ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েদেরকে পাঠালাম মসজিদের লেসনে

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_1288_Original.jpeg

প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষাগুলো বাচ্চারা তাদের পরিবার থেকেই শিখে।এরপর শিখে স্কুল থেকে।আর স্কুলে আলাদা একটি বই ই থাকে ধর্ম নিয়ে।সেখান থেকেই বাচ্চারা ধীরে ধীরে অনেক কিছু জানতে পারে ধর্ম সম্পর্কে, ধর্মীয় সামাজিক রীতি-নীতি সম্পর্কে।কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে এদেশে তো আর ধর্মীয় বুকগুলো পড়ানো হয় না।পরিবার থেকে পুরো ধর্মীয় জ্ঞান তারা অর্জন করতে পারে না।যেহেতু তারা মুসলিম, অবশ্যই তাদেরকে কোরআন শিখতে হবে।কয়েক বছর আগে বড় মেয়েকে মসজিদে দিয়েছিলাম কোরআন শিক্ষার জন্য।মোটামুটি সে এখন কোরআন পড়তে পারে।সপ্তাহে দুইদিন সে যেত মসজিদে, যে দুইদিন স্কুল বন্ধ থাকতো শনি ও রবিবার।কিন্তু ভালোভাবে শিখতে পারছিল না দেখে বাসায় একটি হুজুর রেখে দিলাম দু'জনকেই পড়ানোর জন্য।সপ্তাহে দুদিন পড়াতো।এদেশে কিন্তু বাসায় এসে পড়ালে তাদের খুব বেশি ডিমান্ড থাকে।সপ্তাহ হিসেবে তাদেরকে পেমেন্ট করতে হয় অর্থাৎ একদিনে ৬ পাউন্ড।যেহেতু সপ্তাহে দুদিন পড়াতো এ কারণে দিতে হতো ১২ পাউন্ড অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় সপ্তাহে ১৯০০ টাকার মতো দিতে হতো প্রতি সপ্তাহে।

কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে হুজুরের কাছে তারা ঠিকমতো শিখতে পারছিল না। হুজুরের পড়ানো সহী ছিল, কিন্তু তিনি সবকিছুর জ্ঞান তাদেরকে ভালোভাবে দিতে পারছিলেন না। মসজিদে যেমন ইসলামিক হিস্টোরি, বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক কুইজ সহ অনেক বিষয়ে বাচ্চাদেরকে শেখানো হয়। সেখানে অনেক বাচ্চারা থাকে, বাংলাদেশী, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, আফ্রিকান সব দেশের বাচ্চারই পড়তে আসে।এখানে তাদের সাথে মিশলে অনেক কিছুই তারা জানতে পারবে।বাসায় যে হুজুর পড়াতেন তিনি তাদেরকে কোন ইসলামিক হিস্টোরির কোন জ্ঞান দিতে পারতেন না, কারণ হুজুর ভালোভাবে ইংলিশ জানতেন না।আর বাচ্চারা বাংলা ভালোভাবে বোঝে না, আর মসজিদে ইংলিশে তাদের লেসন দিয়ে থাকে। সবকিছুই ইংলিশে হয়।তাই যেহেতু তারা ভালোভাবে ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করতে পারছে না তাই আবার নতুন করে মসজিদে পাঠিয়ে দিলাম।মোটকথা তারা সেখানে সুন্দর একটি পরিবেশ পাবে।আমার ছোট ভাসুরের দুই ছেলে। তাদের দুজনকে ছোটবেলায় মসজিদে ভর্তি করে দিয়েছিল।এখন বড় ছেলে কলেজে যাচ্ছে, কিন্তু তারপরও সে নিয়মিত মসজিদে এটেন্ড করছে।সহী করে কোরআন তেলওয়াত ও সে শিখে গিয়েছে, কিন্তু তারপরও সে মসজিদের যাওয়া বন্ধ করেনি।আসলে এ দেশ তো আর বাংলাদেশের মতো নয়, তাই মসজিদে এ ধরনের অ্যাক্টিভিটিস এর সাথে বাচ্চাদেরকে জড়িত রাখতে পারলেই অনেক উপকারে আসবে আমরা যারা গার্ডিয়ান রয়েছি তারা তা মনে করি।অবশ্যই এর একটি ভালো দিক রয়েছে, যেহেতু বাচ্চারা এখন বড় হচ্ছে।

যাইহোক বাচ্চারা এখন নিয়মিত মসজিদে যাচ্ছে, অনেক কিছুই তারা শিখতে পারছে এবং তাদের ভালোও লাগছে মসজিদে যেতে পেরে।আমি মনে করি এদেশের বাচ্চাদেরকে এভাবে মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত রাখা খুবই জরুরী। যেহেতু তাদের আর কোথাও ধর্মীয় লেসন নেওয়ার সুযোগ নেই।অনেক টেনশনে থাকি, কারণ এদেশের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সামাজিক রীতি নীতি পুরোই ব্যতিক্রম।স্কুলে অন্যান্য বাচ্চাদেরকে দেখে তারাও এসব বিষয়ে অনুপ্রাণিত হয়।তাই তাদেরকে ইসলামিক সঠিক জ্ঞান দেয়ার জন্য একমাত্র পথ ই হচ্ছে মসজিদ।যাইহোক অনেক কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম।বাচ্চাদের জন্য দোয়া করবেন আমি যেন তাদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারি।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 4 days ago 

আমি মনে করি এদেশের বাচ্চাদেরকে এভাবে মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত রাখা খুবই জরুরী।

আপনার চিন্তা ভাবনা আসলেই খুব ভালো। সেদেশের কালচার তো ভালো নয়। বাচ্চাদেরকে মসজিদে পাঠালে ইসলামিক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং সেদেশের কালচারের সাথে নিজেদেরকে জড়ানো থেকে বিরত থাকবে। তাছাড়া মসজিদে গেলে তো খুব ভালোভাবে কোরআন তেলাওয়াত শিখতে পারবে। সবমিলিয়ে মসজিদে পাঠিয়ে আসলেই খুব ভালো হয়েছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 4 days ago 

ঠিক বলেছেন আপু পরিবার থেকে বাচ্চাদেরকে ধর্মীয় জ্ঞান শেখানো হলেও পুরোপুরি শেখানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া মসজিদে গিয়ে শেখাই ভালো হবে। সেখানে কোরআনের পাশাপাশি অনেক বিষয় জানতে পারবে। যেহেতু বাসার হুজুর সবকিছু তাদেরকে পড়াতে পারছিল না। যাই হোক আশা করি বাচ্চারা খুব দ্রুতই অনেককিছু শিখে যাবে এরকম সুন্দর পরিবেশে গিয়ে।