রেসিপি :- ড্রাগন ফলের পুডিং রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ড্রাগন ফলের পুডিং রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
বর্তমানে সিজন ভিত্তিক ফল গুলো কিন্তু খেতে ভীষণ ভালোই লাগে। বাজারে এখন ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে। বাজার থেকে ড্রাগন ফল নিয়ে এসেছিলো। তাই জন্য আমি ভাবলাম এই ফলটা দিয়ে কোন একটা রেসিপি তৈরি করি। এমনিতে ড্রাগন ফল শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কয়েকদিন ধরে বেশ সময় গরম পড়তেছে, তাই জন্য ভাবলাম ঠান্ডা জাতীয় কোন রেসিপি তৈরি করি। আসলে ঠান্ডা জাতীয় পুডিং খেতেই সবথেকে বেশি ভালো লাগে। এজন্য আমি ভাবলাম তাহলে ড্রাগন ফল দিয়ে পুডিং তৈরি করি। কারণ ঠাণ্ডা পুডিং খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। সত্যি বলতে এই রেসিপিটা তৈরি করার পরও কিন্তু বেশ ভালো লেগেছিল খেতে। আমার কাছে আবার শুধু শুধু ড্রাগন ফল খেতে ভালো লাগে না। পুডিং তৈরি করে খাওয়াতে একটু ভালো লেগেছিল। আশা করি রেসিপিটা আপনাদেরও ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ড্রাগন ফল | ১ টা |
আগার আগার পাউডার | ১/২ কাপ |
চিনি | পরিমাণ মতো |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটা ড্রাগন ফল নিয়ে নিলাম। এরপর ড্রাগন ফলটাকে কেটে ছোট ছোট টুকরো করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি একটি পাতিলের মধ্যে কিছুটা পরিমাণে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপর এরমধ্যে ড্রাগন ফলের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এভাবে এগুলোকে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিবো।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি কিছুটা পরিমাণ পানির সাথে আগার আগার পাউডার মিশিয়ে নিলাম। এরপর এই পানিটা এই মিশ্রণের সাথে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর আমি আরো কিছুক্ষন ফুটিয়ে ঘন করে নিবো।
ধাপ - ৬ :
এরপর চুলা থেকে নামিয়ে একটা বাটিতে নিয়ে নিলাম। এরপর কিছুটা সময় ঠান্ডা করে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিবো। এরপর আমি পরিবেশন করলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ড্রাগন ফল আমার খুবই প্রিয় মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়।
তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটার কখনো পুডিং তৈরি করে খাওয়া হয়নাই।
আপনার মাধ্যমে এই প্রথম এত লোভনীয় এবং মজাদার রেসিপি দেখলাম।
ড্রাগন ফলের পুডিং খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে এভাবে পুডিং তৈরি করবেন। এটার মধ্যে আলাদা টেস্ট পাওয়া যায়।
https://x.com/TASonya5/status/1800355162130960556?t=vUADsNcb1_mQEC4hy6ZBSg&s=19
পুডিং তৈরি করা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো ভিন্ন ধরনের ড্রাগন ফল এর এই পুডিং দেখে। এর আগে আমি কোনদিন ড্রাগন ফলে পুডিং দেখেছিলাম না তাই এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
প্রথমবারের মতো আমার কাছ থেকে ড্রাগন ফলের তৈরি পুডিং দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে আপু পুডিং অনেক খেয়েছি তবে কখনো ড্রাগন ফলের পুডিং খাওয়া হয়নি। এটা খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু এই পুডিং কখনো খাওয়া হয়নি অবশ্যই তৈরি করবেন।
ড্রাগন ফলের পুডিং এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ড্রাগন ফলের পুডিং রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ড্রাগন ফলের পুডিং রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। তবে, আপনি একদম ইউনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
আসলেই ড্রাগন ফলের পুড়িং অনেক মজাদার হয়েছিল।
ড্রাগন ফল খেতে ভীষণ মজা লাগে। ড্রাগন ফলের পুডিং কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি সব সময়ই ইউনিক সব রেসিপি শেয়ার করেন। যেমন গরম পরেছে ঠান্ডা জাতীয় পুডিং হলে বেশ জমে যায়। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পুডিং রেসিপি আসলেই ইউনিক। তবে অনেক বেশি মজাদারও বটে।
ওয়াও!!!আপু দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ড্রাগন ফলের পুডিং কখনো খাওয়া হয়নি। হার্টসেপ অনুযায়ী পুডিং তৈরি করাতে দেখতে অনেক বেশি কিউট লাগছে। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পুডিং তৈরি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে হার্ট শেপের পুডিংটা তৈরি করার জন্য।
এই গরমে ঠান্ডার কোন বিকল্প নেই। প্রতিটা মানুষ ঠান্ডার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে। আর গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি সহ্য করাটা কঠিন। আপনি আজকে ড্রাগন ফলের পুডিং রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। এ ধরনের পুডিংগুলো খেতে বেশ সুন্দর লাগে। এত চমৎকার ভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এরকম পুড়িং খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ড্রাগন ফলের লাভ পুডিং রেসিপি তৈরি করে । আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকার। আমি প্রায় দিন এই ফল বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে খেয়ে থাকি। তবে এভাবে কখনো পুডিং রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। চেষ্টা করব খুব দ্রুত এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। দুধ দিয়ে রান্না করার কারণে খেতে আরো বেশি ভালো লাগবে আপু দেখে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটা তৈরি করে। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছিল এই পুডিংটা।
ড্রাগন ফলের পুডিং দেখেই তো লোভ লাগছে আপু।খুবই চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। খুবই চমৎকার হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ড্রাগন ফলের পুডিং দেখে লোভ লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।