বিকালের নাস্তায় মুখরোচক চানাচুর মাখা
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজ আবারও মজাদার ও লোভনীয় একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি। আমার এই রেসিপি দেখলে আমি নিশ্চিত সবার লোভ লেগে যাবে। কারণ এটা এমনি একটি লোভনীয় রেসিপি আর আমার কেন প্রায় অনেকের পছন্দের একটি খাবার। তা হলো চানাচুর মাখা। চানাচুর খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় জেনেও আমরা কিন্তু লোভ সামলাতে পারি না। আমি তো খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে মাখা খেতে দারুণ লাগে। বিশেষ করে দেখবেন গাড়িতে কোথাও গেলে গাড়ির মধ্যে চানাচুর মাখা বিক্রি করার লোক উঠে। আমার কাছে সেটা খেতে খুব ভালো লাগে। কারণ তারা লেবু দেওয়াতে খুব সুন্দর একটি ঘ্রাণ আসে যার জন্য গাড়িতে বসে খেতে খুব ভালো লাগে।
আজ আমি সেভাবেই লেবু ও শসা দিয়ে মাখিয়েছি আর খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমার তো ছবিগুলো দেখলে আবারও খেতে ইচ্ছে করে। আমি আজ বিকালের নাস্তা হিসেবে চানাচুর মাখা তৈরি করেছিলাম। বিকালের নাস্তা হিসেবে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে চাই। তারমধ্যে এমন একটু ঝাল রেসিপি হলে মন্দ হয়না। রাস্তায় যখন লোকেরা চানাচুর বিক্রি করে তখন একটা কথা বলে যা শুনতে খুব ভালো লাগে আর তা হলো,চানাচুর মাখা খেতে মজা। সত্যিই কিন্তু চানাচুর মাখা খেতে মজা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক----
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চানাচুর | বড় এক প্যাকেট |
বেগুনি | ২টি |
শসা | অর্ধেক |
লেবু | ২ফালি |
কাঁচামরিচ | ঝাল অনুযায়ী |
পেঁয়াজ | ১টি |
ধনে পাতা | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
১ম ধাপ
প্রথমে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ শসা ধনেপাতা লেবু সুন্দর করে কেটে নিলাম।
২য় ধাপ
এবার পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচির সাথে অল্প একটু লবণ দিয়ে হাতের সাহায্যে ঢলে নিলাম। তারপর দুটি বেগুনি ছোট ছোট টুকরো করে দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
৩য় ধাপ
এখন বড় এক প্যাকেট চানাচুর ঢেলে নিয়েছি। তারপর সবগুলো একসাথে মাখিয়ে নিলাম।
৪র্থ ধাপ
এরপর লেবুর ফালি দুটি থেকে রস বের করে চানাচুর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর একটু সরিষার তেল ও দিয়ে দিলাম।
৫ম ধাপ
সবশেষে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে সবগুলো সুন্দরভাবে একসাথে মাখিয়ে নিলাম আর এভাবেই হয়ে গেল আমার চানাচুর মাখা। এখন পরিবেশনের জন্য চলে যাব।
পরিবেশ
আমার হাজবেন্ড খাওয়ার জন্য বসে ছিল বলে প্লেটে সাজানোর সময় পাইনি। তাই যেই বাটিতে বানিয়েছি সেটাতে রেখেই উপরে এক ফালি লেবু দিয়ে ছবি তুলে নিলাম। বুঝেন তো এমন লোভনীয় রেসিপি তৈরি করলে যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় ততই ভালো লাগে। যখন লেবুর রস দিলাম তখন যেনো ঘ্রাণে মন ভরে গিয়েছে। আপনারা চাইলে এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার শেয়ার করা মুখরোচক চানাচুর মাখা দেখে তো খেয়েনিতে ইচ্ছে করছে আপু। এই ধরনের চানাচুর মাখা কিংবা ঝাল মুড়ি মাখা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি যেহেতু অনেকগুলো উপকরণ দিলেন সাথে বেগুনি দিলেন খেতে দারুন হবে। খাওয়ার সময় আমাদেরকে একটু দাওয়াত দিলে পারতেন আপু।
আপু বেগুনির জন্য আরও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1858848480175026329?t=LUfRQSAb3R30j6KIpSYEmg&s=19
বিকেলের নাস্তায় মজার মজার খাবার খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর এই ধরনের খাবারগুলো সবাই পছন্দ করে। আপনি এত সুন্দর করে খাবারগুলো উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু বিকালের নাস্তা মজার মজার খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
আসলে মাঝেমধ্যে এই ধরনের মুখরোচক রেসিপি খেতে দারুণ লাগে। চানাচুর মাখা ঝাল ঝাল হলে খাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া মাঝে মাঝে এমন মুখরোচক খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
আপু আপনার তৈরি করার রেসিপিটা দেখে আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে।এই ধরনের খাবার গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা শীতকালে প্রায়ই চানাচুর মাখা খেয়ে থাকি। এটা আমাদের জন্য একদম কমন একটা খাবার হয়ে দাঁড়ায় শীতকালে। কারণ এটা খেতে এত মজা লাগে যে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। আমি প্রায় এটা তৈরি করে থাকি। গতকাল এবং গত পরশু দুই দিন এটা তৈরি করেছিলাম। তবে কখনো বেগুনি দিয়ে তৈরি করা হয়নি। একদম ভিন্ন রকম একটা ফ্লেভার যোগ করেছেন দেখলাম।
আপু শীতকালে চানাচুর মাখা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমারও বেশ পছন্দ এই রেসিপিটি। তবে আমি টমেটোও দেই। বেগুনির সাথে পিঁয়াজু দিলে খেতে আরও মজা লাগে। শীতকালে এ ধরনের ঝাল ঝাল চানাচুর মাখা খেতে বেশ লাগে।
আপু টমেটো ঘরে ছিল না আর দোকানে সেদিন শুধু বেগুনি ছিল তাই বলে কি খাওয়া বন্ধ থাকবে। তারজন্য হাতের কাছে যা ছিল তাই দিয়েই তৈরি করে নিলাম। ধন্যবাদ।
ডেইলি টাস্ক রিপোর্ট
বিকেল বেলায় এরকম নাস্তা খেতে ভালোই লাগে। চানাচুর মাখা আমার ভীষণ পছন্দ। তবে অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। আমরা কখনই চানাচুর মাখার সাথে বেগুনি ব্যবহার করিনা। আপনার রেসিপিটা দেখে এটা খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু একবার বেগুনি আলুরচপ দিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
এই চানাচুর মাখা আমি বাড়িতে খেতে চাই। আর আপনার পোস্টটি আমি সেভ করে রাখলাম বাড়িতে এই ধরনের চানাচুর মাখা খাওয়ার জন্য। এত সুন্দর পদ্ধতিতে আপনি এই চানাচুর তৈরি করেছেন তা দেখে বারবার খেতে ইচ্ছে করছিল।
অবশ্যই ভাইয়া এভাবে চানাচুর মাখা খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। রিভিউ দিতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।