লন্ডনে বসেও বাংলাদেশের মত ডাবের স্বাদ পাওয়া
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
তীব্র গরমে হাতে যদি কেউ এনে দেয় একটি ডাব তাহলে যে কত শান্তি তা আর বলে বোঝাতে পারবো না।ডাব আমার খুবই পছন্দের। বাংলাদেশে থাকতে যখন গ্রামের বাড়ি যাওয়া হতো তখন প্রায়ই খাওয়া হত ডাব।আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেকগুলো নারিকেলের গাছ ছিল। তাই ডাব খেতে কোন প্রবলেমই হতো না। বাড়ি গেলেই ডাব পেড়ে দেয়ার মানুষের অভাব ছিল না। যাকে বলতাম সেই পেড়ে দিত।আমার কাছে ভালো লাগতো, যে ডাবে পাতলা শাঁস থাকতো সেগুলো।খুব মিস করি সেই ডাবগুলো।কিন্তু এখানে এসে তেমন খাওয়া হয়নি।কারণ এখানে সেই পাতলা শাঁসওয়ালা ডাব আর পাওয়া যায় না। যদিও এখানে ডাব ও নারিকেল দুটিই পাওয়া যায় কিন্তু সেই স্বাদ আর খুঁজে পাই না।ডাবের যে ফটোটি দিয়েছি দেখুন। একেবারে কেটে স্ট্রো সহ তারা বিক্রি করে। ছোট্ট করে হালকাভাবে একটি হোল করা থাকে। আর সেখানে স্ট্রো ঢুকিয়ে দিলেই ব্যাস হয়ে গেল।ডাবের পানি মোটামুটি মিষ্টি থাকে, কিন্তু ভেতরের যে শাঁস সেটা একেবারেই শক্ত থাকে নারিকেলের মতই।তাই নরম শ্বাস আর খাওয়া হয়না।
এবার আপনাদের সাথে একটি ইন্টারেস্টিং নিউজ শেয়ার করতে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম লন্ডন গ্রীন স্ট্রিটে একজন লোক বাংলাদেশি স্টাইলে ডাব বিক্রি করছেন।ছুরি দিয়ে ডাব কেটে কেটে সবাইকে দিচ্ছেন। এক একটি ডাবের মূল্য নিচ্ছে ৩ পাউন্ড করে যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৪২০ টাকার মত।সবাই বেশ মজা করে কিনে খাচ্ছে যা দেখতে বেশ ভালই লেগেছে।আর আরো ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটি হচ্ছে লোকটি কিন্তু বাংলাদেশী নয়, আফ্রিকান বা অন্য কোন দেশের হবে। কিন্তু সে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে ডাব বিক্রি করছেন। বাংলাদেশের সিলেটি ল্যাঙ্গুয়েজ সে ব্যবহার করছে যা সত্যি খুবই ভালো লেগেছে দেখতে।সিলেটি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে এদেশে বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রায় ৮০% লোক সিলেটি।আর বাকি ২০% অন্যান্য জেলার।আর গ্রীন স্ট্রিটে বেশিরভাগ লোকই বাঙালি। এখানে যতগুলো ব্যবসা আছে তার বেশিরভাগই বাংলাদেশীদের।এখানে সিলেটি ল্যাঙ্গুয়েজ বেশি চলে।আর ওই লোকটি তাদের কাছ থেকে সিলেটি ভাষা শিখে নিয়েছে।আর সেখান থেকে কিছু কিছু ইংলিশরাও বাংলা শিখে নিয়েছে। আর সে বাংলা হচ্ছে সিলেটি ভাষা।তারা মনে করে এটি আমাদের আসল ভাষা।আর ওই লোকটি দেখেছে বাঙালিরা ডাব খুব পছন্দ করে সে কারণে ঐ লোকটি এই ভাষাটিকে কাজে লাগিয়ে তার ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন।
ফটোটি ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত এখানে দেখে নিন
সময় করে একবার এই ভিডিওটি দেখে নিলে বুঝতে পারবেন কত সুন্দর করে লোকটি সিলেটি ভাষায় কথা বলে বলে ডাব বিক্রি করছেন।খুবই ইনজয় করেছি, শুধু আমি না, যারা যারা কিনতে এসেছেন তারাও খুব এনজয় করেছেন।কারণ লোকটি বাঙালি নয়, বাঙালি ছাড়া অন্য দেশের লোক যদি বাংলা ভাষায় কথা বলে তা সত্যি শুনতে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগে।আমার কাছে তার কথাগুলো খুবই ভালো লেগেছে।তার কথাগুলো ছিল এমন “ জলদি আও, জলদি আও। আপা, খায় তায় নি? কচি ডাব! "খুবই মজা পেয়েছি। এ কারণেই আপনাদের সাথে ওই ভিডিওর লিংকটি এখানে শেয়ার করে দিলাম।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আসলেই আপু ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। বিদেশে বসে দেশী পন্যের স্বাদই আলাদা।বাংলাদেশী না হয়েও বাংলায় কথা বলে, তাও আবার সিলেটি ভাষা।বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
সত্যিই এটা অনেক বড় পাওয়া বিদেশি ভাষায় কথা না বলে বাংলা ভাষায় ও সিলেটি ভাষায় কথা বলা। আমাদের বাড়িতে ও আপু নারিকেল গাছ আছে অনেকগুলো। একটি ডাবের মূল্যের কথা শুনে তো অবাক হয়ে গেলাম আপু এত দাম । বিদেশে থেকে দেশি পণ্যের স্বাদ পাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
সিলেটি ভাষায় ডাব বিক্রির ভিডিওটি আমিও দেখেছিলাম আপু। আপনি শেয়ার করেছিলেন। সত্যি বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিদেশীদের মুখে বাংলা ভাষা তাও আবার সিলেটি ভাষা শুনতে সত্যিই ভালো লেগেছে। ৪২০ টাকা করে একটি ডাব শুনে সত্যি অবাক হলাম আপু।
ওই ডাব বিক্রেতার কথাটা জেনে আমার কাছে কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে ব্যাপারটা। আমাদের বাসায় কথা বলে ডাব বিক্রি করতেছে বিষয়টা খুব দারুন ছিল। তবে সিলেটের বাসা একটু অন্যরকম। যাই হোক বাহিরের কান্ট্রির মানুষগুলো এভাবে বাংলায় কথা বললে কিন্তু বিষয়গুলো আসলেই সুন্দর লাগে। বুঝতে পারতেছি আশেপাশের লোকজনরা মজা করেই উনার থেকে ডাব নিয়ে ডাব খাচ্ছেন। বাঙালি আসলেই কিন্তু ডাব খেতে অনেক পছন্দ করে। তবে তুলনামূলকভাবে ডাবের মূল্য অনেক বেশি। ৪২০ টাকা কথাটা শুনে তো সত্যি অবাক লেগেছে।
জলদি জলদি নারকেল, ডাবের পানি খাও। কথাগুলো শুনে বেশ শান্তি লাগছিলো, ভিনদেশী কেউ বাংলায় বেঁচাকিনা করছে, নিজের ভাষা অন্যদের মুখে শুনে দারুণ শান্তি পেলাম। অনেক ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এদেশের ইংলিশরা যখন দুই একটা বাংলায় কথা বলে তখন আমার কাছে শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার মেয়েদের দুই তিন জন ফ্রেন্ড রয়েছে ওরা কিছু কিছু বাংলা শিখেছে আমার মেয়েদের কাছ থেকে।তারা আমার বাসায় এসে বাংলায় যখন কিছু কিছু বাক্য বলে তখন আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
আর অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভিডিওটি দেখার জন্য।
আপু আপনার কাছ থেকে আজকে বেশ ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় জানতে পেরে অনেক ভালো লাগতেছে। বাহিরের দেশের কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলে ডাব বিক্রি করতেছে বিষয়টা কিন্তু খুবই দারুণ লেগেছে। তবে ডাবের দাম তো দেখছি অনেক বেশি। ৪২০ টাকা ডাবের দাম, এটা তো বেশ অবাক করার মত বিষয় ছিল। ওনার কথাগুলো শুনে কিন্তু খুব ভালোই লেগেছে। সত্যি আলাদা রকম ভালো লাগতেছে এই বিষয়টা দেখে।
আসলেই বিদেশীদের মুখে বাংলা ভাষা শুনলে অনেক হাসি পায়। ইংল্যান্ডের প্রায় সব জায়গাতেই সিলেটি আর সিলেটি। যাইহোক ইংল্যান্ডের মতো দেশে এভাবে ডাব বিক্রি করছে, দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। ডাবের পাতলা শাঁস আমার খুবই পছন্দ। কয়েকদিন আগেই ডাবের পাতলা শাঁস খেয়েছিলাম। আপু আমাদের দেশেই তো ডাবের দাম ১০০-১৫০ টাকা। সেখানে তো ৪২০ টাকার মতো হবেই। যাইহোক ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
একজন বিদেশীর মুখে বাংলা ভাষা শুনে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি আপু ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো কখনো ভুলা যায় না। তবে নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ডাব খাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি ছিল বুঝতে পারছি আপু।ডাবে পাতলা শাঁস খেতে অসাধারণ লাগে।