।আর সব থেকে বড় কথা যেহেতু দাদারা কলকাতায় থাকে সেহেতু প্রথম থেকে আমার খুব ইচ্ছা ছিল দিদিভাই আর দাদার সাথে দেখা করার। কিন্তু কোনোদিনও সেই ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারিনি।তখন মনের ইচ্ছা মনেই ছিল ।কারণ তখন সেভাবে আমার কারো সাথে পরিচয় ছিল না। শুধুমাত্র কমেন্টের মাধ্যমে ছাড়া কথা হতো না ।আমার যতদূর মনে আছে দিদি ভাইয়ের সাথে যা কথা হয়েছে সেটা শুধু কমেন্ট এর মাধ্যমে । সেখান থেকে আমার দিভাইয়ের প্রতি অনেকটা ভালোবাসা জন্মে গিয়েছিল ।তারপর আস্তে আস্তে টিনটিন যেদিন থেকে আমি ওকে দেখেছি সেদিন থেকে ওকে আমার খুব ভালো লাগে,বড্ড মায়া ভরা মুখখানা ওর। আর আমি ওকে প্রচণ্ড ভালোবাসি ।আর আজকে আমাদের সেই টিনটিন বাবুর জন্মদিন ।দেখতে দেখতে আজ চার বছরে পা দিয়ে দিল।ও আমাদের সবার চোখের মনি ।প্রথম দিন থেকে ওর প্রতি আমার একটা আলাদা টান কাজ করে ।আর আজ তো সত্যি কথা বলতে টিনটিন আমাদের সবার আদরের ছেলে। পরশু রাত থেকেই একটা ভীষণ রকম আনন্দ কাজ করছে গতকাল টিনটিনের জন্মদিন ছিল বলে ।ওকে আমি রাত্রে বেলায় উইশ করেছিলাম ।এই টিনটিন এর সাথে আমার প্রচুর খেলার মুহূর্ত জড়িয়ে আছে। যখনই ওর সাথে আমার দেখা হয় তখন সারাক্ষণই আমি ওকে নিয়ে থাকি ।আর সারাদিনে ওকে একবার ভিডিও কলে না দেখলে আমার একটুও ভালো লাগে না। এমনকি যখন ঘুরতে বেরোই টিনটিন পুরোটা টাইম আমার কোলে থাকে।

WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.04.01 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.56.49 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.56.47 PM.jpeg


WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.03.59 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.03.59 PM.jpeg


টিনটিন রাস্তায় বেরোলে মোটামুটি শান্তই থাকে আর ঘরে থাকলে অসম্ভব দুরন্ত। সারাক্ষণ কিছু না কিছু করেই চলেছে। একটু ওর মধ্যে ক্লান্তি নেই। আমি চাই ও সবসময়ই এত এনার্জেটিক থাকুক। টিনটিন এর জন্মদিন উপলক্ষে ওকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই তার সাথে অনেক অনেক আদর ওর জন্য । আমি চাই টিনটিন জীবনে অনেক বড় হোক ।অনেক বড় মনের মানুষ হোক ।অনেক সাফল্য অর্জন করুক জীবনে। আর মা বাবা এবং পরিবার সকলের মুখ উজ্জ্বল করুক,বাবা মা,কাকা, জেঠুর মতো সুন্দর আদর্শে বড়ো হোক এই কামনাই করি।

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.52.33 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.52.34 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.04.00 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.04.54 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 10.57.22 PM.jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.04.01 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2022-09-27 at 11.03.57 PM.jpeg


কালকে টিনটিনের জন্মদিন উপলক্ষে যে বিশেষ হ্যাংআউট হয়েছিল সেই হ্যাংআউটের প্রথম দিকে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি কিন্তু শেষের দিকে পুরোটা সময় উপস্থিত ছিলাম। কারণ যখন হ্যাংআউট শুরু হয়েছিল ওই সময় কেক কাটা হচ্ছিল।আমি তখন দেখেছিলাম দাদা পুরো হ্যাংআউটটাই শুনেছে এবং উপভোগ করেছে। তার সাথে কেক কাটার সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছে। আর আমার ভীষণ ভালো লেগেছে যতটুকু সময় হ্যাংআউট এ ছিলাম।সত্যিই এত দূর থেকে এত সুন্দরভাবে প্রত্যেক এডমিন মডারেটর দাদা এবং দিদিরা তার সাথে প্রত্যেক জেনারেল মেম্বাররা এত সুন্দর ভাবে টিনটিনকে বার্থডে উইশ করেছেন এবং কেক কেটেছেন সত্যিই খুব ভালো লেগেছে দেখে। এতদুর থেকে এত সুন্দর ভাবে আপনারা সবাই আয়োজন করেছেন এই ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করে বোঝাতে পারবো না।আজ আমি আমার সাথে টিনটিনের কাটানো কিছু কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ

Sort:  
 2 years ago 

আপনার আমার বাংলা ব্লগে আসা দাদাদের পরিবারের সঙ্গে পরিচয় সবকিছু বেশ চমৎকার ছিল। সত্যি বলেছেন দিদি টিনটিনের মুখটা একেবারেই মায়াভরা। টিনটিনের সঙ্গে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। এবং টিনটিনের মতো চঞ্চল দূরন্ত বাচ্চারা কখনো ক্লান্ত হয় না।ওরা অনেক এনার্জেটিক। এতো ব‍্যস্ততার মাঝেও দাদা হ‍্যাংআউটে ছিল সারাক্ষণ এটা থেকে দাদার দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পাই।।

 2 years ago 
আসলে দিদি টিনটিনকে আপনি যেভাবে আপন করে নিয়েছেন। টিনটিন তার থেকে আপনাকে আরো বেশি আপন করে নিয়েছে।যা ছবিতে দেখেই ধারনা করা যাচ্ছে।টিনটিন শুধু দাদা, বৌদি বা তাদের পরিবারেরই নয়।আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের ও মধ্যমনি হিসেবে আজীবন ছিল, আছে এবং থাকবে।
 2 years ago 

সর্বোপরি টিনটিন যেন জীবনে একজন সঠিক মানুষ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে , এর জন্য আমরা সবাই তাকে মন থেকে আশীর্বাদ করছি।

 2 years ago 

সত্যিকারের ভালোবাসা সবসময়ই সুন্দর হয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে আপনি দাদার পরিবারের সাথে একদম মিশে গেছেন সত্যি আপনি একজন ভালো মনের মানুষ বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আপনার মনের কথাগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো অনেক কিছু জানতে পারলাম। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনার ভালবাসার মানুষ গুলো সবসময় ভালো থাকুক। টিনটিন সোনার জন্মদিন খুবই ভালো উপভোগ করেছি সবাই মিলে এতটা আনন্দ হয়েছে যা বলে বোঝাতে পারবো না সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা মুহূর্ত কেটেছে। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।🧡🧡

 2 years ago 

এই টিন টিন বাবা তোমাকে অনেক কিউট লাগছে। তোমার চোখের চাহনি টা আমার অনেক অনেক ভাল লাগেরে বাবা। তুই যদি আমার হয়তিস রে টিন টিন!!!!😘😘 দিদি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে সবাইকে। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আমরা ও ভাগ করে নিলাম। ধন্যবাদ প্রিয় দিদি।

 2 years ago 

আশা করি দিদি ভালো আছেন? টিনটিন বাবু জন্মদিনের মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেছেন। আসলে আমরা সকলেই ভার্চুয়ালি স্নেহের টিনটিন বাবুর জন্মদিন খুবই আনন্দের সাথে উদযাপন করেছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। বেশ কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন । স্নেহের টিনটিন বাবুর জন্মদিনের শুভক্ষণ দাদার পরিবারে সবার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা রইলো।

শুভ জন্মদিন ভালোবাসার টিনটিন বাবু।

 2 years ago 

আপু আমি আর আপনি খুব সম্ভবত একাসাথে এখানে আমার বাংলা ব্লগপ এসেছি।এক সাথে ক্লাস ও করেছি।যাই হোক আসলেই ওর মাঝে একটা কিউটনেস আছে।বেশ মায়াবী চেহারা।যাই হোক সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে।

 2 years ago 

টিনটিন এর সাথে কাটানো কিছু মুহুর্ত দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই দিদি আপনি টিনটিন কে কত ভালোবাসেন তা আপনার সাথে টিনটিন এর ছবি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। টিনটিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে হ্যাংআউটে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি আমরা সকলেই। টিনটিন বাবুর জন্য দোয়া রইল 🤲

 2 years ago 
দিদি আপনার সন্তানের জন্মদিনে আপনি যেমন খুশী ছিলেন ঠিক তেমন আমরাও বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ অনেক খুশি ছিলাম ওই দিন। ওই মুহূর্তের কথা কখনো ভুলবার নয়।সন্তানের প্রতি রইল ভালোবাসা ও দোয়া। সৃষ্টিকর্তা যেন বারবার আপনাদের জীবনে এই সুখ আনন্দ বয়ে আনে।
 2 years ago 
বড় দাদা এবং তনুজা দিদির সাথে আপনার পরিচয়ের পর্ব জেনে খুব ভাল লেগেছে। আর ব্ল্যাক দাদার সাথে পরিচয় এর ঘটনাটা শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। টিনটিন কে আপনি খুবই ভালোবাসেন তা আপনার গত কয়েকটা ঘুরাঘুরির পোস্টের মাধ্যমেই আমি জানতে পেরেছি। জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও আপনাকে অনেক উচ্ছ্বসিত মনে হয়েছে। হ্যাংআউটে আমাদের সাথে আপনি শেষের দিকে ছিলেন জেনে খুব ভাল লাগল। শুভ ভাই বলেছিল স্বাগতা দিদি এসেছে হ্যাংআউটে। সেদিন আমরাও এপার বাংলা থেকে হ্যাংআউটের মাধ্যমে টিনটিনের জন্মদিন ভার্চুয়ালি অনেক উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ দিদি।