ভ্রমণ :- ফেনী জেলা পরিষদ শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ২ )

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগে শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পর্বটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আবার চলে আসলাম দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে। আসলে এর আগের দিন নাশিয়া কয়েকটা রাইডে উঠেছিল। পরবর্তীতে দেখলাম এখানে একটা ঘরের মধ্যে আবার দুইটা বানর রাখা হয়েছে। বানরগুলো শুধু খাবার খুজতেছিল মনে হচ্ছে। নাশিয়াতো বানর গুলোকে দেখে একেবারে খুশি হয়ে গেলো। একেবারে বানরের সামনে চলে গেল। আমি তো প্রথমে ভয় পেয়েছি যদি আবার হাত কামড় দিয়ে দেয়। এরপরে নাশিয়া বলতেছিল দোকান থেকে বিস্কুট কিনে দেওয়ার জন্য।

IMG-20241101-WA0049.jpg

IMG-20241101-WA0056.jpg

সে বানরকে বিস্কুট খাওয়াবে। এর আগে আমরা চট্টগ্রামে একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে বানরকে বিস্কুট খাইয়েছিলাম। সেটা তার মনে ছিল। তার জন্য বিস্কুট খাওয়ানোর ইচ্ছা হল তার। এরপরে ওর আব্বু গিয়ে দোকান থেকে বিস্কুট কিনে নিয়ে এসেছিল। এরপর ওকে একটা একটা করে বিস্কুট দিতে লাগলো। আর নাশিয়া বিস্কুট নিয়ে বানরকে দিচ্ছিল। বানান খুব সুন্দর ভাবে হাত দিয়ে বিস্কুট গুলো নিয়ে নিচ্ছে। আসলে তার পরেও একটু ভয় লাগতেছিল যদি হাত টেনে নেয়। কিন্তু ওকে ধরে রেখেছিলাম।

IMG-20241101-WA0054.jpg

IMG-20241101-WA0059.jpg

তবে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বানানগুলো অনেক বেশি ক্ষুধার্ত। মনে হচ্ছে এখানে ঠিকমতো খাবার দেয়া হয় না। কোনরকমে হয়তোবা দিয়ে থাকে
তো বানরের কাছে আমরা কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ভীষণ ভালই লাগলো। বানরের কাছ থেকে নাশিয়াতো আসতেই চাইছিল না। এরপরে আমি ওকে সেখান থেকে নিয়ে আসলাম। দেখলাম এখানে খুব সুন্দর একটা দোলনার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কিন্তু কয়েকটা দোলনা রয়েছে দেখলাম। জায়গাটা একটু লম্বা আকৃতির বড়। তো এর আগে দোলনাটা খালি ছিল না। দোলনাটাকে খালি দেখে গেলাম একটু বসতে।

IMG-20241101-WA0058.jpg

IMG-20241101-WA0053.jpg

আমি বসার সাথে সাথেই নাশিয়া ও উঠবে বলছিল। কিন্তু ওকে বললাম আমার কোলে ওঠার জন্য। কিন্তু সে কিছুতেই কোলে উঠবে না। শুধু নিজেই একা উঠবে। তাই জন্য আমি নেমে গিয়ে ওকে উঠালাম। তবে অল্প কিছু সময় দোলনায় দুলে সে আর দুলবে না। শুধু একটা রেখে আরেকটাতে ওঠার জন্য লাফালাফি করে। তো নাশিয়া নেমে যাওয়ার পর আমি নিজেই উঠলাম। কিছুক্ষণ দলনায় বসলাম। আবার এখানে বসে কিছু ছবিও তুলে নিলাম। জায়গাটা খুব সুন্দর ছিল তাই জন্য অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি।

IMG-20241101-WA0048.jpg

IMG-20241101-WA0051.jpg

আমি ছবি তোলার পরে আবার মাসের আব্বুও দোলনায় বসে ছবি তুলল। ওর ছবিটা তুলে ভীষণ ভালোই লেগেছে। আমরা যখন দোলনায় বসে ছবি তুলছিলাম আসিয়া তখন অন্য রাইডগুলোতে চড়ার জন্য কান্নাকাটি করছিল। ওর জন্য একটুও বসতে পারছিলাম না। তো কয়েকটা ছবি তুলে আবারো সেখান থেকে উঠে গেলাম। এখানে কিন্তু আরো অনেক কিছু রয়েছে। না শুয়ে পরবর্তীতে আরো কি কি রাইডে চড়েছে সেটা আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকের পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

IMG-20241101-WA0055.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 3 days ago 

Screenshot_2024-11-19-08-54-21-05_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-11-19-08-53-29-87_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-11-19-08-50-32-99_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 days ago 

আপু ঘুরতে সবার অনেক ভালো লাগে। আর সেই ঘুরা যদি হয় প্রিয় কোন জায়গায় তাহলে তো কথায় নেই। রাশিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক আনন্দে ছিল। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 days ago 

হ্যাঁ নাশিয়া অনেক বেশি আনন্দে ছিল।

 3 days ago 

ঘুরতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আর বাচ্চারাতো আরও বেশি পছন্দ করে। আর বিভিন্ন জায়গায় ঘু্রে বেড়ালে বাচ্চাদের বিকাশ সুন্দরভাবে হয়। বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন পার্কটি সবাই মিলে। বেশ ভালো লাগলো সবাইকে এক সাথে দেখে।

 2 days ago 

তাই জন্যই তো আমাদের মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি।

 3 days ago 

এরকম সুন্দর কোন জায়গায় সবাই মিলে ঘুরতে গেলে দারুন সময় কাটে। আর এরকম জায়গা গুলোতে গেলে বাচ্চারা বেশি খুশি হয়। আপনি আপনার পরিবারের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।

 2 days ago 

আমি তো অনেক পছন্দ করি বিভিন্ন জায়গায় যেতে। মুহূর্তটা অনেক ভালো কেটেছে।

 3 days ago 

প্রতিটি জেলায় এরকম সুন্দর সুন্দর শিশু পার্ক রয়েছে। আপনারা আপনাদের পরিবারের প্রত্যেকেই শিশু পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে শিশু পার্ক মানেই ছোট বাচ্চাদের খেলা ধুলা করার জায়গা। আপনার মেয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে এই পার্কের মধ্যে।

 2 days ago 

বাচ্চারা এরকম জায়গা গুলোতে গেলে অনেক আনন্দিত হয়।

 2 days ago 

আপু আপনারা দেখতেছি শিশু পার্কে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আর নাশিয়া দেখতেছি বানরগুলোকে বিস্কুট খাওয়াচ্ছে। ছোট বাচ্চারা বানর দেখলে প্রথমে অনেক ভয় পায়। আর এইসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে সবার কাছে ভালো লাগে বিশেষ করে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। ফেনী শিশু পার্কে ঘুরতে গিয়ে দ্বিতীয় পর্বটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।