গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মাছ ধরা দেখার আনন্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতিবার গ্রামের বাড়িতে যখন যাই তখন পুকুর থেকে মাছ তোলা হয়। আমাদের শ্বশুরবাড়িতে বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে। আমাদের একটি আলাদা পুকুর রয়েছে। সেখানে অবশ্য তেমন বেশি মাছ নেই। বাড়িতে সব থেকে যেই বড় পুকুর সেই পুকুরটি আবার সবার ভাগের। আমরা এবং চাচা শ্বশুরা যখন যাই তখন ওই পুকুর থেকে মাছ তোলা হয়। যেহেতু এবার শীতকাল ছিল তাই ভাবছিলাম যে শীতকালে মাছ তোলা হবে না হয়তো। কিন্তু পরের দিন সকাল বেলায় দেখলাম যে মাছ তোলার জন্য লোক চলে এসেছে। এই পদ্ধতিতে মাছ তোলা দেখতে খুবই ভালো লাগে। পুকুরের এক সাইডে জাল ফেলে এটা টানতে টানতে অন্য সাইডে নিয়ে যায়। এতে প্রায় সব মাছ ধরা পড়ে। ছোট ছোট কিছু মাছ বের হয়ে গেলেও বড় মাছগুলো আটকে যায় জালে। তাছাড়া এই মাছ ধরার সময় বাড়ির সবাই এসে পুকুর পাড়ে হাজির হয় মাছ ধরা দেখার জন্য। বিশেষ করে বাচ্চারা খুব মজা পায়। কারণ ওরা তো কখনো এরকম দেখেনা। গ্রামের বাড়িতে গেলেই শুধু দেখা হয়।
জেলেরা সকাল সকালে চলে আসে। আমরা ঘুম থেকে উঠেই দেখি যে জেলেরা এসে হাজির। তাড়াতাড়ি করে নাস্তা করে চলে গেলাম পুকুর পাড়ে। তখন দেখলাম যে মাত্র জাল ফেলেছে। এক পাশ থেকে অপর পাশে টেনে আনতে অনেক সময় লাগে। জাল টানোর সময় কিছু হাঁস আটকা পড়ে গিয়েছিল। আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম হাঁসগুলো জালের মধ্যে না আটকে যায়। পরে কাছাকাছি আসার পর দেখলাম হাঁস গুলো পার হয়ে গেল জাল দিয়ে। প্রতিবার বাড়ির ছেলেরাও এই জেলেদের সঙ্গে নেমে যায় মাছ ধরার জন্য। এবার শীতকাল হওয়ার কারণে আর কেউ নামেনি পুকুরে।
অনেক বড় পুকুর হওয়ার কারণে এই পুকুরে অনেক মাছ থাকে। পুকুরে মাছ ছাড়তে হয় না। এমনিতেই মাছগুলো হয়। তাছাড়া খাবার দাবারও খুব একটা দেয়া লাগে না। অনেক মাছ উঠেছিল। ছোট ছোট যে মাছগুলো ছিল সেগুলো পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর বড় মাছ গুলো সব তুলা হয়েছে। অনেক ধরণের মাছ ছিল এখানে। শুরুতেই বড় মাছগুলো আমাদের এবং চাচাদের দিয়ে দেয়। কারণ আমরা তো আর বাড়ির এই মাছ সবসময় খেতে পারি না। তারপর যেই মাছগুলো থাকে সেগুলো বাড়ির মধ্যে ভাগ করা হয়। যদিও আমি এই মাছ নিয়ে আসিনি। আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না এই মাছ খেতে। বাড়িতেই যখন ধরা হয়েছিল তখন টাটকা অবস্থায় ভেজে খেয়েছিলাম। বাসায় নিয়ে আসলে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। এজন্য অনেক জোরাজোরি করার পরেও আমি মাছ নিয়ে আসিনি। তাছাড়া মাছ নিয়ে আসাও ঝামেলা। কিন্তু মাছ ধরা দেখতে খুব ভালো লাগে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালই মাছ পড়েছে তো আপু। পুকুরের মাছের স্বাদই আলাদা। আমাদের বাড়িতেও আগে এইভাবে পুকুরে মাছ ধরা হত। এখন লোকের অভাব। একটা কথা ঠিকই বলছেন। পুকুরে সব সময় মাছ ছাড়তে হয় না। এমনিই অনেক মাছ হয়। শহরে থেকে এই আনন্দগুলো আমারও মিস হয়ে যায় আপনার মতোই ।
বাহ এত সুন্দর সুন্দর এতগুলো মাছ সবগুলো একা একা খাবেন নাকি আপু। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আমরা যারা শহরে থাকি তারা এই সুন্দর দৃশ্যগুলি থেকে বঞ্চিত বিশেষ করে আমার কখনো জেলেরা পুকুরে মাছ ধরছে দেখা হয়নি। তাই আপনাদের পোস্টগুলোর মাধ্যমে দেখতে অনেক ভালো লাগে।
গ্রামীণ অনেক কার্যকলাপের সুন্দর দৃশ্যের মধ্যে মাছ ধরার দৃশ্যটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক একটা ব্যাপার।অনেক মাছ ধরেছে দেখছি। মাছ ধরা দেখতে আমার অনেক ভালো লগে। আমাদের বাড়ির সাথে একটা বড় পুকুর আছে সেখানে যখন মাছ ধরতে আসে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।