বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়ে মজার মজার খাবার খাওয়ার অনুভূতি । কোথাও গেলে খাবার না খেলে মনে হয় যেন পরিপূর্ণতা পায় না । আর শপিং করতে যাব কিছু খাব না সেটা কি হয় নাকি । এই তো কদিন আগে বসুন্ধরা শপিং করতে গিয়েছিলাম । অনেকদিন ধরে ভাবছি বসুন্ধরাতে যাব । বসুন্ধরা যদিও আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয় তারপরেও তেমন একটা যাওয়া হয় না । কারণ আমাদের বাসার পাশে বেইলিরোডে সব ধরনের শপিংমল রয়েছে যার কারণে আর দূরে যেতে মন চায় না। বাসা থেকে যখন খুশি তখনই কেনাকাটা করা যায় । কিন্তু সেদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই কেন জানিনা খুব মন চাচ্ছিল বসুন্ধরা যেতে । বিশেষ করে রিক্সা করে ঘুরতে আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে আর বন্ধের দিনে রিক্সা নিয়ে যেতেও ভালো লাগে তেমন একটা জ্যাম হয় না ।
যেই ভাবা সেই কাজ তাড়াতাড়ি দুপুরের খাবার শেষ করে রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম তিনজনে মিলে ।প্রথমে কিছু শপিং করে নিয়েছিলাম । তারপর ছেলে আবার অনেক বায়না ধরেছে টগি ওয়ার্ল্ডে যাবে । অনেকদিন ধরে যাওয়ার জন্য বায়না ধরছিল । পাশের বাসায় ভাবির ছেলে তার বন্ধুদের সাথে গিয়েছিল সেই থেকে ছেলে খুব যাওয়ার জন্য বায়না করছে । ওদের সাথেই যেতে চেয়েছিল কিন্তু ওরা বড়রা যখন যায় তখন কি আর ছোটদের কে পাঠানো যায় নাকি । আর ওরা এমনিতেই ছোট মানুষ এ কারণে আর যাওয়া হয়নি । আর যখনই বসুন্ধরা সামনে দিয়ে আসি তখনই ওখানে যাওয়ার জন্য খুব বলে । এবার যখন যাওয়ার জন্য বায়না করেছিল তখন ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম । সেটা অন্য কোনদিন কোন একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।আজকে খাবারের মুহূর্ত টা শেয়ার করছি ।
বসুন্ধরা যখনই যাই তখনই ফুড কোর্টে প্রচন্ড রকমের ভিড় থাকে । বসার সিট পাওয়া যায় না বললেই চলে ।প্রথমে আমরা সেখানে গেলাম এবং এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরতেই থাকলাম বসার জন্য তেমন কোনো সিট পাচ্ছিলাম না । আমার হাজব্যান্ড তখন বলল যে চলো নিচে গিয়ে আইসক্রিম জুস এগুলো খেয়ে বাসায় চলে যাই । আমি তখন বললাম যে উপরে যখন খেতে এসেছি তখন খেয়েই যাব একটা সময় খালি হবেই । তখন কিছু সময় অপেক্ষা করার পর এবং এদিক ওদিক ঘুরতে থাকলাম তখন দেখলাম যে কয়েকটা সিট খালি হয়েছে । আমরা আমাদের পছন্দমত সেট নিয়ে বসে পড়লাম । প্রথমে গিয়ে আমরা কিছু সময় রেস্ট নিলাম এবং মেনু দেখতে থাকলাম । প্রথম আমি আমার নিজের পছন্দমত কিছু অর্ডার করলাম । ছেলে ছেলের পছন্দ মতো অর্ডার করল । গিয়েই ছেলে একটি কোল্ড কফি অর্ডার দিল ।কফিটা তার আবার খুব পছন্দ । আমরা তখন মেনু দেখতে থাকলাম এবং মেনু দেখে তিনজন তিন রকমের খাবার অর্ডার করলাম ।
প্রথমে চাওমিন অর্ডার করলাম । চাওমিনটা দিয়ে গেল চাওমিন টা খেতে খুবই মজা ছিল । আমরা যে দোকানটার সামনে বসেছি সেখান থেকে অর্ডার করলাম সেখানের খাবার গুলো অনেকটাই মজা ছিল খুব বেশি মজা ছিল । চাওমিন খেতে খেতে ওরা রাইস এবং চিকেন গুলো দিয়ে গেল। এটা ছেলে অর্ডার করেছিল । কিন্তু ছেলে অর্ডার করলে কি হবে ও তেমন একটা খায় না আমরা তিনজনে মিলে খাবারটা শেষ করলাম । সেটা খেতে খেতে আমাদের দোসা চলে আসলো । দোসা খেতেও কিন্তু ভালো লাগে । এজন্য আমরা সব কিছু মিলিয়ে অর্ডার করেছিলাম । তিন জনে তিন রকম খাবার অর্ডার করেছিলাম এবং খাবার গুলো অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল সবগুলো খাবারই আমরা সেখানে বসে শেষ করে ছিলাম । পরে আরো অন্য কিছু কেনাকাটার ছিল তবে খাবারের পরিমাণটা এত বেশি হয়ে গিয়েছিল যে আর অন্য কোথাও ঘুরতে ইচ্ছা করলো না । আস্তে আস্তে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম । ভালোই হয়েছিল খাওয়া-দাওয়া টা । আসলে খাওয়া দাওয়া করতে আমরা সবসময় খুব বেশি পছন্দ করি বিশেষ করে বাইরের খাবারগুলো । যার কারণে আমরা সবসময়ই একটু বেশি বেশি অর্ডার করে থাকি খেতে পারি আর না পারি দরকার হলে বাসায় পার্সেল নিয়ে আসব তারপরও খাবারের যেন কমতি না থাকে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে মধ্যে শপিং মলে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে সবারই ভালো লাগে। আপনাদের দেশে দোসা পাওয়া যায় আগে জানতাম না। এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব জায়গায় সবই পাওয়া যায় ।
বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়ে দেখছি ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা দেখেই তো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখলাম। আমাদের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে অনেক লোভ লেগে গেল। খাবারগুলো অনেক বেশি মজাদার ছিল এটা তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
খাবার দাবার গুলো দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না আপু। আপনারা সবাই মিলে বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন। আর খাবারের মেনু গুলো দেখে আমার লোভ লেগে গেছে। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন আপনি বসুন্ধরাতে যেয়ে।
বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়ে বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন। আপনার খাবার খাওয়ার মুহূর্তটা আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিটা খাবার দেখতে তো অনেক লোভনীয় লাগছে। নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছেন খাবারগুলো। এই দুপুর বেলায় খাবার গুলো দেখে অনেক লোভ লাগলো।
বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে মজার খাবার খেয়েছেন। দেখে তো অনেক লোভনীয় লাগছে, খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এতো সুন্দর করে ফটোগ্ৰাফি গুলো শেয়ার করেছেন এবং অনুভূতি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ছুটির দিনগুলোতে এইসব জায়গাতে প্রচুর ভিড় হয়। যাই হোক বসুন্ধরা ফুড কোর্টে গিয়ে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রত্যেকটা খাবারই খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।