ইংল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ, আর সাথে কিছু অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago (edited)
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_2162.jpeg

জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম আজ।এখানকার ভোটিং সিস্টেম একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশে যেমন ভোট নিয়ে মিছিল মিটিং, পোস্টার, আরো কত কি? কিন্তু এখানে তেমন কিছুই হয় না, বোঝাই যায় না যে ভোট শুরু হতে যাচ্ছে।শুধু ঘরে ঘরে লিফলেট গুলো দিয়ে যাওয়া হয় ভোট চাওয়ার জন্য। তবে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভোটের অনেক প্রচার-প্রচারণা চলেছিল। আর বাংলাদেশে যেমন ভোটের সময় স্কুল, অফিস-আদালত সবকিছুই বন্ধ থাকে কিন্তু এ দেশের সব কিছুই খোলা থাকে। কোন কিছুই বন্ধ থাকে না ভোটের কারণে।আর এই ভোট শুরু হয়েছিল সকাল আটটায় এবং চলেছে রাত দশটা পর্যন্ত।আগামীকাল সকালের মধ্যেই ভোটের রেজাল্ট পেয়ে যাব।এই ভোট নিয়ে কিন্তু জনগণের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনের কাজ করছে। এমনকি বাচ্চাদেরও অনেকটা প্রভাব পড়েছে কারণ বাচ্চাদের স্কুলে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।যাইহোক অনেকগুলো দল অংশগ্রহণ করেছে এই নির্বাচনে, তবে তার মধ্যে প্রধান দুই তিনটি দল রয়েছে।তার মধ্য থেকে ডেমোক্রেট অথবা লেবার এই দুটি দল থেকে যেকোনো একটি দল হয়ে যাবে।বর্তমানে ডেমোক্রেট ক্ষমতায় রয়েছে। ইংল্যান্ডে আসার পর থেকেই দেখছি সবসময় ডেমোক্রেট ক্ষমতায় রয়েছে। এবার মনে হয় একটু ভিন্নতা আসতে চলেছে।

IMG_2161.jpeg

পোলিং স্টেশনটি ছিল আমার বাসা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এর মত বা তার চেয়েও কিছু কম। সকালে উঠে নাস্তা করে আমরা দুজনে হেঁটে হেঁটে চলে গেলাম ভোট দিতে। এখানে আর বাংলাদেশের ভোটের মধ্যে রাত দিন পার্থক্য।কারণ বাংলাদেশের প্রায়ই দেখা যায় ভোটে মারামারি, কাটাকাটি, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে যায়, আরো কত কি অঘটন ঘটে থাকে তা আর বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু এখানে একেবারেই নিরিবিলি পরিবেশে সবাই ভোট দিচ্ছে, কোন ঝামেলা হচ্ছে না।শুধু এখানেই না, ইংল্যান্ডের প্রতিটি পোলিং স্টেশনে এভাবে শান্ত পরিবেশে সকলেই ভোট দিয়ে যায় সব সময়। কখনও কোন ঝামেলা হয় না।আর এখানে লম্বা লাইনেও দাঁড়াতে হয় না, কারণ ভোট সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলছে। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় দুই তিনটি করে পোলিং স্টেশন রয়েছে ভোট দেয়ার জন্য।

ভোট দেয়ার সময় অবশ্যই আইডি কার্ড তো লাগবেই, আর সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম পোলিং কার্ড।আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট ছাড়া কোনভাবেই ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।বাংলাদেশে আমি একবার ভোট দিয়েছিলাম।আর সেটিই ছিল আমার জীবনে প্রথম ভোট। অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল তখন।তখন ভোট দেয়ার সময় নখে কালো কালি লাগিয়ে দিয়েছিল।এখানে কিন্তু এসব কিছুই হয় না, কারণ এখানে কেও দুই নাম্বারি করে ভোট দেয় না।যাইহেক এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা কখন রেজাল্ট পাব।আরেকটি কথা যা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না।বাংলাদেশে যখন এই নির্বাচনটি হত তখন খুবই এক্সাইটেড ছিলাম টিভি দেখার জন্য। কারণ ওই সময় টিভিতে সারা রাত একটার পর একটা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হতো সিনেমা, নাটক আরো কত কি? আর মাঝে মাঝে ভোটের আপডেট দিত। সারা রাত জেগে সেগুলো দেখতাম আর আপডেটগুলো শুনতাম। খুবই ভালো লাগতো ভোটের ওই দিনটি।আর যাকে সাপোর্ট করতাম তার ভোটের সংখ্যা বেশি হলে আরো বেশি ভালো লাগতো।যাই হোক ভোটের অনেক অনুভূতি আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করে ফেললাম। অবশেষে ভোট দিয়ে কিছু কেনাকাটা করে বাসায় ফিরে এলাম।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 3 months ago 

আসলে সেখানে ভোট দেওয়ার সিস্টেমটা দেখছি পুরোপুরি আলাদা। একসময় বাংলাদেশে নির্বাচন হতো যখন টিভিতে এরকম নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হতো। আমার মনে আছে নির্বাচনের সব শেষ মজাটা ২০০৯ সালে উপভোগ করেছিলাম যদিও তখন অনেক ছোট।

 3 months ago 

ইংল্যান্ডে এখন জাতীয় নির্বাচন চলছে এটা আমার জানা ছিল না। আর সেখানে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন আর বিস্তারিত অনুভূতি শেয়ার করেছেন এই পোস্টের মাঝে। আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ মিললো। ভোট দেওয়ার সময় আইডি কার্ড লাগে এটা কিন্তু ভালো বিষয়।

 3 months ago 

এমন সুন্দর সিস্টেম যদি এ দেশে হতো তাহলে কিন্তু দারুন ভালো লাগতো। আসলে বাংলাদেশ বাংলাদেশই। তবে ইংলেন্ডের ভোটের ধরনে শুনে বেশ ভালোই লাগলো। কোন কিছুতেই ভোটের প্রভাব পড়েনি। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার কাছে ভোটের এমন নিয়ম গুলো জানতে পেরে ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

ইংল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের কথাটা শুনে অনেক ভালো লেগেছে। মনে হয় না জীবনে কখনো বাংলাদেশে এরকম শান্তশিষ্ঠভাবে ভোট হবে বলে। ভোটের সময় তো মারামারি ঝগড়াঝাঁটি এসব কিছু লেগেই থাকে। বাহিরের কান্ট্রির এরকম আলাদা সিস্টেম দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ভোটের এরকম নিয়ম আমি মনে করি প্রত্যেকটা জায়গায় হওয়া উচিত। ওই জায়গায় কেউ ২ নাম্বারি ভোট দিতে পারে না এই বিষয়টাও ভালো লাগলো। রেজাল্ট কি হবে এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম আপু। আশা করছি ওইটাও শেয়ার করবেন।

 3 months ago 

আপু আপনি ইংল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আপনার অনুভূতিটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অনুভূতিটা খুব ভালো ছিল আপনার এটা তো দেখেই বুঝতে পারলাম। আমার কাছে কিন্তু এই নির্বাচনের নিয়ম বেশ ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের যদি এরকম নির্বাচন হতো তাহলে হয়তো খুব ভালো হতো। কারণ বাংলাদেশের এই নির্বাচনগুলোতে মারামারি এসবকিছু লেগেই থাকে। অনেক কিছু জানতে পারলাম ওই দেশের ভোট সম্পর্কে।

 3 months ago 

আমার ছোট কাকা লন্ডন থাকায় সেখানকার ভোটিং সিস্টেম সম্পর্কে অনেক কিছুই শুনেছিলাম। আসলেই সেখানকার ভোটিং সিস্টেম পুরোটাই আলাদা। আর আমাদের বাংলাদেশে এই নির্বাচন নিয়ে কত কিছুই না হয়। ভোট দেওয়ার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

 3 months ago 

আমাদের দেশের নির্বাচনের সিস্টেম, আর বাহিরের দেশের নির্বাচনের সিস্টেম এর মধ্যে আসলেই আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াতে নির্বাচনের সময় দেখতাম সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক থাকতো। রাস্তা ঘাটে দেখতাম গাড়িতে করে একেবারে হালকা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করা হতো। আর আমাদের দেশে তো মাইকিং এর জ্বালায় বাসায় থাকাটা মুশকিল হয়ে যায়। যাইহোক ইংল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

আপনার কলমে উঠে এলো বিলেতের ভোট। পুরো ব্যবস্থাপনা দেখে বেশ ভালো লাগলো। ভারতীয় সংবিধান অনেকটাই ব্রিটিশদের ধাঁচে তৈরি। তাই কিছুটা ব্যবস্থা জানি। ব্রিটিশ গণতন্ত্রে ভোট একটি সুচারু ব্যবস্থা। আপনি যেভাবে পুরো ব্যবস্থাপনাটি পোষ্টের মাধ্যমে তুলে আনলেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। অনেক কিছু জানা গেল আপনার পোস্ট থেকে।