মেয়ের জুতা হারানোর গল্প

in আমার বাংলা ব্লগ13 hours ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_3109.jpeg

হারিয়ে ফেলা জুতা।

বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠিয়েও শান্তি নেই, কখন কে কোন দূর্ঘটনায় পড়ে যায় তা বলা যায় না।স্কুলে অনেক সময় অনেক দুষ্টু বাচ্চারাও থাকে, স্পেশালি হাই স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে বেশি প্রবলেম।এ সময় বাচ্চারা একটু বেশি দুষ্টু থাকে, বিশেষ করে ছেলে বাচ্চারা বেশি দুষ্টু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে আমার বড় মেয়ের সাথে।আমার মেয়ে তার ফ্রেন্ডের সাথে মাঠে হাঁটছিল।এমন সময় অন্য একটি মেয়ে ও তার ছেলে বন্ধু এসে ওদের সাথে দুষ্টুমি করতে থাকে।ওরা স্টপ হতে বলে কিন্তু তারা দুষ্টুমি করেই যাচ্ছিল।পরে আমার মেয়ে ও তার বান্ধবী না পেরে দৌঁড় দেয়।তখন আমার মেয়ের পা থেকে একটি জুতা খুলে পড়ে যায়।তখন তারা ওই জুতো নিয়ে পাশের বাসার এক গার্ডেনে ফেলে দেয়।তখন আমার মেয়ে ও তার বান্ধবী গিয়ে টিচারের কাছে কমপ্লেইন করে।টিচার তাদের উপর খুব রাগ করে।এরপর স্কুল থেকে অন্য এক জোড়া জুতা আমার মেয়েকে দেয় পড়ার জন্য।পর ওই জুতা পরে সে বাসায় ফিরে।

এরপর বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর স্কুল থেকে ফোন আসে। তখন আমি ফোন রিসিভ করি। তখন টিচার সরি বলে ঘটনাটি আমাকে বলছিল। তখন আমি বললাম ইটস ওকে। এরপর বলল আমার মেয়ে যে জুতা হারিয়েছে সেই জুতা কোন কোম্পানির জুতা ছিল। তখন আমি বলে দিলাম কম্পানির নাম।এরপর মেয়ে যখন পরের দিন স্কুলে যায় তখন টিচার মেয়েকে ডেকে বলে যেহেতু ওরা তোমার জুতা হারিয়ে ফেলেছে তাই ওদের গার্জিয়ানের কাছে আমি কমপ্লেইন করেছি।তোমার জুতা তারা কিনে দিবে।এরপর মেয়ে বাসায় এসে আমাকে এই ঘটনাটি বলল।তখন আমি তাকে বললাম তাদের কে বলে দিও আমার মাম নিষেধ করেছে জুতা কিনে দিতে হবে না।মেয়ে যখন টিচারকে এ কথা বলল টিচার বলল না, এটা হবে না, তাকে কিনে দিতে হবে। কেন এই কাজটি করলো? এরপর টিচার তার গার্ডিয়ানের সাথে যোগাযোগ করলে গার্ডিয়ান বলল ঠিক আছে আমরা টাকা দিয়ে দিব।এরপর গার্ডিয়ান একটি খামের মধ্যে 30 পাউন্ড দিয়ে একটি লেটার লিখে দিয়েছে সরি বলে।যদিও আমি জুতো জোড়া 60 পাউন্ড দিয়ে কিনেছিলাম। যাইহোক টাকা নেওয়া আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল।কারণ এটা ছিল বাচ্চাদের দুষ্টুমি, এক্সিডেন্ট হতেই পারে। কিন্তু তারপরও টিচার তা মেনে নিতে পারেনি, তাদের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে।এটি এ কারণেই করেছে যে পরবর্তীতে কোন বাচ্চা যেন এ ধরনের দুষ্টুমি না করে।জানিনা বাংলাদেশে হলে তখন কি করতো? এ দেশের সিস্টেমটি জানানোর জন্যই আপনাদের সাথে এই গল্পটি শেয়ার করে ফেললাম।

যাইহোক এখন বাচ্চাদের স্কুল হলিডে চলছে খ্রীষ্টমাসের। প্রায় ১৮ দিনের জন্য স্কুল বন্ধ হয়েছে।এখন প্রচন্ড ঠান্ডা, এই ঠান্ডায় স্কুলে পাঠানোও প্রবলেম। কিছু দিনের জন্য একটু স্বস্তি পেলাম। কিন্তু প্রবলেম হলো সময় কাটানো।ঘরে বসে থাকতে থাকতে বোর হয়ে যায়।আর এই ঠান্ডায় কোখাও বের হওয়াও যায়না। সারাদিন পরে থাকবে ট্যাব, মোবাইল নিয়ে। যাইহোক চেষ্টা করতে হবে তাদেরকে একটু সময় দিতে।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile