নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৪৯ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৪৯ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, মর্জিনা সহ সায়েমের বউ আর নতুন ওই ফকির মেয়েটা এসেছে সুন্দরী খালাকে হলুদ দেওয়ার জন্য। মর্জিনাকে হলুদ দিতে বললে মর্জিনা হলুদ দেয় না সুন্দরী খালাকে। একসময় তো ওখান থেকে মর্জিনা উঠে চলে যায়। কারণ তার কাছে এই বিষয়টা একেবারেই ভালো লাগছিল না। আর অন্যরা সুন্দরী খালাকে হলুদ দিতে থাকে। এরপর আমরা সুতা ফকির আর টিক্কা ফকির কে দেখতে পাই, হলুদ নিয়ে আসছে কাদের ফকিরকে দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে আবার কাদের ফকির নিজের ঘর সাজাচ্ছিল। কাদের ফকির তো অনেক খুশি হয়ে যায় তাকে মেহেদী দিতে এসেছে দেখে। আর কাদের ফকির তাদেরকে বলে মেহেদীও যেন নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কাদের ফকিরের চোখ মুখ গুলো জ্বলতে থাকে। কারণ সুতা বলে হলুদের জায়গায় মরিচ গুলে নিয়ে এসেছিল। আর কাদের ফকির দৌড়ে গিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। তারপর তারা দুইজন হাসতে হাসতে সেখান থেকে চলে যায়। আর কাদের ফকির গোসল করতে থাকে।
এরপর আমরা চান্দু ফকির আর আসমানীকে দেখতে পাই রাস্তা দিয়ে আসছিল। আর আসমানি চান্দু ফকিরকে বলে দেয়, সে নিজে পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছে এটা যেন কাউকে না বলে। ওখান দিয়ে যখন রতন আর মানিক যাচ্ছিল, তারা তো চান্দুকে দেখে অনেক খুশি হয়ে যায়। আর তাদের কাছে আসে। এরপর রতন আর মানিক সব ঘটনা চান্দুকে খুলে বলে। আর চান্দু তাদেরকে বলে সে নাকি প্ল্যান করেছে কাদের আর সুন্দরীর বিয়ে হওয়ার সময় রাতের বেলায় সে মর্জিনাকে নিয়ে পালিয়ে যাবে। আর এটা শুনে মানিক রতন আর আসমানী সহমত দেয়। আর বলে তারা নাকি তাকে সাহায্য করবে এই বিষয়ে। এরপর তারা কাদের ফকিরের বিয়েতে আনন্দ করার জন্য চলে যায়। চান্দুও আবার অনেক খুশি ছিল এই বিষয়টা নিয়ে। তারপর আমরা প্রিন্স আর তার বন্ধুদের দেখতে পাই বাহিরে ঘুরাঘুরি করছিল। আর তারা প্রিন্সকে বিকেল বেলায় কিছু একটা খাওয়ানোর কথা বলে। তখনই ওখান দিয়ে যখন পুলিশ যাচ্ছিল, তখন তাদেরকে দেখে আর ধরতে আসে।
তারপরে পুলিশ তাদেরকে ধরার জন্য যখনই যাবে, তখন প্রিন্স বিষয়টা ভালোভাবে জিজ্ঞেস করে। তারপর পুলিশ তাকে সবকিছু বলে। আর তখনই তার বন্ধুরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর পুলিশ ও তাদেরকে দৌড়ানি দেয়। আর প্রিন্স তার বাবার সাথে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলবে চিন্তা করে। রাতের বেলায় আমরা দেখতে পাই কাদের ফকির আর সুন্দরী খালার বিয়ের প্রোগ্রাম চলছে। আর তারা যখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিল, তখনই সায়েম ফকির বাসর ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসে। তারা অনেক বেশি আনন্দ করতে থাকে তখন। তারপরে আমরা দেখি মর্জিনা মন খারাপ করে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর তখনই সেখানে রবি আসে। আর মর্জিনার সাথে বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে। তারপর মর্জিনা তাকে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয়। আর মর্জিনা চান্দুর আশায় বসে থাকে। তার আসমানীর কথা মনে পড়ছিল, এখনও কেন চান্দুকে ছাড়িয়া আনে নি।
একদিকে যখন বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল, সবাই মিলে আনন্দ করছিল, তখন ঘরের এক কোণে মর্জিনা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর বারবার পেছনে দেখতে থাকে চান্দু আসছে কিনা। তখনই তার পাশে আসমানী এসে দাঁড়ায়। আর তাকে জানায় তার চান্দু ফিরে এসেছে। এটা শুনেই তো মর্জিনা অনেক খুশি হয়ে যায়। আসমানী যখন সবার সাথে নাচানাচি করার জন্য মর্জিনা কে বলে, তখন সে বলে সে নাকি নাচানাচি করবে না। কারণ তার কাছে ভালো লাগছে না। তারপর আসমানী তাকে বলে কিছুক্ষণ পরে তো চান্দুর সাথে পালিয়ে যাবে। তাহলে কেন মন খারাপ করে রয়েছে। এরপর মর্জিনা নাচানাচি করার জন্য রাজি হয়। আর সবার সাথে দুজনেই নাচতে যায়। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করছিল। আর তখনই সেখানে চান্দু ফকির আসে। আর সবার মাঝখানে ঢুকে গিয়ে রবির হাত ধরে নাচতে থাকে। একপর্যায়ে রবি এটা দেখে চিৎকার করে গান বন্ধ করায়।
এরপর সবাই তো অনেক অবাক হয়ে যায় এটা দেখে। তারপর রবি বলে তাকে কেন পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তখনই চান্দু তাদেরকে জানায় পুলিশরা ভালো মানুষদেরকে ধরে রাখে না। এবার কাদের ফকির রোগীকে কাজী ডাকার জন্য পাঠিয়ে দেয়। এরপর রতন আর মর্জিনা গানের মাঝখান থেকে এক পাশে চলে যায়। কিন্তু চান্দু অন্যদের সাথে তখন ও নাচতে থাকে। কিছুক্ষণ পর চান্দুও সবার মধ্য থেকে তাদের কাছে চলে যায়। এরপর রতন চান্দুকে বলে মর্জিনা কে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। আর অন্যদিকে আবার আসমানী আসমানী নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা যখনই পালিয়ে যাওয়ার জন্য বের হবে, তখনই সায়েম ফকির তাদেরকে দেখতে পায় না, আর তাদের ওখানেই চলে যায়। এরপর রতন ফকির সায়েম ফকিরের মুখ চেপে ধরে আর তখন চান্দু আর মর্জিনা চলে যায়। এরপর আমরা দেখতে পাই আসমানীর সাথে চান্দু আর মর্জিনা রয়েছে। আর তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছিল। আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল আজকের পর্বটা। কারন আজকের পর্বে চান্দু আর মর্জিনা পালিয়ে যেতে পেরেছিল। আর তাদেরকে মানিক ফকির, রতন ফকির আর আসমানি সাহায্য করেছিল। অন্যদিকে আবার তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় সায়েম ফকির যখন দেখে নিয়েছিল, তখন রতন ফকির অনেক কিছু করে তাকে আটকায়। এই পর্বে আমরা দেখেছিলাম পুলিশ মেম্বারের লোকদেরকে ধরার জন্য তাড়া করেছে। কাদের ফকির আর সুন্দরী খালার বিয়ের অনুষ্ঠানটা তারা অনেক সুন্দর ভাবেই করেছে। তাদের বিয়েটা কি হয়েছিল নাকি হয়নি এটা এখন আমরা আগামী পর্বে দেখতে পাবো। সবকিছু জানার জন্য আশা করছি আপনারা পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকবেন। আমি আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তুমি আজকে অনেক সুন্দর করে ফকির গ্রাম নাটকের ৪৯ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো। আমার কাছে এই পর্বটার রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিয়ের আমেজটা তো দেখছি বেশ ভালোই চলছে। চান্দু আর মর্জিনা অনেক ভালোভাবেই পালিয়ে যেতে পেরেছে। এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। পুরো কাহিনীটা সবার মাঝে সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
আপনার রিভিউ করা নাটকটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আরো বেশি ফলো করলাম নতুন নিয়মের কাজগুলো। এই বিষয়ে আমি তেমন দক্ষ সম্পন্ন নয়। আজ অনেক চেষ্টা করেছি টুইটার একাউন্ট খুলতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তবুও ইচ্ছা রয়েছে প্রিয় কয়েনের মূল্য বৃদ্ধিতে অংশ নিতে।
ব্যর্থ হওয়ার পরও চেষ্টা করবেন আপু। তাহলে ভালোভাবে অবশ্যই হবে।
দেখতে দেখতে ৪৯ তম পর্বে চলে এসেছেন। খুব ভালো লাগলো এ পর্বের অভিনয়ের বিস্তারিত জানতে পেরে। এ নাটকটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। নাটকের সৌন্দর্য অভিনয় নাট্যকারদের কথা সব জানো মন ছুয়ে যাওয়ার মত। দারুন একটি নাটক করেছেন আপনি।
আমার নিজেরও অনেক পছন্দের একটা নাটক এটি।
আপু দেখতে দেখতে আপনি ফকির গ্রাম নাটকের ৪৯ তম পর্ব শেয়ার করলেন। নাটকটির বেশ কিছু পর্ব আমি দেখেছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাটকটি অনেক সুন্দর। এই নাটকের যারা অভিনয় করেছে তারা খুব সুন্দর ভাবেই পুরো অভিনয় করেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার জন্য।
কিছু পর্ব দেখেছেন শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
সু স্বাগতম।
আপু দেখতে দেখতে আপনি ফকির গ্রাম নাটকের ৪৯ তম পর্ব রিভিউ করলেন।এই নাটকটি খুবই সুন্দর অভিনয় বেশ অসাধারণ হয়েছে। নাটকের গল্প বেশ দারুন। নাটকের মাধ্যমে সমাজের বাস্তব কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর নাটক রিভিউ করার জন্য।