জিন্দা পার্কে ঘুরাঘুরি শেষ পর্ব
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম জিন্দাপার্কে ঘুরাঘুরি। বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে তৈরি এর জন্য একদিনে পুরো জায়গার ঘোরাঘুরি শেয়ার করে শেষ করতে পারিনি। আমরা নামাজ পড়া শেষ করে সামনের দিকে আগাতে থাকলাম। যতই ভিতর দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনে হচ্ছে যে গভীর জঙ্গলে যাচ্ছি। এত গাছপালা চারপাশে। একেবারে নিরিবিলি পরিবেশ পাখির ডাক শোনা যাচ্ছিলো। প্রথমে গাড়ি থেকে নামার পর জিন্দা পার্ক দেখে যতটা হতাশ হয়ে ছিলাম ভিতরে যতই যাচ্ছিলাম ততই এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। একেবারে সাজানো গোছানো একটি জায়গা। এত গাছ-গাছালি কিন্তু কোথাও একটা গাছের পাতা পড়ে নেই। একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা সব জায়গায়।
কিছুটা ভিতরে যাওয়ার পরে এরকম আরেকটি গেট করা। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর সুন্দর লেখা রয়েছে। কোরআন থেকে নেওয়া সেগুলো। তাছাড়া এমনি শিক্ষণীয় লেখাও ছিল বিভিন্ন গাছে। পরের গেট দিয়ে ঢোকার আগে নিচের সাইডে দেখলাম এরকম একটি দোকান। দোকান দেখেইতো বাচ্চারা অস্থির হয়ে গেল যাওয়ার জন্য। পরে সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম যে আড়ংয়ের বিভিন্ন জিনিসপত্র এখানে পাওয়া যাচ্ছে এবং তুলনামূলক ভাবে দাম অনেক কম। তারা বলল যে আড়ং থেকে নাকি তাদের এখান থেকে জিনিস সাপ্লাই হয়। সত্যি কিনা জানিনা। এখান থেকে আমি দুটি চামচ নিলাম এবং বাচ্চারা একটি শোপিস কিনলো।
কিছুটা ভিতরে যাওয়ার পর একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। অনেক বড় একটি রেস্টুরেন্ট। এখানে খাবার নাকি খুবই মজা পরে জানতে পারলাম। আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে গিয়েছিলাম তাই আর এখানে খাওয়া হলো না। যেহেতু রেস্টুরেন্টে ঢুকেই পড়েছি তাই আমরা দই খেলাম এবং বাচ্চারা কোল্ড্রিংস খেলো। এর পরের বার গেলে এখান থেকে দুপুরের খাবার খাওয়া যাবে।
আরো ভিতরে যাওয়ার পর আমাদের জন্য আরও বেশি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল। বিশাল বড় একটি পুকুর তার সাইডে এরকম দোলনা করা ছিল। আমরা ছুটির দিনে যায়নি তার জন্য অনেক ফাঁকা ছিল। তাই এই দোলনাটি ফাঁকা পেয়েছিলাম। অনেকক্ষণ বসে দোলনায় দোল খেলাম পুকুরপাড়ে বসে। ছুটির দিনে গেলে নাকি এই দোলনায় বসার সুযোগ পাওয়া যায় না। এত বেশি ভিড় থাকে। তাছাড়া পুকুরের মাঝখানে ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো তৈরি করা। ড্রাম দিয়ে তৈরি বাঁশের ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে হয়। কিছুটা ভয় লাগে যাওয়ার সময়। কারণ ড্রামগুলো খুব নড়াচড়া করে। তারপরও ভয়ে ভয়ে গিয়েছিলাম। সেখানেও খুব সুন্দর বসার জায়গা ছিল।
দ্বীপ থেকে বের হয়ে পুকুরের অন্য সাইডে গেলাম। সেখানে এরকম চমৎকার লম্বা লম্বা গাছের সারি ছিল। তাছাড়া একটি ট্রি হাউজ তৈরি করা। ট্রি হাউস দেখে বড় ছেলে ওঠার জন্য খুবই অস্থির হয়ে গিয়েছিলো। বেশ খানিকটা উঠেছিল। আমিও তার সাথে সাথে উঠলাম। কিন্তু মাঝে গিয়ে দেখলাম যে সেটা কিছুটা ভাঙ্গা। এর জন্য আর ওঠার সাহস পেলাম না। নিচে ছোট ছেলেও আমাদের ওঠা দেখে সে ও ওঠার চেষ্টা করছিল।
অনেক সুন্দর একটি দিন কেটেছিল আমাদের এত সুন্দর একটি জায়গায় গিয়ে। কেউ যদি এদিকে আসেন তাহলে অবশ্যই জিন্দা পার্ক থেকে একবার ঘুরে আসবেন। আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | I phone 15 Pro max |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনারা তো জিন্দা পার্কের বেশ দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। তবে পার্টি বেশিরভাগ নিয়ে প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে তৈরি। মানে বেশিরভাগ জায়গায় সুন্দর সুন্দর গাছপালা। তাছাড়াও মাঝে মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য জিনিস রয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু এখানে আর্টিফিশিয়াল কোন কিছু নেই। সব প্রাকৃতিক জিনিস। যার কারণে বেশি ভালো লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পোস্টে আপনি জিন্দা পার্কে ঘুরাঘুরি করার শেষ পর্ব অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই পার্কের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। অনেক সুন্দর একটা ট্রি হাউজ দেখলাম। খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ওখানে। এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে।
সময় সুযোগ হলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপু। খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগলো আপু জিন্দা পার্কে ঘুরাঘুরি করার শেষ পর্বটা পড়তে পেরে। নামাজ পড়ার পরে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। অনেক সুন্দর একটা পার্ক এটা। এই পার্কের পরিবেশ খুবই সুন্দর। এরকম পার্কে মাঝেমধ্যে গেলে অনেক ভালো সময় কাটানো যায়। আসলে ছোট বাচ্চারা এরকম ট্রি হাউজ গুলো দেখলে অনেক আনন্দিত হয়। পুরো মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লেগেছে।
আমার কাছেও পার্কের পরিবেশ অসম্ভব ভালো লেগেছে। ছুটির দিন না হওয়ার কারণে আরো বেশি করে নিরিবিলি পেয়েছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
জিন্দা পার্ক বেশ সুন্দর জায়গা তো৷ প্রকৃতির সাথে বেশ কিছুক্ষণ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। কত সুন্দর পুকুর এবং তার পাশে দোলনা করা। প্রকৃতি যেন ঢেলে সাজিয়েছে পার্কটিকে। ভীষণ সুন্দর লাগলো এই জিন্দা পার্ক আপনার পোস্টে দেখে। এমন সুন্দর প্রকৃতির মাঝখানে কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রকৃতির সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রতিদিন একবার Dexscreener-এ ঢুকে 🚀 বাটনে একটি করে ক্লিক:
https://dexscreener.com/tron/th95pufvckttytg6drlsyghwanx24feejb
প্রতিদিন ক্লিক করি। কিন্তু ওটা এখানে এড করি নি। ওটাও কি এড করতে হবে?
জ্বি আপু,এড করতে হবে।
ওকে
পার্কের নামটি শুনে প্রথমত আমার একটু কেমন জানি লেগেছে। তবে এত সুন্দর পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগলো।এমন প্রকৃতি ঘেরা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে পারলে মন ভালো হয়ে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জিন্দা পার্কে।আর সেই মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এরকম প্রকৃতি ঘেরা তার জন্যই নাম হয়তো জিন্দা পার্ক রেখেছে। যাই হোক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার এই পার্কে ভ্রমণের আরো কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছিলাম৷ আজকে এর শেষ পর্ব দেখেও খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের এই শেষ পর্বের মধ্যে সবকিছু খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা বেশ অসাধারণ হয়েছে৷ একই সাথে এখানে আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন এবং বর্ণনাও খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন৷
সুন্দরভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা করেছি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।