ক্রিয়েটিভ রাইটিং -[পর্ব-১]~ আশিক তানহার বৃষ্টি ভেজা স্মৃতির গল্প।

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001

আজ ২৯ জুন ২০২৪ ইং: রোজ শনিবার।
বাংলায় ১৫ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমি ছোটকাল থেকে লিখালিখি করতে এবং পড়তে অনেক ভালোবাসি। আজ আমাদের এখানে সকাল থেকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে তাই ভাবলাম এই বৃষ্টির দিনে একটু লেখালেখি করি। সময়ের অভাবে এখন আর তেমন একটা লেখালেখির কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তবে মাঝেমধ্যে সময় পেলে লেখালেখির কাজে বসে যাই।আমি ঠিক জানিনা আমার লেখা ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনাদের কাছে কতটুকু ভালো লাগে তার পরেও আমি চেষ্টা করি ভালো করে লেখার। আশা করি আমার লেখা ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল কাজে ফিরে যাই।


couple-560783_1280.jpg
source


আশিক তানহার বৃষ্টি ভেজা স্মৃতির গল্প


তানহার জীবনের গল্পটা বর্ষার এক স্নিগ্ধ দিনে শুরু হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই বৃষ্টি তানহার মনে এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ সৃষ্টি করত। মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের ঝলকানি, আর বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দ যেন তার হৃদয়ের গভীরে ঢেউ তুলে যেত। সেই সব দিনগুলিতে তানহা তার ঘরের বারান্দায় বসে বৃষ্টির ঝরনার দিকে তাকিয়ে থাকত। বৃষ্টির ছন্দে তার মন যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠত।
তানহার গ্রামটা ছিল সবুজে ঘেরা। মাঠের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটি বর্ষার সময় ফুলে উঠত, নদীর জলে তানহার খেলার স্মৃতিগুলি আজও তার মনে টাটকা। তানহা যখন একটু বড় হল, তখন সে শহরে চলে আসল পড়াশুনার জন্য। কিন্তু শহরের ইট-কাঠের মাঝেও বৃষ্টি তার কাছে অমলিন রোমাঞ্চ বয়ে আনত। প্রতিটি বর্ষার দিনে, সে জানালার কাছে বসে থাকত, বাইরে তাকিয়ে ভাবত গ্রামের সেই দিনগুলির কথা।
কলেজের এক বৃষ্টিভেজা দিনে, তানহার পরিচয় হয়েছিল আশিক এর সাথে। আশিক ছিল তার ক্লাসমেট, কিন্তু আগে তেমন কোনো কথা হয়নি। সেই দিনটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। ক্লাস শেষে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তানহা ছাতা আনেনি। আশিক তাকে তার ছাতার নিচে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছিল। সেই প্রথমবার, তানহা আশিক গভীর চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝেছিল, জীবনের এই মেঘমুক্ত আকাশে নতুন রং ধরা দিতে যাচ্ছে।
দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল, তানহা আর আশিকের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে ভালোবাসায় পরিণত হচ্ছিল। বর্ষার দিনের মতোই তাদের ভালোবাসা ছিল সজীব, তাজা আর উজ্জ্বল। একদিন বৃষ্টি শুরু হল, আর আশিক তানহার হাতে তুলে দিল একটি ছোট্ট কাগজের নৌকা। নৌকাটির মধ্যে ছোট করে লেখা ছিল, "তোমার সাথে সারাজীবন কাটাতে চাই।" তানহার চোখে জল চলে আসল, বৃষ্টির জলের সাথে মিশে গেল তার আনন্দাশ্রু।
তানহার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে বৃষ্টি ছিল তার সঙ্গী। তাদের বিয়ের দিনও বৃষ্টি হয়েছিল। সেই বৃষ্টির মাঝে, তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল, যতই ঝড়-ঝঞ্ঝা আসুক, তারা একে অপরের পাশে থাকবে। আজও, তানহা আর আশিক বৃষ্টির দিনে একসাথে বসে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করে। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা তাদের ভালোবাসার সাক্ষী। তারা জানে, যতদিন বৃষ্টি থাকবে, ততদিন তাদের ভালোবাসার গল্পও চলতে থাকবে।


আশিক ও তানহার জীবনের গল্প বর্ষার দিনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে প্রেম ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জে বৃষ্টি সবসময় তাদের সঙ্গী ছিল। বর্ষার প্রতিটি ফোঁটা তাদের ভালোবাসাকে সজীব ও উজ্জ্বল করেছে। বৃষ্টির ছন্দে তাদের জীবন ও ভালোবাসার গল্প আবর্তিত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ঝড় পেরিয়ে তারা একে অপরের পাশে থেকেছে। বর্ষার মতোই তাদের ভালোবাসা ছিল সতেজ, গভীর এবং অমলিন।


পোস্টের বিষয়ক্রিয়েটিভ রাইটিং
পোস্টকারীতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর লেখার মধ্যে ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেবেন।


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

Banner.png

20230619_1852241.gif

Sort:  
 5 days ago (edited)

অনেক সুন্দর একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রাইটিংটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আশিক ও তানহার বৃষ্টিতে ভেজার কিছু মধুময় স্মৃতি আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

আমার লেখা ক্রিয়েটিভ রাইটিংটি আপনার কাছে অনেক ভালো লাগলো জেনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।