লাইফ স্টাইলঃ দীর্ঘ দুই মাস পর বাসা থেকে বাবার বাসায় যাওয়া।
👰❤️আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুরা............
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে। আপনারাও নিশ্চয়ই আপনাদের পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে অনেক ভালো আছেন। আপনারা যে যেখানে যে অবস্থায় আছেন সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের নতুন ব্লগ শুরু করছি। আমি সপ্তাহে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে থাকি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করব।আশা করি আমার লাইফস্টাইল পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার হাজবেন্ডের চাকরির সূত্রে আমি যেহেতু পাবনাতে বাসা নিয়ে থাকি তাই আপনাদের ভাই যখন ছুটি পাই তখনই আমরা গ্রামে যাই। আপনাদের ভাই বেশ কিছুদিন ধরে অফিসে ব্যস্ততার কারণে ছুটি পাচ্ছে না। তাই আমার ছোট ভাই ও ভাইপো আমাকে নিতে চলে আসলো আমার বাসায়। যেহেতু আমিও একটু অসুস্থ ছিলাম তাই আমার রেস্টুরেন্ট প্রয়োজন ছিল।আর সেজন্য আমিও ভাবলাম বেশ কিছুদিন বাবার বাসায় গিয়ে থেকে আসি।আমার ভাই ও ভাইপো এসে দুদিন থাকার পর যেহেতু তাদের স্কুল আছে তাই আর বেশি দেরি করলাম না। এরপর আমি আমার বাবার বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম।
দীর্ঘ দুই মাস পর ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চলে যাচ্ছি বাবার বাসায়। আমি যে কতটা আনন্দিত ছিলাম সেটা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। অনেকদিন পর আব্বু আম্মু ও ফ্যামিলির প্রত্যেকটা সদস্যকে সামনাসামনি দেখবো এটা ভেবেই আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। আমি যতটা আনন্দিত ছিলাম ঠিক ততটাই আমার ছেলে আইয়ান বাবু ও আনন্দ করছিলো যে সে তার নানুর বাসায় যাচ্ছে।যেহেতু আমার বাবার বাসার আমার বাসা থেকে অনেক দূরে সেহেতু আমাকে অনেক সকাল সকাল বের হতে হবে।আমি প্রথমে পাবনা থেকে সকাল ৭ টার গাড়িতে ৩ টা টিকিট করি কুষ্টিয়া পর্যন্ত।এরপর আমার বাসার সামনে থেকে সকাল ৭ টায় আমরা গাড়িতে উঠে পড়ি। এরপর আমরা গাড়ির ভিতোর থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখতে পাই। সুন্দর স্থানগুলো দেখে অনেক ভালো লাগছিল।
যেহেতু অনেক লং জার্নি সেজন্য আমি আগে থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে নিয়েছিলাম।এরপর আমরা বাসের মধ্যে সেই খাবারগুলো খায় এবং আমার ছেলে ও ভাইপোকে অনেক টুকরো খাবার কিনে দিই ওরা সেগুলো খায়।এরপর আমাদের পাবনা থেকে কুষ্টিয়া যেতে হলে পারোমানিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও লালন শাহ সেতু পার হয়ে কুষ্টিয়াতে যেতে হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং সেখানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, দূর থেকে এসব দৃশ্য গুলো দেখতে কার না ভালো লাগে বলুন।পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে সুন্দর একটি নদীটি বয়ে গেছে এজন্য দেখতে আরো খুবই চমৎকার লাগবে। নদীতে ছোট বড় অনেক নৌকা দেখা যায় সাথে বালুর চড়ও দেখা যায় মাঝে মাঝে। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। এরপর আমরা ১০:৪১ মিনিটে কুষ্টিয়া টার্মিনালে পৌঁছে যাই। তারপর আমাদের যাবতীয় যে জিনিসগুলো ছিল সেগুলা আমরা গাড়ির হেলপার এর কাছ থেকে বুঝে নিয়ে গড়াই ও রুপসা গাড়ির কাছে চলে যায়।
এরপর টার্মিনালে খুব সুন্দর একটি ঝাও ফুল গাছ ছিল এবং গাছে অনেক ফুল ফুটেছিলো।ফুল গুলো দেখতে খুবই দারুন লাগছিল সেজন্য আমি কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করতে গিয়েছিলাম। এরপর আমি গড়াই গাড়ির ৩ টা টিকিট করি কালীগঞ্জের।এরপর বাচ্চাদের জন্য কিছু খাবার নিই এবং তারপর গাড়িতে উঠে যায়। এরপর গাড়ীর ভিতর খাবার খায় এবং গল্প করতে করতে ২ ঘন্টা সময় অতিবাহিত করে ফেলি।এরপর আমি কালীগঞ্জে পৌঁছে যায় আমার প্রিয় শহরে। আমার প্রিয় শহরে পৌঁছে গেলে কি যে আনন্দ লাগছিলো। কালীগঞ্জ বাজার থেকে আমার বাসা ৩ কিলোমিটার দূরে তাই আমি একটা রিকশা নিয়ে বাবুদেরকে নিয়ে বাসার দিকে যায় এবং আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আমি আমার বাসায় পৌঁছে যাই। যেহেতু আমার বাবার বাসা একদম মেনরোড এর সাথে তাই আমাদের রিকশা থেকে নামা দেখে পরিবারের সবাই দৌড়ে আসে।সবশেষে শেষ পর্যন্ত নিজের বাসায় পৌঁছে গেলাম। আমি পরিবারের সকল সদস্যকে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। আমার আম্মুতো আমাকে বুকে জড়িয়ে নেয় তখন আমার মনে হলো আমি শান্তির একটা স্থান খুঁজে পেয়েছি।
পোস্টের বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
প্রিয় মানুষ গুলোর কাছে ফিরতে পারার অনুভূতি গুলো ভাষায় বর্ণনা করে বোঝানো যায় না। আমরা যারা বাইরে থাকিও তারা এটা আরো ভাল করে বুঝতে পারি।
ধন্যবাদ আপনার সফরের বর্ণনা সুন্দর ভাবে কিছু ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্যে।
সময়গুলো সুন্দর ভাবে কাটুক আপনার বাবার বাড়িতে!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেকদিন বাবার বাড়ি যান না দেখে আপনার ভাই এবং ভাইপো নিতে এসেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে একা একা এত দূরের জার্নি করা বেশ কষ্টকর। অনেক দূরে জার্নি করেছেন বোঝা যাচ্ছে। তারপর আবার বাস পরিবর্তন করতে হয়। যাই হোক সুস্থ মতো নিজের শহরে পৌঁছে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি বাবার বাড়িতে এখন রেস্ট নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরতে পারবেন।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন অনেক লং জার্নি তারপরও বাস পরিবর্তন করতে হয়, বাবু নিয়ে সত্যি অনেক কষ্ট হয় তারপরেও কি আর করার। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর বাবার বাসায় আসতেছেন এবং সেই সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে দীর্ঘদিন পর মায়ের কোলে ফিরে আসলে অন্যরকম ভালোলাগা ও প্রশান্তি মনের মধ্যে জাগ্রত হয়। আরে আনন্দের কথা মুখে বলে প্রকাশ করা যায় না। খুবই ভালো লাগলো ভালো ভালো উপস্থিত হতে পেরেছেন দেখে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপু আপনার পোষ্টের এই বানানটিতে আমার মনে হচ্ছে রেস্ট হবে। যাইহোক আপু বাবার বাড়িতে যাওয়ার আনন্দ সত্যি অনেক বেশি। আর যদি প্রিয় মানুষগুলো নিতে আসে তাহলে তো আরো ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার অনুভূতি জেনে। আশা করছি অনেক ভালো সময় কাটাচ্ছেন।
জি আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ওটা রেস্ট হবে। ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।পরিবারের সাথে সত্যি অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছি।
বাড়ি ফেরার আনন্দ খুবই বেশি। আর মেয়েরা বাবার বাড়িতে যেতে অনেক পছন্দ করে। আপু আপনার অনুভূতির কথা জেনে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করছি সময়টা দারুন কাটবে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার লাইফস্টাইল পোস্ট পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।