আমার বাগানের কিছু ফুল ও সবজির আপডেট
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
খুব ভালো একটা ওয়েদারের মধ্যে এখন আমরা রয়েছি। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ২২ বা ২৩ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। তবে দুইদিন সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ছিল।যেহেতু এ দেশ শীতের দেশ তাই বাসা বাড়িগুলোতে এসি নেই বললেই চলে।কারো বাসায় এসি থাকে না।এসির পরিবর্তে সকলের বাসায় থাকে সেন্ট্রাল হিটির। কারণ বেশিরভাগ সময় এ দেশের শীত থাকে।আর গরমের সময় জানালা খুলে রাখলেই ঘর মোটামুটি ঠান্ডা থাকে। এছাড়া ঘরে কোন সিলিং ফ্যান ও নেই।এলাও না সিলিং ফ্যান লাগানো।তাই সকলে টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানগুলো ব্যবহার করে।সেগুলোর ব্যবহার খুবই কম হয়। যেমন ধরুন আমরা আমাদের স্ট্যান্ড ফ্যান মাত্র তিন দিন ব্যাবহার করেছি।কারণ ওই তিন দিন একটু গরম ছিল।
যাইহোক অনেক ভালো একটা ওয়েদার আমাদের এখানে। আর এই ওয়েদারে বাগানে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আর বাগানে যদি থাকে রংবেরঙের ফুল, কিছু সবজি ও ফল তাহলে তো কোন কথাই নেই।এগুলো দেখে আসলেই মনে অনেক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার বাগানের কিছু ফুল ও সবজির আপডেট নিয়ে।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
বর্তমানে আমার বাগানে এই গোলাপগুলো রয়েছে।চারটি গোলাপ গাছেই অনেক ফুল ও কুঁড়ি এসেছে।এগুলো দেখলে আসলেই মনটা ভরে ওঠে।এবছর নতুন আরও একটি গোলাপের গাছ আনা হয়েছে। এখনো ফুল ধরেনি। ফুল আসলে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গত বছর আমার বাগানে অনেকগুলো গাঁদা ফুল ছিল।গতকাল হাজব্যান্ড শপ থেকে সামান্য গাঁদা ফুলের চারা কিনে এনেছে, কারণ খুবই সীমিত ছিল। যেটুকু পেয়েছে সেগুলো নিয়ে এসেছে।ফুল ফুঁটলে সেগুলোও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
এবার নিয়ে এলাম আমার বাগানের চোখ জুড়ানো নীল রঙের হাইড্রেনজিয়াকে। যদিও বাগানে গোলাপি রঙের হাইড্রেনজিয়া রয়েছে কিন্তু এখন আপাতত কোন ফুল নেই।কারন গাছটি একেবারেই ছোট ছিল এবং এবছরই আনা হয়েছিল। অবশ্য ফুলগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আবার নতুন করে আগামী বছর ফুল ফুঁটবে। যাইহোক আমার অনেক পছন্দের এই নীল রঙের হাইড্রেনজিয়া। আর গাছ দুটিতে প্রতিবছরই ঝাঁপিয়ে ফুল আসে। এত ফুল ধরে যে গাছে পাতাই খুঁজে পাওয়া যায় না।
এই ফুল গুলোর নামটি ভুলে গিয়েছি।
উপরের ফুলগুলো জেরানিয়াম, যদিও এই ফুলগুলো আগেও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। বর্তমানে এই ফুলের এখন এই অবস্থা। গাছ ভর্তি এখনো অনেক ফুল ধরে রয়েছে।এছাড়াও বাগানে রয়েছে কয়েক রকমের প্রায়মুলা ফুল।এই প্রায়মুলা এর আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, নতুন করে আজকে আর শেয়ার করলাম না।
এবার চলে এলাম সবজি বাগানে। উপরের গাছটি টমেটো। টমেটো গাছে ফুল আসা শুরু করে দিয়েছে।এই গাছগুলো মাটিতে লাগানো হয়েছিল।
এগুলো পুঁইশাক। পুঁইশাক গুলোও মাটিতে লাগানো হয়েছে।বেশ সতেজ হয়ে উঠেছে।
এটি বেগুন গাছ। বেগুন গাছ টবে লাগানো হয়েছে।
উপরের গাছগুলো সিম ও লাউ। এগুলো মাটিতে লাগানো হয়েছে। বেশ সতেজ হয়ে উঠেছে এই গাছগুলোও। দেখতে খুবই ভালো লাগছে।এছাড়াও বাগানে রয়েছে মরিচ গাছ সহ আরো কিছু সবজি। পরবর্তীতে এগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
গোলাপ ফুল গুলো অনেক সুন্দর ছিল তবে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে নীল রঙের হাইড্রেনজিয়াক ফুলের সৌন্দর্যটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় নতুন কিছু দেখতে পেলাম যাইহোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার বাগানের এত রকমের ফুল আর সবজি দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো আপু। ফুলগুলো দেখে তো চোখ একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। কারণ ফুল গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো একদম চোখ ফেরাতেই পারছিলাম না। আর দেখছি সব সময়ের মতো এই বছরও অনেক রকমের সবজি রোপণ করেছেন। তাজা তাজা নিজের বাগানের সবজি খেতে কিন্তু অনেক বেশি ভালোই লাগে। প্রত্যেকটা ফুল গাছে অনেক বেশি বেশি ফুল ফুটে রয়েছে। এটার সৌন্দর্য দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো।
এর আগেও আপনার বাগানের অনেক আপডেট দেখেছিলাম। আপনার বাগানে অনেক রকমের ফুল গাছ এবং সবজি গাছ রয়েছে। আপনি প্রত্যেক বছর ফুলগাছ এবং সবজি গাছ রোপন করে থাকেন এই বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপু। এত রকমের সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে রীতিমতো আমি মুগ্ধ হলাম। আর অনেক রকমের সবজি গাছ দেখছি রোপণ করেছেন। সবজিগুলো খাওয়ার উপযুক্ত হলে আমার জন্য পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েন। দোয়া করি যেন আপনার বাগানের সবজিগুলোতে ভালো ফলন হয়।
আসলেই শীতের দেশে সিলিং ফ্যান লাগে না। আমিও দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতাম। তবে রুমে এসিও ছিলো। কারণ জুলাই এবং আগষ্টে তাপমাত্রা ৩০-৩৫ হয়ে যেতো। যাইহোক আপনার বাগানের ফুল ও সবজির আপডেট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। রং বেরঙের ফুল দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন আপু। পোস্টটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দারুন ওয়েদারে আছেন আপু তাহলে। খুব ভালো লাগলো ওয়াদারের বর্ণনা গুলো শুনে। যেহেতু ফ্যানের প্রয়োজন হয় না আর সিলিং ফ্যান গুলো এমনিতে আমার অনেক ভয় লাগে। তবে কি আর করার আমাদের দেশে তো সিলিং ফ্যানগুলো অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। আর এত শীতের মধ্যে এসির তো প্রয়োজন নেই আপু জানালা খুলে দিলে তো বেশ ভালো হয় হালকা গরমের মধ্যে। অনেক ভালো লাগলো আপনার বাগানের আপডেট দেখে। কিছুদিন আগে আপনি শেয়ার করেছিলেন বাগান সাজিয়েছিলেন। আজকে এত সুন্দর বাগানের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
গরমের মধ্যে এত সুন্দর বাগানে সময় কাটাতে তো আসলেই ভালো লাগবে। আপনার বাগানের বিভিন্ন ফুল দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। হাইড্রেনজিয়াকে দেখে তো সত্যি চোখ জুড়িয়ে গেল। সামনাসামনি দেখতে না জানি কত সুন্দর। সবজি গাছের ফটোগ্রাফি দেখেও ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে বাগানটা সাজিয়েছেন আপু।
এখন আপনাদের দেশের ওয়েদার ভীষণ ভালো। আর এ ওয়েদারে বাগানে ঘুরে বেড়াতে ভালো ই লাগার কথা।আর যেহেতু বাগানে এতো চমৎকার চমৎকার ফুল ও সব্জির গাছ রয়েছে তাইতো এখন বাগানে একটু বেশীই ভালো লাগারই কথা।আপু আপনার বাগানের ফুল গুলো দেখে চোখ আমার জুড়িয়ে গেলো।ভাইয়া আর আপনি বেশ ভালোই যত্ন করেন বাগানের বেশ বুঝতে পারছি।ধন্যবাদ আপু আপনার বাগানের ফুল ও সবজির আপডেট দেয়ার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে মোটামুটি আপনাদের ওখান কার তাপমাত্রা সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। কিন্তু এখন সেই তুলনায় অনেক বেশি তাপমাত্রা বলতে হয়। গোলাপ ফুলগুলো চমৎকার লাগছে। ফুলগুলো খুবই সুন্দর খুবই চমৎকার খুবই সিগ্ধ লাগছে আপু। হাইড্রেনজিয়া ফুলটা প্রথমবার দেখলাম। সত্যি অসাধারণ একটা ফুল। চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আপনি। আপনার বাগানের অবস্থা দেখে বেশ ভালো লাগল।
আপু আপনার বাগানের ফুল গুলো দেখে আমি চোখ ফেরাতে পারছি না এত সুন্দর ফুলের বাগান আমি এই প্রথম দেখলাম। বিভিন্ন রঙের ফুল গুলো দেখে মনের ভেতর অন্যরকম ফিলিংস কাজ করল মনে হচ্ছে ইস আমি যদি এই বাগান করতে পারতাম।যত্নে রত্ন বাড়ে গাছগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে গাছের অনেক পরিচর্যা করেন আপনি।অনেক ধন্যবাদ আপু দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।