ছেলের জন্য সাইকেল কেনা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছেলে বাচ্চা একটু বড় হলেই সাইকেলের প্রতি তাদের একটা আকর্ষণ তৈরি হয়। আমার বড় ছেলেও বেশ কিছুদিন ধরে সাইকেল কিনতে চাচ্ছিলো। অবশ্য আমরা কিনে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। তার ফ্রেন্ডরা বিকেলবেলায় নিচ দিয়ে সাইকেল চালায়। এজন্য তাকেও বারবার বলছিলো কেনার জন্য। তাই এখন সাইকেল কেনার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছে। যদিও ওর একটি সাইকেল আছে কিন্তু সাইকেলটি ছোট হয়ে গিয়েছে। তাই মনে হল যে বড় একটি সাইকেল কেনার দরকার। ছোট সাইকেলটি নিচে অনেক দিন ধরে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সার্ভিসিং না করলে ঠিক হবে না। যদিও ওর বাবা সার্ভিসিং করতে রাজি না। বড় ছেলের সাইকেল দেখলে ছোট জনও অস্থির হয়ে যাবে। কিন্তু ওর বাবা চাচ্ছিলো ছোটজনকেও আরেকটি সাইকেল কিনে দিতে। আমার হাসবেন্ডের কোন কিছু দোকানে নিয়ে সারানোর থেকে নতুন একটা কিনতে বেশি সহজ লাগে। এজন্য কোন জিনিস নষ্ট হলে সহজে সারানো হয় না। তাই ভাবলাম যে আগে বড়জনের সাইকেলটা কিনে দিই তারপরে ছোটজনেরটা দেখা যাবে। তাই সাইকেলের দোকানে গিয়েছিলাম কেনার জন্য।
বসুন্ধরায আবাসিকে থাকার কিছু সুবিধা আছে, আবার বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে কোন কিছু কিনতে চাইলে সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। তখন গেটের বাইরে যেতে হয় খোঁজার জন্য। গেটের বাইরেও আবার রিক্সা শেষ পর্যন্ত যায় না। এর জন্য অনেক ভোগান্তি হয়। তাই সাইকেলের দোকানে যাওয়ার পর বেশ কিছু সাইকেল দেখে পছন্দ হলেও কিনে আনতে পারিনি। কারণ রিক্সায় করে সাইকেল নিতে গেলে অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে যেতে হবে। এজন্য আগের দিন পছন্দ করে রেখে চলে এসেছিলাম।
দুইদিন পর আবারো ওর বাবা গিয়েছিল সাইকেল কেনার জন্য। সেই দিন আমি আর ছোট ছেলে যায়নি। ওর বাবা শুরুতে ওই দোকানে না গিয়ে অন্য একটি দোকানে গিয়েছিলো। সেম সাইকেল ওই দোকানে এক হাজার টাকা কমে দিচ্ছিলো। তাই পরের দোকান থেকেই সাইকেলটি কিনেছিলাম এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি যে ছোট সাইকেলটি তারা সার্ভিসিং করে দিবে। ছোট সাইকেলের সাথে ওর বাবারও একটি সাইকেল রয়েছে। সেটিও সার্ভিসিং করাতে হবে। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার ঝামেলায় এখনো চিন্তা করছি।
এই সাইকেলটি কিনেছে। এর দাম পড়েছে ১১ হাজার টাকা। সাইকেলটি কেনার পর বড় ছেলেকে রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে ওর বাবা সাইকেল চালিয়ে এসেছে। তা না হলে সাইকেল আনা সম্ভব হচ্ছিলো না। যদিও সাইকেল কেনা হয়েছে কিন্তু এখনও বড় ছেলে চালাতে পারেনা। তাকে আগে চালাতে শেখাতে হবে। তারপরে সে বন্ধুদের সঙ্গে বের হতে পারবে। দেখা যাক কতদিনে চালানো শিখে। দোয়া করবেন সবাই।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে প্রত্যেকটা ছেলেরই কিছুটা বড় হওয়ার পরে সাইকেলের প্রতি অনেক বেশি আকর্ষণ চলে আসে। একটু বড় হলেই সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য তারা জেদ ধরে। আপনার বড় ছেলের জন্য এখন নতুন একটা সাইকেল কিনেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সে যদি প্রতিনিয়ত সাইকেল চালানো শেখার জন্য চেষ্টা করে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি শিখে যেতে পারবে। অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু তার জন্য। দোয়া করি যেন তারা অনেক বড় হয়।
আগ্রহ কমে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত চালানোর জন্য তেমন একটা বায়না করে নাই। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমারও একটা কেনা লাগবে খুব দ্রুত, ডাক্তার বলছেন প্রতিদিন এক ঘন্টা সাইকেলিং অথবা ফুটবল খেলতে দিতে হবে।
বাসায় আসেন।হাসবেন্ড এর একটা পরে আছে। চুপি চুপি আপনাকে দিয়ে দেই।
ধুর, পার্সেল করে দেয়ার কথা বললেও তো খুশি হতাম।
সাইকেল সারাতেই নিয়ে যায় না আর পার্সেল।
ভাইয়ার আইডিয়াটা কিন্তু ঠিকই আছে আপু। কোন কিছু ঠিক করার যে ঝামেলা তার চেয়ে নতুন কেনাই ভালো হয়েছে। ভাইয়া সাইকেল চালিয়ে এসেছেন বিষয়টা সত্যি ভালো লাগলো আপু। না হলে সাইকেলটা আনতে গেলে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো। দোয়া করি আপনার ছেলে যেন দ্রুতই সাইকেল চালানো শিখে যায়।
বসুন্ধরা আবাসিক থেকে কোন কিছু সারাতে গেলে বহুত ঝামেলা পোহাতে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছেলে বাচ্চা একটু বড় হলেই সাইকেল কেনার আবদার করে। আপনি আপনার ছেলের আবদারে অবশেষে খুবই সুন্দর একটি সাইকেল কিনে দিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। ছোট বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে পারলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। তবে, সব সময় সাবধানতার সাথে চালাতে বলবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চারা একটু বড় হলে সাইকেলের আবদার করে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে সাইকেল বিষয়টাই এরকম আপু। ছেলেরা একটু বড় হওয়ার পরপরই সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে থেকে। যেমন আমিও ছোটবেলায় এরকম বায়না ধরতাম। অনেক বেশি ভালো লাগতো সবার সাথে একসাথে সাইকেল চালাতে। কিন্তু বাইক নেওয়ার পর থেকে সাইকেলের বিষয়টা একেবারে ভুলেই গিয়েছি। এখন সাইকেল এক্স হয়ে গিয়েছে 😁। যাই হোক আপনার ছেলের জন্য অনেক সুন্দর একটা সাইকেল কিনেছেন। দেখতে তো বেশ ভালোই লাগতেছে। আশা করছি সাইকেল চালানো সম্পূর্ণভাবে শিখে গেলে সে অনেক আনন্দের সাথে সাইকেল চালাতে পারবে।
এক্স এর প্রতি কিন্তু একটা টান থেকেই যায়। আপনারও কি রয়ে গিয়েছে নাকি? যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ সাইকেলটা তো বেশ চমৎকার হয়েছে। ছেলে বাচ্চাদের এই এক সমস্যা একটু বড় হলেই সাইকেল কেনার বায়না ধরে। অবশ্য এখন মেয়েরাও কিনতে চায় তবে খুব সাবধানে চালাতে হবে ।যেহেতু এখনো শিখেনি সেহেতু শেখানোর ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ,নয়তো পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবে।ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু এখন মেয়ে বাচ্চারাও সাইকেল চালায়। দেখতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।