"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -২৭।। "বেগুন চিংড়ি বাহার" ও "ছোট চিংড়ি পাতাকফির কোপ্তা কারি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।" আমার বাংলা ব্লগ" বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। তাই এবারের প্রতিযোগিতা হলো তোমার সেরা স্বাদের চিংড়ি মাছের রেসিপি।শুরু করার আগে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার প্রিয় বোন @ swagata 21 এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আপনারা জানেন আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। আর চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের। দেখলাম অনেকে সুন্দর সুন্দর ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপি গুলো দেখলেই জল এসে যায় মুখে।
রেসিপি গুলো দেখে আমার ও খুব ইচ্ছা হলো তাই অংশগ্রহণ করতে আমার পছন্দের চিংড়ি মাছের দুটি ইউনিক রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম।
চিংড়ি মাছ যে ভাবে রান্না করা হোক না কেন সেই ভাবে খেতে মজা লাগে। আর চিংড়ি মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। এমন কোন দিন নেই যে আমি চিংড়ি মাছ রান্না করি না। আমার ঘর থেকে কখনো চিংড়ি মাছ শেষ হয় না। কারণ চিংড়ি ছাড়া আমাদের একদিন ও চলে না। আমার ঘরে সব ধরনের চিংড়ি মাছ থাকে। আর আমি প্রায়ই নতুন নতুন পদ্ধতিতে চিংড়ি রান্না করি।
চিংড়ি মাছে প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং আয়োডিনের পুষ্টি সরবরাহ করে যা অন্যান্য খাবারে প্রচুর পরিমাণে থাকে না।আবার চিংড়ি মাছ উচ্চ কোলেস্টেরল সামগ্রীর কারণে অস্বাস্থ্যকর। সব খাবারে কম বেশি ভালো দিক ও খারাপ দিক থাকে। তাই চিংড়ি মাছে উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই একসাথে আছে।
চিংড়ি মাছ ক্যালোরি বেশ কম এবং এতে কোন কার্বোহাইড্রেট থাকে না। চিংড়ির প্রায় ৯০ শতাংশ ক্যালোরি প্রোটিন থেকে আসে এবং বাকিটা আসে চর্বি থেকে। চিংড়ি মাছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে যা প্রদাহ কমাতে ও হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নতি করতে সাহায্য করে। চিংড়ি একটি পুষ্টিকর খাবার। ক্যালোরিতে কম এবং বিভিন্ন ভিটামিন ,খনিজ ,প্রোটিন ,ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে যা হার্টকে উন্নত করে। চিংড়িতে ওমেগা - ৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ মাত্রার রক্ত প্রবাহে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। যা হার্ট অ্যাটাক ও স্টকের সম্ভাবনাকে আরো কনিয়ে দেয়। চিংড়ি মাছ আয়োডিনের ঘাটতি কমায়। চিংড়ি মাছ ওজন নিয়ন্ত্রণ করে সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। চিংড়ি কার্ডিওভাসকুলার রোগে ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
এছাড়া চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর দিক গুলো রয়েছে। চিংড়িতে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে। সামুদ্রিক মাছে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এর চেয়ে ৮৫ শতাংশ কোলেস্টেরল থাকে চিংড়ি মাছে। আবার চিংড়ি মাছের প্রচুর পরিমাণে এলার্জি ও রয়েছে। যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হাতে- পায়ে চুলকানি ও স্বাদ কষ্টের সমস্যা ও দিতে পারে। আবার রক্ত বমি ও হতে পারে। তবে এ সমস্যা গুলো খুব অল্প সংখ্যাক মানুষের হয়ে থাকে।
এবার চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল রেসিপিতে ফিরে যাই।
আমার প্রথম রেসিপি "বেগুন চিংড়ি বাহার"।
উপকরণ:
১. দুই রকমের চিংড়ি বাগদা চিংড়ি -১০০ ও ছোট চিংরি - ১০০
২. বেগুন - ২ টি
৩. পেঁয়াজ কুচি -১ কাপ
৪. লবণ - পরিমান মতো
৫. হলুদ - ১ চামচ
৬. শুকনো মরিচ গুঁড়া - স্বাদ অনুযায়ী
৭. সাদা তেল - দেড় কাপ
৮. কাচা মরিচ কুচি - ২ চামচ
৯. ধনে পাতা - পরিমান মতো
১০. গরম মসলা -১ চামচ
১১. আলু - ১ টি
১২. শাহী জিরা - হাপ্ চামচ
বাগদা চিংড়ি
ছোট চিংড়ি
বেগুন
ধনে পাতা
পেঁয়াজ কুচি ও কাচা মরিচ কুচি
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও গরম মসলা
সাদা তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে আলু স্লাইস করে কেটে নিতে হবে।
২. বেগুন দুটি বড় বড় করে কেটে নিতে হবে। এবার কাটা বেগুন সেদ্ধ করে নিতে হবে। বেগুন সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিতে হবে।
৩. এরপর চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে ২ চামচের মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে দুই রকম চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে এর ভিতরে পরিমান মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো হালকা ভেজে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ গুলো হালকা ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার ভাজা চিংড়ি মাছ গুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে
মিহি করে নিতে হবে।
৫. আবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে সেদ্ধ বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে দিয়ে দিতে হবে। বেগুনের ভেতর ব্লেন্ড করা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিতে হবে। এতে পরিমান মতো কাচা মরিচ কুচি, লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে
শুকনো শুকনো করে ভেজে নিতে হবে।
৬.ভাজা হয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৭. চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে ভাজা বেগুন থেকে অল্প অল্প নিয়ে বড়ার মতো করে ভেজে নিতে হবে। বড়া গুলো বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৮. এরপর চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে অল্প শাহী জিরা দিয়ে দিতে হবে।জিরা ভাজা হয়ে গেলে হাপ্ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে। এবার একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে কেটে নেওয়া আলু দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে ২ কাপের মতো জল দিয়ে দিতে হবে।
৯.ঝোল ফুটতে শুরু করলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। এরপর ঢাকনা তুলে আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে ও ঝোল একটু কমে আসলে চিংড়ি বেগুনের বড়া গুলো দিয়ে দিতে হবে।এবার আর কিছুক্ষন জ্বাল দেওয়ার পর ঝোল গাঢ় হয়ে গেলে গরম মসলা দিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
এবার তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু "বেগুন চিংড়ি বাহার "।আমি উপরে কিছু বড় চিংড়ি ও টমেটো দিয়ে সাজিয়ে দিলাম। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।আশা করি,এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
চলুন এবার শুরু করা যাক দ্বিতীয় রেসিপি " ছোট চিংড়ি পাতাকফির কোপ্তা কারি"
উপকরণ:
১. কুঁচো চিংড়ি - ২oo গ্রাম
২. পাতাকফির পাতা - ৮ - ১০ টি
৩. পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
৪. কাচা মরিচ কুচি - ১ চামচ
৫. সাদা তেল - ১ কাপ
৬. লবণ - পরিমান মতো
৭. হলুদ - ১ চামচ
৮. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
৯. জিরা গুঁড়া - ২ চামচ
১০.গরম মশলা - ১ চামচ
১১. ধনে পাতা - পরিমান মতো
কুঁচো চিংড়ি
পাতা কফির পাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে পাতাকফির পাতা গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে।পাতা গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
২. এবার কুঁচো চিংড়ি গুলো সামান্য লবণ হলুদ দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
৩. এবার ভাজা চিংড়ি গুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৪.এবার চুলার উপর কড়াই দিয়ে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়ে মিহি করা চিংড়ি মাছ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ভেজে নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৫. এবার সেদ্ধ করা পাতাকফির মাঝখানে অল্প একটু চিংড়ি মাছের পুর দিয়ে পাতার দুই পাশ ভাঁজ করে দিতে হবে।
৬. এবার ফ্রাই প্যানে হালকা তেলে ভেজে বাদামী রঙের করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
৭.এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়ে পরিমান মতো সব মসলা কষিয়ে নিয়ে ১ কাপের মতো জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে পাতা কফির কোপ্তা গুলো দিয়ে দিতে হবে। এবার কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। ঝোল কমে আসলে গরম মসলা দিয়ে মিডিয়াম আঁচে রেখে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু "কুঁচো চিংড়ি পাতা কফির কোপ্তা কারি"।আমি ধনে পাতা ও টমেটো দিয়ে একটু সাজিয়ে দিলাম। এই রেসিপিটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো।ধন্যবাদ।
প্রথমের রেসিপিটি আমার খুব ই প্রিয়,কারণ এভাবে বড়া প্রায় বানানো হয় আমাদের বাসায়।অনেক পছন্দ আমার।আর শেষের রেসিপিটি মানে এইযে পাতাকপি দিয়ে যেটা করলেন সেটা সত্যিই অসাধারণ। এক্কেবারে ইউনিক,কখনোই দেখিনি এর আগে।আপনি পারেন ও বৌদি,সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি কি করে যে করেন!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দিদি ভাই দারুন রেসিপি দুইটা শেয়ার করেছেন। প্রথমটা বেগুন চিংড়ি বাহার খেয়েছি কিন্তু বাঁধাকপির কোপ্তা কারী খাওয়া হয়নি এভাবে কখনও। দারুন হয়েছে রেসিপি দুটো। আপনি অনেক পরিশ্রম করেছেন দেখা গেল। তবে রেসিপিটি কিন্তু ইউনিক হয়েছে। 👌👌👌একদিন বাঁধাকপি দিয়ে ট্রাই করব তো 😋 মজার দুটি রেসিপি করতে অনেক সময় ও মেহনত হয়েছে আপনার। ধন্যবাদ দিদি ভাই, 🥰🥰 সুন্দর দুটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 😊
আসলেই বৌদি নতুন নতুন ইউনিক চিংড়ি এর রেসিপি দেখে আমারও বেশ খেতে ইচ্ছে করছে।স্বাগতা আপুর জন্যই সব সম্ভব হয়েছে নতুন নতুন রেসিপি দেখার।বৌদি আপনার দুইটাই রেসিপি বেশ ইউনিক লেগেছে ।বেগুন দিয়ে এভাবে বেগুন চিংড়ি বাহার এবং কুঁচো চিংড়ি পাতা কফির কোপ্তা কারি কোনটাই খাওয়া হয়নি।তবে দুইটাই গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগবে।দেখতেও বেশ চমৎকার লাগছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ।
বৌদি আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে প্রতিযোগিতায় যদি আপনি অংশগ্রহণ না করেন তাহলে যেন প্রতিযোগিতা পূর্ণতা পায় না। আর আপনি তো আমাদের সেরা বৌদি। আপনার তৈরি করা দুটো রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছিল। আমরা পরবর্তীতে দাদার কাছে জেনে নেব আসলে খেতে কতটা মজা হয়েছিল। মনে হচ্ছে একেবারে পারফেক্ট হয়েছিল খেতে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল বৌদি।
বাহ! একের ভিতর দুই, স্বাদের দুটো চমৎকার রেসিপি দেখলাম, এটার অপেক্ষায় ছিলাম বৌদি। ভাবতেছিলাম কখন আপনি প্রতিযোগিতায় এন্ট্রি দিবেন আর নতুন কিছু দেখতে পাবো। হ্যা, ভালো মন্দ দুটো দিকই থাকে সব কিছুতে, চিংড়ি মাছের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। তবে কুঁচো চিংড়ি পাতা কফির কোপ্তা কারি কিন্তু আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে, ট্রাই করতে হবে একদিন দেখছি। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ওয়াও বৌদি অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করেছেন। বেগুন চিংড়ি বাহার" ও "ছোট চিংড়ি পাতাকফির কোপ্তা কারি" এধরনের রেসিপি আমি আগে কখনো দেখিনি। আপনি ঠিক বলেছেন চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটিই রয়েছে। আপনার রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে যদি একটু খেয়ে দেখতে পারতাম - হা হা হা।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে নিয়েছেন।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বৌদি চিংড়ি মাছ ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক ভালো লাগে। দুটি রেসিপি পরপর করেছেন প্রথম যে রেসিপিটি দিয়েছেন সেটি আমার অনেক পছন্দের। কারণ বাসায় আম্মু মাঝে মাঝে এই রেসিপি রান্না করে। এসব রেসিপি মজাদার হয়ে থাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন না করলে প্রতিযোগীতা যেন পূর্নতা পায় না।
চিংড়ি মাছে এলার্জি থাকাতে কম খওয়া হয়, কিন্তু চিংড়ি বেগুন আমার বেশ প্রিয় আমাদের বাসায় প্রায়ই বানানো হয়। ২য় রেসিপিটি নতুন লাগলো আমার কাছে।
আহ কি স্বাদের একের ভিতর দুই রেসিপি। রেসিপি দুইটি খুবই আন কমন হয়েছে। চিংড়ি দিয়ে এমন রেসিপি হয় আমি কখনো কল্পনাও করি নাই। দেখে শিখে নিলাম বাসায় খাওয়া যাবে। আপনার গুলো তো চাইলেও পাবো না, হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।