ইংল্যান্ডে এসাইলাম আবেদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
ইংল্যান্ড একটি মাল্টিন্যাশনাল কান্ট্রি।পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যে সে দেশের লোক এখানে বাস করে না।এ দেশের লোকেরা খুবই শান্তিপ্রিয়। আরাম-আয়েশ, সিকিউর লাইফ, উন্নত জীবনযাপনের জন্য ইংল্যান্ড খুবই প্রসিদ্ধ।এ কারণে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ আসছে এ দেশে বসবাসের জন্য, তাদের লাইফটাকে চেঞ্জ করার জন্য।এ ছাড়াও এ দেশে মানুষ আসছে নানান রকমের অবৈধ উপায়ে, এমনকি সাগর পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন আসছে হাজার হাজার মানুষ।সাগর পাড়ি দেয়ার ফলে প্রতিদিন যে কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তা গুনে শেষ করা যাবে না।কোন ভাবেই এদেরকে আটকানো যাচ্ছে না।সকলেই প্রাণপণ চেষ্টা করছে এদেশে বসবাসের জন্য, এদেশে লিগেল হওয়ার জন্য, এ দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।এসাইলাম আবেদন নিয়ে এদেশে অনেক মানুষ বসবাস করছে।প্রথমেই এসাইলাম সম্পর্কে একটু ধারণা দেই যারা জানেন না তাদের জন্য। সাধারণত পলিটিক্যাল ইস্যুতে অর্থাৎ যাদের জীবন হুমকির মুখে সে সকল লোক এ দেশে এসে আশ্রয় নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে তাদেরকে বলে এসাইলামকারি।তারা তখন সরকারের কাছে আবেদন করে এদেশে বসবাসের সুযোগ পায়। সরকার হতে তাদেরকে তখন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, এমনকি তাদের খাওয়ার খরচ ও দেওয়া হয়।
কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশী এসাইলাম আবেদনকারীদের জন্য চলে আসে একটি দুঃসংবাদ।যেহেতু আগে শেখ হাসিনার সরকার ছিল, সে কারণে সেই সময় থেকে ওই সরকারকে তাদের এন্টি গুরুপ দেখিয়ে অনেকেই এ দেশে আশ্রয় গ্রহণ করে।তার মধ্যে ১০% সত্য ,আর বাকি সবই বানানো। অর্থাৎ মিথ্যে এসাইলাম আবেদন করে অনেকেই এদেশে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন।আর এভাবে দীর্ঘদিন বসবাস করার জন্য এক সময় তাদেরকে বৈধতা দেওয়া হয়।আর এরই সুযোগে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে, এছাড়াও কিছু স্টুডেন্ট যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে তারাও এ আবেদনে ঢুকে যায় লিগেল হওয়ার জন।শুধু বাংলাদেশীরাই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোকেরাও সেই সেম কাজটি করে থাকে।কিন্তু এখন বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের ফলে বিপদে পড়ে গেল বাংলাদেশীরা।কারণ যাদের ভয় দেখানো হয়েছিল তারা এখন রাজনীতিতে নেই।তাই এখন বাংলাদেশীদের জন্য নতুন রুলস হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশীদের এসাইলাম আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।তাই বিপদে পড়ে গিয়েছে হাজার হাজার বাংলাদেশী।তাদের সকলকেই এখন বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে।
আমাদের পরিচিত অনেকেই এর মধ্যে রয়েছেন। তারা এখন খুবই বিপদে পরেছে।করার কিছুই নেই তাদেরকে ফিরে যেতে হবে দেশে। আর যদি কেউ থাকতে চায় তাহলে তাদেরকে লুকিয়ে থাকতে হবে। কিন্তু লুকিয়ে থাকা কি নিরাপদ? কোন না কোন সময় অবশ্যই তাকে ধরা পরতে হবে। আর কোন কাজ সে এখানে করতে পারবে না। আর যদিও লুকিয়ে কাজ করতে পারবে, কিন্তু কেউ তাদেরকে কাজে নিবে না। আর কাজে নিলেও অনেক কম বেতনে তাদেরকে রাখবে।তাহলে আর কি লাভ এভাবে থেকে? যাইহোক অনেকেই অনেক কষ্ট করে, অনেক টাকা পয়সার বিনিময়ে এদেশে এসেছিলেন কিন্তু এখন তাদেরকে চলে যেতে হবে। দুঃসংবাদটি শুনে আসলে খুবই খারাপ লেগেছে, তাই আপনাদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করে ফেললাম।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আসলে এসাইলাম আবেদনকারীদের মধ্যে ৯৫% ভুয়া। আমি সাউথ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় ২/৩ জন লোকের এসাইলাম আবেদনপত্র লিখে দিয়েছিলাম অনেক অনুরোধ করেছিল বলে। মানে এককথায় বলতে গেলে সবই মনগড়া লেখা। তারা বাংলাদেশে গেলে আওয়ামী লীগের লোকজন তাদেরকে মেরে ফেলবে এসব আর কি। যাইহোক ব্যাপারটা জেনে খারাপও লাগলো,আবার কিছুটা ভালোও লাগলো আমার কাছে। কারণ এতো এতো মিথ্যা কথা বলে একটা দেশে সেটেল্ড হওয়ার ব্যাপারটা আমার কখনোই ভালো লাগে না। যেকোনো অবস্থায় সত্য কথা বলতে হবে এবং কখনোই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না, আমি এটাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
0.00 SBD,
0.21 STEEM,
0.21 SP
এসাইলামের নাম করে যারা ভুয়া ভাবে ইংল্যান্ডে গিয়েছিল আশা করব তাদের জন্য এই কাজটি ঠিকই হয়েছে। কিন্তু যারা সঠিকভাবে গিয়েছে তাদের জন্য সমবেদনা এবং খারাপ লাগা কাজ করতেছে। কেননা অনেকেই তাদের পরিবারকে ভালো রাখার জন্য এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য গিয়েছিলেন সঠিকভাবে। অবাঞ্ছিত একটি কারণের জন্য তাদেরকে পুনরায় ফিরে আসতে হবে। লুকিয়ে থাকাটা মোটেও ভালো কাজ হবে না। যাই হোক সঠিক এসাইলামধারি প্রত্যেক বাংলাদেশীদের জন্য শুভকামনা রইল তারা যেন ভালই ভালই দেশে আসতে পারেন। ধন্যবাদ সময়োপযোগী একটি নিউজ শেয়ার করার জন্য।
0.00 SBD,
0.21 STEEM,
0.21 SP
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু উন্নত জীবনের জন্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পারি দেয়। এতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিবছর। আপনাদের সরকার এটা ভালো করেছেন এই পদ্ধতি বন্ধ করে দিয়ে। অনেক লোক হয়তো অবৈধভাবে বসবাস শুরু করেছিল। যাইহোক প্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
শুধু বাংলাদেশী না ইংল্যান্ডে এরকম ভারতবর্ষ থেকেও অনেকেই যায় গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে বলে থেকে যায়। আপনি একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন ইংল্যান্ডে প্রচুর পাঞ্জাবি রয়েছে। অদ্ভুত ভাবেই ওরা কিভাবে যেন থেকে যায়। তবে সমস্ত দেশে নিজস্ব নিয়ম কানুন গুলো একটু কঠিন হওয়া ভালো। কারণ অতিরিক্ত লোকজন এসে পড়লে বর্তমানে যে শৃঙ্খলা রয়েছে সেটা আর থাকবে না। যাই হোক কিছু মানুষের হয়তো কষ্ট হচ্ছে বা ভোগান্তি হচ্ছে কিন্তু আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় আইনের পথে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
বিদেশে গিয়ে যে মানুষগুলো বিপদে পড়ে তাদের যে কি হয়রানি হয় তা কল্পনা করা যায় না। তবে এসাইলাম পদ্ধতিটি জানলাম। তবে মন থেকে চাই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাক। আর যে মানুষগুলি উদ্বাস্তু হয়ে পড়ল তাদের মাথায় ছাদ জুটুক। একটা দেশের সরকার পরিবর্তন অনেক কিছু ওলটপালট করে দেয়।