নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫০ )

in আমার বাংলা ব্লগ26 days ago

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৫০ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

Screenshot_20241116-163410_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নামফকির গ্রাম।
পরিচালনাঈগল টিম
প্রযোজনাকচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারীজাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্টসুলাইমান
অভিনয়েআনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালককামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনাঅনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনাজুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখি, বিদেশি আকাশের বোন চম্মনের বাড়িতে এসেছে। আর চম্মন তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সে কোনো একটা জরুরী কথা আছে বলে দাঁড় করায়। তারপরে ওই ভাবি জানায় তাকে না বিয়ে করতে পারলে নাকি তার ভাই আত্মহত্যা করবে। কিন্তু তবুও চম্মন বিয়ে করতে রাজি হয় না। বরং কখনোই তাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে চলে যায়। আর আকাশের বোন তাকে বিভিন্ন রকম থ্রেট দেয়। আর আকাশের কাছে চলে যায়। এরপর আমরা দেখি কাদের ফকির আর সুন্দরী খালার বিয়ে পড়ানো হচ্ছিল। এরপর কাদের ফকিরকে সবাই তাড়াতাড়ি কবুল বলার জন্য বলে। যখনই কাদের ফকির কবুল বলবে, তখনই তার মর্জিনার কথা মনে আসে। আর তখন ওখানে সায়েম ফকির আসে। আর মর্জিনার নাম নিয়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। আর তাদেরকে জানায় চান্দু মর্জিনাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। রবি তো তাদেরকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এরপর রবি তাদেরকে বলে দেয়, এখন বিয়ে হবে না। মর্জিনাকে খুঁজে পাওয়ার পরেই বিয়ে হবে।

Screenshot_20241116-163544_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

রবি কাজীকেও তাড়িয়ে দেয়। আর এইসব কিছু দেখে সুন্দরী খালা অনেক কান্না করতে থাকে। সকালবেলায় আমরা রবিকে দেখতে পাই, একটা ঘর থেকে বের হয়ে আসমানী আর মর্জিনাকে ডাকছিল। আর তখনই মর্জিনা আর আসমানি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। এবার আসমানী ফকির গ্রামে গিয়ে সব কিছু জেনে এসে তাদেরকে বলবে বলে। আর তাদেরকে একটা মোবাইল দিয়ে যায়, যেন কোনো সমস্যা হলে আসমানির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আর এটা পেয়ে মর্জিনা আর চান্দু দুজনেই অনেক খুশি হয়ে যায়। আসমানী তাদেরকে বলে এটা নাকি তাদের বিয়ের গিফট। চান্দু আর মর্জিনার এখনো বিয়ে হয়নি। সবকিছু ঠিক হলে তারপর তাদের বিয়ে হবে। তারপরে আসমানি ফকির গ্রামের উদ্দেশ্যে বের হয়। তারা যাওয়ার পর চান্দু আর মর্জিনা মোবাইলটা একটু চালিয়ে দেখার জন্য বসে। এরপর আমরা দেখি সুন্দরী খালা অনেক কান্না করছিল। আর কাদের ফকির তাকে একটু সান্ত্বনা দিচ্ছিল।

Screenshot_20241116-163606_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

এরকম ভাবে তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। আর তখনই সেখানে রবি আসে। রবি তো কাদের ফকিরের উপর অনেক বেশি রাগ দেখাচ্ছিল। রবি একটা লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে মর্জিনা আর চান্দুকে খুঁজে বের করার জন্য। কাদের ফকির কাজী অফিসে গিয়ে সুন্দরী খালাকে বিয়ে করতে চাইলে সুন্দরী খালা রাজি হয় না। এরপর তারাও চান্দু আর মর্জিনাকে খুঁজার জন্য বেরিয়ে পড়ে। এরপর আমরা সায়েম ফকির কে দেখি অনেক রেগে রয়েছে। আর সায়েমের বউ বিষয়টা জিজ্ঞেস করাতে সে বলে বিয়েটা যদি সম্পূর্ণ হত তাহলে সে ১০০ টাকা বকশিশ পেতো কাদেরের কাছ থেকে। এখন তার ১০০ টাকা লস হয়েছে। আর সে তার বউকে বলে এসব কিছুর পিছনে রতন রয়েছে। অন্যদিকে আবার সায়েমের বউ অনেক খুশি হয়ে যায় এসব কিছুর জন্য। এরপর সায়েম রতন ফকিরকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে চলে যায়।

Screenshot_20241116-163625_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

তারপরে আমরা প্রিন্সকে দেখতে পাই তার বন্ধুর সাথে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর প্রিন্স তাকে ঘটনা জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তার বন্ধু তার কাছে কোনো কিছুই স্বীকার করে না। তখনই ওখান দিয়ে যখন আসমানী যাচ্ছিল, তখন তাদের কাছ থেকে ভিক্ষা চায়। প্রিন্সের বন্ধু তো তাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রিন্স আসমানিকে ভিক্ষা দেয়। তারপরে আসমানি খুশি হয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর প্রিন্সের বন্ধু তাকে কোনো একটা জিনিস খাওয়াবে বলে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যায়। তারপর আমরা মানিক ফকিরকে দেখি মন খারাপ করে বসে রয়েছে। আর সে ভাবে তারও ইচ্ছে করে চম্মনকে নিয়ে এভাবে পালিয়ে যেতে। কিন্তু পালিয়ে কোথায় যাবে এটাই চিন্তা। এসব কিছুর পাশাপাশি সে আবার নিজের বাবা মায়ের কথা মনে করে অনেক মন খারাপ করছিল। তখনই সেখানে রতন আসে আর তাকে বলে সে কি চম্মনের সাথে পালিয়ে যেতে চায় নাকি। তারা যখন এইসব কিছু নিয়ে কথা বলছিল তখনই সেখানে সায়েম ফকিরের বউ আসে। আর রতন ফকিরকে বলে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাওয়ার জন্য, কারণ সায়েম তাকে মারতে আসছে। এরপর সে সবকিছু বলে। তারপর রতন আসমানির বাড়িতে যাওয়ার জন্য চলে যায়।

Screenshot_20241116-163632_YouTube.jpg

ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট

এরপর রতন সায়েমের বউয়ের সাথে বেশ কিছু কথা বলছিল। আর সায়েমের বউয়ের অনেক মন খারাপ হচ্ছিল, কারণ তার হাজবেন্ড সব সময় খারাপ ব্যবহার করে। এরপর আমরা দেখি সায়েম আর রবির মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে একে অপরকে লাঠি নিয়ে মারছে। এরপর তাদের ভুল ভাঙ্গে আসলে তারা তো নিজেদের লোক। এরপর সায়েম ফকির রবিকে জানায় চান্দু আর মর্জিনাকে পালিয়ে যেতে রতন ফকির সাহায্য করেছে। এরপর দুজনেই রতনকে মারার জন্য চলে যায়। এরপর মানিক যখন আসমানীর বাড়িতে যাচ্ছিল, তখন তার সাথে দেখা হয়। আর তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে আর সবকিছু জানায়। এরপর দেখি রতন ডাক্তার আপার সাথে ধাক্কা খায়। এরপর রতন ডাক্তার আপাকে সবকিছু জানায়। একবার তারা তাদের বিয়ের কথা নিয়ে কথা বলছিল। এরপর রতন সেখান থেকে পালিয়ে যায়, কারণ সায়েম যে কোনো মুহূর্তে চলে আসতে পারে। এরপর আমরা দেখি মানিক চম্মনকে বলছিল তাকে বিয়ে করতে না পারলে সে জীবনে বিয়ে পারবে না। তারা যখন কথা বলছিল তখন সেখানে সায়েমের বউ আসে। আর মর্জিনা এবং চান্দুকে আসমানির বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে বলে। কারণ রবি ওখানে যাচ্ছে মর্জিনা কে আনার জন্য। আর তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই পর্বে আমরা দেখতে পাই, চন্দু ফকির আর মর্জিনা পালিয়ে আসমানির বাড়িতে রয়েছে। অন্যদিকে আবার সায়েম ফকির এবং রবি দুজনেই রতনকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে বের হয়েছে। কারণ রতন ফকির তাদের দুইজনকে সাহায্য করেছে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। ওইদিকে আবার চান্দু এবং মর্জিনার তখনও বিয়ে হয়নি। কারণ তারা পরিস্থিতি চিন্তা করে তারপর বিয়ে করবে। মার খাওয়ার ভয়ে রতন ফকির ও আসমানির বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে। অন্যদিকে আবার প্রিন্সের বন্ধু তাকে কোনো কিছু একটা খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে গেছে। আমার তো মনে হয় মাদক তাকেও দেবে। শেষ পর্যন্ত আসলে গল্পের মোড় কোন দিকে যাবে এটাই দেখতে হবে। আশা করছি আপনারা পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। আমি চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার জন্য। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

ধন্যবাদ সবাইকে

banner-abb23.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81Nob8RjiAuXKzVPMCYze3VPJuZt6zKYtv5NHRTGki5Bb9J8zQgkNJMsUwkntqf5nqvpbiaDQNgkiw5c4UajTzbY.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 26 days ago 

ফকিরগ্রাম নাটকের ৫০ তম পর্ব রিভিউ করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার উপস্থাপনা এবং নাটক রিভিউ করার সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন এই পর্বের বিস্তারিত বিষয়গুলো। এরই মধ্য দিয়ে নাটকটা সম্পর্কে অনেক ধারণা পেলাম।

 25 days ago 

এই নাটকের ৫০ তম পর্বের রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম।

 25 days ago 

ফকির গ্রাম নাটকের ৫০ তম পর্বের রিভিউটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে পুরোটা পড়তেও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই নাটকটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তুমি একে একে নাটকের সবগুলো পর্ব শেয়ার করে যাচ্ছ দেখে ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য।

 25 days ago 

আমি তাড়াতাড়ি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।