কই মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি কই মাছের রেসিপি নিয়ে।কই মাছ আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।আর ভুনা করে রান্না করলে আরও বেশি মজা হয়।প্রায়ই বাসায় আনা হয়।এদেশের সুবিধা হচ্ছে সকল ধরনের মাছগুলো কেটে, বেছে, সুন্দর করে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে।এ কারণে বাসায় আর কাটার কোন ঝামেলা থাকে না। অবশ্য কিছু মাছ পাওয়া যায় যেগুলো কেটে রাখা থাকে না, বাসায় এসে কেটে পরিষ্কার করতে হয়।মূলত দুই ধরনের মাছই পাওয়া যায় এখানে। যাইহোক আমি কই মাছের ঝোলের রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।খেতে কিন্তু বেশ স্বাদের হয়েছিল।আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ৭০০ গ্রাম |
পিঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
জিরা গুঁড়া | দেড় টেবিল চামচ |
কারি পাউডার | ১ টেবিল চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কেটে নিয়েছি। এরপর মাছগুলো বের করে নিয়েছি বরফ ছাড়ানোর জন্য।
মাছগুলো কেটে বেছে পরিষ্কার করে প্যাকেট করা ছিল।আর এই মাছগুলো অনেক বড় বড় ছিল তাই বেশি বড় যেগুলো ছিল সেগুলো মাঝখান থেকে কেটে দুই পিস করে নিয়েছি।পরে হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখেছি ব্রাউন করে তেলে ভেজে নেওয়ার জন্য।
এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পেঁয়াজগুলো গলে যাওয়ার জন্য।
এরপর পিঁয়াজ গলে গেলে সকল গুড়া মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মসলা গুলো পেঁয়াজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি। এরপর ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মসলার সাথে মাছগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে আরও তিন মিনিট কষিয়ে নিয়েছি।এরপর দুই কাপ পানি অ্যাড করেছি।
এরপর ফুল আঁচে ৬-৭ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি। এরপর ধনেপাতা অ্যাড করে আমার রান্না শেষ করেছি। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার কই মাছের রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কিছুদিন আগে আমি কৈ মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। তবে দেশী কৈ এর মজাদার রেসিপি গুলো খেতে বেশি মজা লাগে আমার কাছে। যাই হোক আপনার রেসিপি পরিবেশনটা ভালো লেগেছে আমার।
আপনাদের তো দেখছি কাটা ধুয়ার কোন ঝামেলা নেই। যাইহোক কই মাছ এভাবে ধনের পাতা দিয়ে ঝোল করলে খেতে অনেক মজা লাগে বিশেষ করে শীতের সময়। তবে অনেক দিন খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানোর মুশকিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাঙালি হিসেবে এমনিতেই সবাই মাছ খেতে ভালোবাসে আমিও তাই তবে মাছের মধ্যে প্রিয় কৈ মাছ। আপনি যে সুন্দর করে যত্ন নিয়ে কৈ মাছ রান্না করেছেন, পাশের বাড়িতে থাকলে দৌড়ে চলে যেতাম। তবে ও দেশে কৈ মাছ পাওয়া যায় দেখে অবাক হলাম। তাহলে দেশ থেকে কেটে বেছে প্যাকেট করে এভাবেই রপ্তানি করা হয় তাইতো?
আমাদের দেশেও ইদানিং বাজার থেকে সব ধরনের মাছ কাটিয়ে আনা যায়। পরিষ্কার করে অবশ্য দেয় না। সেগুলো বাসায় এসেই করতে হয়। যাই হোক অনেকদিন হলো কৈ মাছ খাওয়া হয় না। আপনার কৈ মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা মজাদার হয়েছিল।
অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি আজকে। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। এই মাছগুলো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। দুপুরবেলায় কিন্তু এরকম রেসিপি গুলো অনেক মজা করে খাওয়া যায়। দেখে তো মনে হচ্ছে এই রেসিপিটা অনেক মজা করে খেয়েছেন।
কই মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কই মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা এতো সুন্দর একটি রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
কই মাছের সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই কৈ মাছ ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা দারুন হয়েছে।
আপনাদের ওখানে তো তাহলে অনেক সুবিধা। সবকিছু কেটেকুটে পরিষ্কার করেই বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশের এরকম না পেলেও একদম ফ্রেশ কৈ মাছ আনা হলে সেগুলো খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনি কৈ মাছের খুব মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। এগুলো ভাজি করলে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি ঝোল রান্না করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এত চমৎকার এবং লোভনীয় রেসিপিগুলি দেখলে এমনিতেই জিভে জল চলে আসবে আপু। সেই সাথে রন্ধন প্রক্রিয়াও খুবই সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। কৈ মাছ আমার ভীষণ পছন্দের। চেষ্টা করব আমিও আপনার বন্ধন প্রসেস গুলি অবলম্বন করে নিজে বাসায় তৈরি করে খাওয়ার জন্য। কৈ মাছের চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে দারুন কৈ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। কৈ মাছ আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কৈ মাছ কাটা একটু ঝামেলার। আপনাদের ওখানে তো সেই ঝামেলাও নেই দেখছি তাহলে তো এই সুস্বাদু মাছ খাওয়ার কোন ঝামেলাই নেই। লোভনীয় কৈ মাছের রেসিপি তৈরি করার প্রণালী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।