বাবার বাড়ির সময় যেনো দ্রুত চলে যায়
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাবার বাড়িতে গেলে কেন যেন সময় খুব দ্রুত চলে যায়। যাওয়ার আগে খুব আনন্দ নিয়ে গিয়েছিলাম যে অনেক দিন থাকবো। কিন্তু যাওয়ার সাথে সাথেই মনে হল যে সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন ফেরার সময়। বাচ্চাদের স্কুল যদিও দুই তারিখ পর্যন্ত বন্ধ আছে, কিন্তু সরকারিভাবে স্কুল খুলে দিয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম যে স্কুল হয়তো খুলে দিবে। পরে দেখলাম যে স্কুল বন্ধই আছে। কিন্তু বড় ছেলের শুক্রবারে একটি এক্সট্রা ক্লাস থাকে। সেজন্য বৃহস্পতিবারই চলে আসতে হলো। যদিও তৌহিদা আপু আর আমি একসাথে গিয়েছিলাম। কিন্তু ও আসেনি। ও পরে আসবে। তাই আমরা একাই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। বাস কাউন্টারে গিয়ে লোকজনের সমাগম দেখেই বুঝতে পেরেছি আজকে রাস্তায় খুব জ্যাম হবে। যদিও আগেই টিকিট কাটা ছিলো।
কিছুদূর যাওয়ার পর বাস থেমে গেলো একটা প্যাসেঞ্জারের জন্য। কিন্তু সেই প্যাসেঞ্জার তখনও বাসা থেকে রওনা দেয়নি। রাস্তার সাইডেই তার বাসা। বাসের লোকজন সবাই চিল্লাচিল্লি করছিল যে পাসেঞ্জারের জন্য কেন দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। সে কেন আগে থেকে দাড়িয়ে থাকেনি। আমারও তাই মনে হল। কোন বাসকে কখনো কোন প্যাসেঞ্জারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখিনি। মনে হল এই লোকটা হয়তো কিছুটা প্রভাবশালী। তার জন্য এরকম স্পেশাল ব্যবস্থা। ওই লোক দেরি করে আসার কারণে তার মধ্যে কোন অনুশোচনাও নেই। এসে উল্টো আরো দেখলাম যে বাসের হেলপারদের সঙ্গে রাগারাগি করছে। এসব লোকজনকে আসলে কিছু বলে লাভ নেই।
তারপর থেকে পদ্মা সেতু পার হওয়া পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই এসেছিলাম চারপাশের আবহাওয়া খুব সুন্দর উপভোগ করতে করতে। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ঢাকায় ঢোকার পর থেকে। এত পরিমানে জ্যাম ছিলো যে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে আজকে এখান থেকে বাসায় যেতে অনেক সময় লেগে যাবে। তাছাড়া আমাদের বাসের ড্রাইভার খুব আস্তে গাড়ি চালিয়েছে অন্যান্য গাড়ির তুলনায়। যেখানে সায়েদাবাদ পর্যন্ত আসতে দুই ঘন্টা সময় লাগে সেখানে ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে সায়েদাবাদ পর্যন্ত আসতে।
ঢাকায় ঢোকার পর মনে হচ্ছিলো যে গাড়ি চলছেই না এত পরিমাণে জ্যাম। অবশ্য আমারই ভুল হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকালে টিকিট কাটার জন্য। কারণ বৃহস্পতিবারে ঢাকায় প্রচুর জ্যাম থাকে। সবাই ছুটিতে বাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য। ধীরে ধীরে গাড়ি যাচ্ছিলো। ততক্ষণে রাত হয়ে গিয়েছে। ভাগ্য ভালো বাচ্চারা খুব একটা বিরক্ত করেনি। আমার নিজেরই সবকিছুতেই বিরক্ত লাগছিল এত জ্যাম দেখে।
নিচের ছবিটি ওভারব্রিজ থেকে খিলগাঁও বাজারের ছবি তুলেছিলাম। উপর থেকে দেখতে বেশ ভালোই লেগেছিল।
সায়েদাবাদ থেকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে আসতে আসতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লেগেছিল। সেখানে আগে থেকে আমার হাসবেন্ড গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলো। বাস থেকে নেমে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ফরিদপুরের বাসা থেকে আমাদের বাসায় আসতে প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা সময় লেগে গেলো। যেখানে ৩ সাড়ে ৩ ঘন্টায় চলে আসা যায়। খুবই বিরক্তিকর একটি জার্নি শেষ করে অবশেষে বাসায় সুস্থ মতো পৌঁছাতে পেরেছি তাই অনেক।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাবার বাসায় যাওয়ার আগ মূহুর্তটাই আমার কাছে বেশী আনন্দের।কিন্তু যাওয়ার পর আনন্দটা মাটি হয়ে যায় ফিরে যাওয়ার কথা ভাবলে। আর সময় গুলো যেনো খুব দ্রুতই কেটে যায়। আপনি ফিরে এলেন বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার আর রবিবার ঢাকায় ভীষণ জ্যাম থাকে এটা ভুলে গেলে চলবে না।অনেক জ্যাম ঢেলে ঢুলে বাসায় আসতে পেরেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।।
ঠিক বলেছেন আপু ফিরে আসার সময় কেমন কষ্ট লাগে তা বলে বোঝানো যায় না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু বাবার বাড়িতে গেলে সময় এমনিতে যেন দ্রুত যাই এটি অনেকের কাছে লাগে। তবে ইচ্ছে করলে আপু আরো কিছুদিন বাবার বাড়িতে থাকতে পারতেন। কারণ আপনার বাচ্চাদের দুই তারিখ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ছিল। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে রাস্তার পাশে এসে যাত্রীর জন্য গাড়ি অপেক্ষা করতেছে। তবে এটি ঠিক বলেছেন হয়তোবা কোন প্রভাবশালী লোক হবে নয়তো বা কোন ভিন্ন ধরনের লোক হবে। আর এইসব লোকদের কথা বড় বড় হয়। যাইহোক অনেক জার্নি করে লাস্ট পর্যন্ত বাসায় এসে পৌঁছেছেন এটিই বড় কথা। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বড় ছেলের একটি এক্সট্রা ক্লাস ছিল সেই ক্লাসটি মিস দিলে পরে আবার ঝামেলা হয়ে যায়। এজন্যই তাড়াহুড়া করে চলে এসেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই হলো বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র। একজন মানুষের জন্য ত্রিশ চল্লিশজন মানুষের সময় নষ্ট। সে কি এমন হয়ে গেছে যে, তার জন্য গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে হবে। গাড়ি এসে দাড়িয়ে থাকে,তিনি এখনো রেডি হয়নি। সেই নবাবকে বলতেন পার্সোনাল গাড়ি দিয়ে যাতায়ত করতে। যায়হোক বাঙালি কোন দিন মানুষ হবে না। আপু লেখা গুলো একটু text-justify করে নিলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
সবাই সে কথাই বলছিল যে এভাবে চলাফেরা করলে পার্সোনাল গাড়ি নিয়ে চলা উচিত। তাতে ওই লোকের কিছুই যায় আসে না। সে পাত্তাই দিল না। তাই লোকজন আর কথা বাড়ায় নি।
সত্যি আনন্দের সময় গুলো অতি দ্রুত চলে যায়। মনে হয় এইতো সেদিন এলেন সবাই মিলে কত সুন্দর সময় কাটালাম ।আর যাবার সময় হয়ে গেল ।যাইহোক কোন প্যাসেঞ্জারের জন্য বাস দাঁড়িয়ে থাকতে আমিও কখনো দেখিনি ।এবারই নতুন আপনার থেকে শুনলাম। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল এবং আপনার পৌঁছাতে অনেক দেরি লেগে ছিল জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো । তারপরেও নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।।
অনেক বছর পর এভাবে সুন্দর সময় কাটালাম সবাই মিলে। বেশ ভালোই লেগেছিল। চলে আসার সময় আসলেই খুব খারাপ লেগেছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।