কচুর মুখী ভর্তা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
ছেলে আমার এতো অসুস্থ যার কারণে কিছুই ভালো লাগে না। জানি আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এমন হচ্ছে কিন্তু কি করবো বলেন মায়ের মন তো মানে না। ঔষধ খাওয়াচ্ছি জ্বর একদমই কমছে না। ছোট মানুষ মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারছে না। এই দু'দিনে আমি বেশ কিছু ফার্নিচার কিনেছি আর এরজন্য সবচেয়ে বেশি আমার ছেলে খুশি হতো। সে এই রুম থেকে ঐ রুমে দৌড়ের উপর থাকতো। কিন্তু তার কিছুই হচ্ছে না। সে একদম চুপচাপ হয়ে গিয়েছে। কাল সারা রাত প্রচন্ড জ্বর ছিল। সকালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ এনেছি কিন্তু এখনো জ্বর কমেনি।
ছেলের জন্য একদমই এক্টিভ থাকতে পারিনি। এমনকি আজ পোস্ট করতেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সন্তান যখন অসুস্থ হয় তখন একজন মায়ের কষ্ট যেমন বেশি হয় তেমনি পরিশ্রমও অনেক হয়। এরপর যদি একলা থাকা হয় তাহলে তো কষ্টের শেষ থাকে না। শেষ পর্যন্ত আমিই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আজকে আমারও জ্বর চলে এসেছে। কিছুই ভালো লাগছে না। তারজন্য কি পোস্ট করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। পরে গ্যালারিতে অনেক আগের ভর্তার রেসিপি খুঁজে পেলাম। চিন্তা করলাম এটাই পোস্ট করা যাক। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
কচুর মুখী | ইচ্ছে মতো |
শুকনো মরিচ | ঝাল অনুযায়ী |
লবণ | স্বাদ মতো |
পেঁয়াজ | বড় সাইজের ১টি |
তেল | পরিমাণ মতো |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে কচুর মুখী একটি পাতিলে নিয়ে নেবো। এরপর সিদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিয়ে দেবো। তারপর ভালোভাবে সিদ্ধ করে নেবো।
😋২য় ধাপ😋
কচুর মুখী সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে উপরের খোসা ছাড়িয়ে নেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এখন পেঁয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দেবো আর কড়াই গরম হয়ে এলে এতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো। এরপর কয়েকটি শুকনো মরিচ দিয়ে ভেঁজে নেবো।
😋৫ম ধাপ😋
প্রথমে শুকনো মরিচ ভর্তা বানিয়ে নেব। এরপর পেঁয়াজের সাথে দিয়ে একটু লবণ নিয়ে ভালো করে ভর্তা বানিয়ে নেবো।
😋শেষ ধাপ😋
এবার কচুর মুখী এর মধ্যে দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নেবো। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের কচুর মুখীর ভর্তা রেসিপি। এরপর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে নিয়ে আসলাম। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
কচু মুখী ভর্তা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমারও অনেক খারাপ লাগছে আপনার বাচ্চার অসুস্থতার কথা শুনে। সত্যি কিন্তু বাচ্চারা অসুস্থ হলে মায়েদের যেমন কষ্ট তেমনি করে টেনশন। সব মিলিয়ে আপনি তো বেশ সমস্যার মধ্যেই আছেন। তুবও যে মোবাইলের গ্যালারী ঘেটে এত সুন্দর একটি রেসিপি করত পেরেছেন সেটাই অনেক। আমার কাছে কচুর মুখী খেতে তো বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সবসময় এভাবে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
দোয়া করি যেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনার সন্তান দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। কচুর মুখী ভর্তা করার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের ভর্তা তে যদি একটু বেশি পরিমাণে মরিচ ব্যবহার করা যায় তাহলে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কচুর মুখি ভর্তায় যদি একটু ঝাল বেশি হয় তাহলে খেতে দুর্দান্ত লাগে আমার কাছে। আপনি ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গরম ভাতের সাথে এ ধরনের রেসিপি হলে খেতে খুবই মজা হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া ভর্তা একটু ঝাল খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি দোয়া করে যাতে আপনার ছেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। গরম ভাতের সাথে যে কোন ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। তবে কচুর মুখীর ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। খুব শীঘ্রই এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু একবার বাসায় তৈরি করে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
আপনার ছেলের অসুস্থতার খবর জেনে খারাপ লাগলো আপু। আসলে এ সময়ে একটু সাবধানে থাকাই ভালো। জ্বর হলে আসলেই ভালো লাগে না। আর মা তো সবসময় চিন্তা করবে। আশা করছি আপনার ছেলে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে। কচুরমুখী আমার প্রিয়। আর ভর্তা করে খেতেও ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনাদের দোয়ায় এখন সুস্থ আছে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
কচুর মুখী ভর্তা খেতে খুবই মজা লাগে। তবে এখনো কিন্তু কচুর মুখী ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সহজ এবং সুন্দর করে রেসিপি টি উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া যেহেতু কখনো এই ভর্তা খাওয়া হয়নি তাই বলবো আজই এই রেসিপি তৈরি করে নেবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
আপনি খুব মজাদার একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাই।