ইংল্যান্ডে নতুন রুল কার্যকর হতে যাচ্ছে- স্বেচ্ছায় জনগন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারবে
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
আত্মহত্যা মহাপাপ এটা আমরা সকলেই জানি।সকল ধর্মগ্রন্থেই আত্মহত্যা গুরুতর পাপ বলে নিষেধ করা হয়েছে।কিন্তু ইংল্যান্ডে সম্প্রতি একটি রুলস জারি হতে যাচ্ছে যে ১৩ বছরের উপরে যে কোন সিরিয়াস রোগী অথবা ডিসএবল পারসন নিজে নিজে আত্মহত্যা করতে পারবে। অর্থাৎ যাদের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে অথবা বেঁচে থাকার আর কোন আশা নেই তারা ইচ্ছে করলে আত্মহত্যা করতে পারবে।এ ক্ষেত্রে নার্স, ডক্টর অথবা পরিবারের লোকজন তাদেরকে হেল্প করতে পারবে (আত্মহত্যা করার জন্য)।কি একটি অদ্ভুত ভয়াবহ রুলস আনতে যাচ্ছে এ দেশের সরকার! আল্লাহতাআলা আমাদের যতদিন হায়াত দিয়েছেন আমরা ততদিনই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব।কিন্তু তাই বলে জোর করে নিজেকে শেষ করে ফেলতে হবে এটা কি কোন কথা? এটি নিয়ে সংসদে একটি ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যেখানে এই রুলস এর পক্ষে বেশি ভোট পড়ে ছিল।তবে অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন, জানিনা এটা সত্যি সত্যিই বাস্তব রূপ নিবে কিনা? এখনো এ বিষয়ে বিলটি পাস হয়নি।তবে যেহেতু এর পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে তাই হয়তো পাশ হয়েও যেতে পারে।
প্রথিবী এখন কোন দিকে চলছে তা ভাবলেই অবাক লাগে। চিন্তা করা যায় এ কোন ধরনের ডিসিশন? আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এই নিয়ম চালু করা হলে আত্মহত্যার হার খুব বেশি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া যে সমস্ত রোগী বেশি অসহায়, হসপিটালে পড়ে থাকে বছরের পর বছর তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।কারণ তাদেরকে তখন মেরে ফেলা হবে, বলা হবে তারা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল তাই তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।খুবই ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিবে তখন। শুধু হসপিটালেই নয়, বাসা বাড়ি ও কেয়ার হোমে যে সকল অসহায় মানুষগুলো থাকে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে হবে।এ ধরনের পদক্ষেপ কেন নিতে হবে বুঝলাম না।এ সকল অসহায় ব্যক্তিদের পৃথিবীতে যতদিন হায়াত রয়েছে ততদিন তারা বেঁচে থাকবে, কিন্তু তাদেরকে কেন আত্মহত্যা করতে হবে?
কিছুদিন আগে যখন এই নিউজটি শুনেছিলাম তখন প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, কিভাবে এ ধরনের একটি ডিসিশন নিতে পারে সরকার? খুবই খারাপ লেগেছিল জেনে।আমাদের ধর্মে রয়েছে যারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে তারা কখনোই জান্নাতে যেতে পারবে না।মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমরা এর বিপক্ষেই থাকবো।জানি কিছু কিছু মানুষের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।বেঁচে থাকার আর কোন আশা নেই।অনেক যন্ত্রণা তাদেরকে সহ্য করতে হচ্ছে।তাদের যন্ত্রণাগুলোকে লাঘব করার জন্য এই সিদ্ধান্তটি নিতে যাচ্ছেন তারা।কিন্তু এতে কি তাদের শান্তি হবে? আত্মহত্যার মতো মহাপাপকে তাদের গ্রহণ করতে হবে।হয়তো অনেক কষ্টে বাকি জীবনটা পার করে দেয়ার মাধ্যমেই তাদের পাপগুলোকে মোচন করে পরবর্তী জীবনে সফলতা আনা সম্ভব হতো।যাইহোক আমার নিজস্ব মতামত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশা করি আপনারও আপনাদের মতামত গুলো এখানে প্রকাশ করবেন।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপনার পোস্ট পড়ে তো রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম আসলে কি তারা মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছে নাকি?? একজন মানুষকে আত্মহত্যা করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে !! আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে তাদের শান্তি তো আসবেই না বরং মানসিক অশান্তি আরো বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের ধর্মে আত্মহত্যা মহাপাপ এটা যে ব্যক্তি করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এরকম জঘন্যতম একটি কাজ কোন দেশে যে আইন পাস হতে পারে সেটা ভাবতেই যেন অবাক লাগছে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এমন আইন সম্পর্কে শুনতে হবে এটা জেনেই জানো প্রচন্ড পরিমাণের খারাপ লাগছে। এই আইন পাস হলে বৃদ্ধ বয়স কিংবা যারা মুমূর্ষু রোগী তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। তারা প্রত্যেকেই কুচক্রের শিকার হবে। প্রার্থনা করছি এই আইন যেন পাস না হয়।
আসলে আত্মহত্যা করা মহাপাপ হয়ে সত্ত্বেও যদি মানুষ আত্মহত্যা করে তাহলে আর করার কিছু থাকে না। ইংল্যান্ডের এই নতুন রীতি বাস্তবায়ন যেন না করা হয়। আমাদের হায়াত যতদিন থাকবে, আমরা ততদিন পর্যন্ত বাঁচতে চাই।
এ নিউজটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপু! আত্মহত্যাকে স্বীকৃত দেয়া এটা আমার কাছেও কেমন লাগলো বিষয়টা! এতে করে মানুষ আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে চাইবে এবং এখন থেকে আত্মহত্যার হারও বাড়বে। আমাদের ইসলামে একদম নিষেধ আত্মহত্যা করা!
এই ধরনের ডিসিশন নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। ইংল্যান্ড সরকার এমন একটা নিয়ম কার্যকর করতে যাচ্ছে, জেনে বেশ অবাক হলাম। তবে এই নিয়মটা শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হলে অনেক খুশি হবো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।